পাঞ্জাবের “কাদিয়ান” .

পাঞ্জাবের “কাদিয়ান” নামক গ্রামে ১৮৩৫ সালে জন্ম গ্রহণকারী ব্রিটিশের দালাল মির্জা গোলাম আহমদকে যদিও কাদিয়ানী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়, কিন্তু তাকে এই মতবাদ প্রতিষ্ঠায় প্ররোচিত করে ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা কাছিম নানুতবী।

এই কাছিম নানুতবী দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠার ৭ বছর পর ১৮৭৪ সালে ‘তাহ্‌যীরুন্নাছ’ নামক একটি গ্রন্থ রচনা করে; যার ২৫ পৃষ্ঠায় সে কুরআন শরীফ-এর সূরা আহযাব-এর ৪০ নম্বর আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত ‘খাতামুন্‌ নাবিয়্যীন’-এর ব্যাখ্যায় উল্লেখ করে যে, “খাতামুন্‌ নাবিয়্যীন অর্থ হলো মূল নবী।

অন্যান্য নবীগণ ছিলেন সাময়িক নবী। যারা খাতামুন্‌ নাবিয়্যীন-এর অর্থ শেষ নবী বলে তারা জাহিল ও মূর্খ। নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগে বা সর্বশেষে আসার মধ্যে কোন ফযীলত নেই। ফযীলত হলো মূল নবী হওয়ার মধ্যে।

তার পরে যদি ১০০০ নবীরও আগমন মেনে নেয়া হয়, তাতেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খতমে নুবুওয়াত-এর কোনরূপ তারতম্য হবে না।” নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক!

কাছিম নানুতবীর বাতলে দেয়া এই পথ ধরে ১৯০৫ সালে মির্জা গোলাম কাদিয়ানী নবী দাবি করে বসে। পরবর্তিতে গোলাম কাদিয়ানীকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে যে, “মাওলানা কাছিম নানুতবী ছাহেব তো তার ‘তাহ্‌যীরুন্নাছ’ গ্রন্থে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পরে ১০০০ নবীর আগমনের সম্ভাবনা স্বীকার করে নিয়েছে। সুতরাং আমি (কাদিয়ানী) একজন নবী দাবি করাতে দোষ কোথায়? আরো তো ৯৯৯ জন দাবি করতে পারে।” নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক!

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, কাদিয়ানী সমপ্রদায়ের মূল প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে দেওবন্দের কাছিম নানুতবী, আর মির্জা গোলাম কাদিয়ানী তার রূপদানকারী। এখন মির্জা গোলাম কাদিয়ানী যদি আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের ফতওয়া মুতাবিক কাফির হয়, তাহলে কাছিম নানুতবীর ব্যাপারে ফায়ছালা কি হবে .