নেতৃত্ব দিবে তারা হবে ইতর শ্রেনীর মানুষ

আবু হুরাইরা রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ বলেছেন , অচিরেই মানুষের উপর এমন এক সময় আসবে , যখন মানুষের কথা ও কর্ম হবে প্রতারনামূলক । সে সময় মিথ্যাবাদীকে সত্য বলে গণ্য করা হবে । অর্ সত্য বাদিকে মিথ্যা বলে গণ্য করা হবে । খেয়ানতকারীর নিকট আমানত রাখা হবে , অর্ আমানতদার ব্যক্তিকে বিশ্বাসঘাতক ও খেয়ানতকারী বলা হবে । সে সময় যারা নেতৃত্ব দিবে তারা হবে ইতর শ্রেনীর মানুষ , যাদের নিকট হক্ব ও কল্যাণের আশা করা যায় না । ইবনে মাজা ছহিহা আলবানী হা/ ৪০৩৬ । 

কিয়ামত ততদিন পর্যন্ত হবে না  
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাঃ বলেন, রাসুল সাঃ বলেছেন , কিয়ামত ততদিন পর্যন্ত হবে না , যতদিন পর্যন্ত মানুষ গাধার নত রাস্তায় খোলা মাঠে যেনায় লিপ্ত না হচ্ছে । আমি বললাম এমন ঘটনা কি ঘটতে পারে? রাসুল সাঃ বলেন , অবশ্য অবশ্যই ঘটবে )সিলসিলা ছাহিহা হা/২৭২৪-৪৮১) 
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“যার জন্য দোযখ হারাম, তার সম্বন্ধে আমি কি তোমাদের জানাব না?
তাঁরা হল প্রত্যেক বিনয়ী, নম্র, সহজ ও সরল লোক।”
[তিরমিযী]  
পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হালাল না কি হারাম   
ফেতনা  দাজ্জাল 

ما بين خلق آدم إلى قيام الساعة أكثر من الدجال  "

আদম (আঃ)এর সৃষ্টির পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত দাজ্জালের চাইতে বড় কোন  ফিতনা নেই " (মুসলিম)



রাসুল (সা.) বলেছেন, 

"যারা কবরকে মসজিদে পরিণত করে তারাই হচ্ছে মানুষের মধ্যে নিক্রিষ্ট।"

হাদীসটি সহীহ, মুসনাদে আহমাদ ৫৩১৬, সহীহ ইবনে খুজাইমা ৭৮৯, আবু হাতিম।  


প্রশ্ন (৪/৪০৪) : ‘মাসআলা ও হাকীকত’ নামক বইয়ে জনৈক লেখক লিখেছেন, দাড়ির সর্বোচ্চ পরিমাণ এক মুষ্টি। এর অতিরিক্ত লম্বা দাড়ি রাখা হারাম। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা দাড়ি অল্প লম্বা কর। অনুরূপ চুল-দাড়িতে কালো খেযাব, কালো মেহেদী ব্যবহার করা সুন্নাত। আবুবকর, ওমর, ওছমান (রাঃ) সহ অনেক ছাহাবী কালো কলপ ব্যবহার করেছেন। কালো খেযাব ব্যবহার করার বিরুদ্ধে যেসব হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, সেগুলো সবই জাল, যঈফ। লেখকের উক্ত দাবী কি সঠিক? 
-আব্দুল্লাহ, সিলেট। 
উত্তর : উক্ত দাবী বিভ্রান্তিমূলক। কেননা দাড়ি লম্বা করা সম্পর্কে যত হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তার মধ্যে أعفوا، أوفروا، وفروا، أوفوا ارخوا، ارجوا، ইত্যাদি শব্দ এসেছে। যার অর্থ দাড়িকে (কোন প্রকার কাটছাট ছাড়াই) স্বীয় অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১; মুসলিম হা/৬২৫-২৬)। অতএব ‘অল্প লম্বা কর’ এধরনের অর্থ করাটা মনগড়া। রাসূল (ছাঃ) কখনো দাড়ি ছোট করেছেন মর্মে কোন ছহীহ দলীল নেই। অতএব তাঁর উম্মত হিসাবে আমাদেরকেও দাড়ি ছেড়ে দিতে হবে। 
তিরমিযীতে আমর ইবন শু‘আইব তার পিতা ও দাদার সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর দাড়ির দৈর্ঘ্য

-প্রস্থ থেকে কাট-ছাট করতেন বলে যে বর্ণনা এসেছে তা জাল। সুতরাং এটি গ্রহণযোগ্য নয় (তিরমিযী হা/২৭৬২; মিশকাত হা/৪৪৩৯; সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮৮)। অনুরূপভাবে হজ্জ বা ওমরা করার সময় ইবনু ওমর (রাঃ) এক মুষ্টির অধিক দাড়ি কেটে ফেলতেন মর্মে যে বর্ণনা এসেছে সেটা তার ব্যক্তিগত আমল। অন্য সময়ে তিনি এরূপ করতেন না। সুতরাং তা দলীল হিসাবে গ্রহণীয় নয় (ফাতহুল বারী ১০/৪২৮-২৯, হা/৫৮৯২-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)।
রাসূল (ছাঃ) কালো কলপ ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে বলেছেন (মুসলিম হা/৫৬৩১; মিশকাত হা/৪৪২৪)। অন্য হাদীছে এসেছে, যারা কালো কলপ ব্যবহার করবে তারা জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না (আবুদাঊদ হা/৪২১২; মিশকাত হা/৪৪৫২, সনদ ছহীহ)। আবুবকর ও ওমর (রাঃ) সহ অন্যরা কালো কলপ ব্যবহার করতেন বলে প্রশ্নে যে দাবী করা হয়েছে তা সঠিক নয়। বরং আবুবকর (রাঃ) মেহেদী ও ‘কাতাম’ ঘাস দিয়ে কলপ করতেন। কাতাম হল এক ধরনের ইয়ামেনী ঘাস, যা দ্বারা কলপ করলে লাল ও কালো রঙের মিশ্রণ হয়। আর ওমর (রাঃ) শুধুমাত্র মেহেদী দ্বারা কলপ করতেন (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/৩৫৫, হা/১৮০৬-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)।
উল্লেখ্য যে, আরবদের মধ্যে প্রথম কালো কলপ ব্যবহার করেন রাসূল (ছাঃ)-এর দাদা আব্দুল মুত্ত্বালিব। আর সাধারণভাবে প্রথম কালো কলপ ব্যবহার করে ফেরাউন (ফাৎহুল বারী ১০/৪৩৫, হা/৫৮৯৯-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। সুতরাং লেখকের উক্ত দাবী সঠিক নয়। 

"কাফির" বলা যাবে কি???????

আবদুললাহ ইবনে মাসউদ(রা:)বলেন, আমি উমর ইবনুল খাততাব(রা:)কে বলতে শুনেছি: রাসুলুললাহ সাললাললাহু আলাইহি ওয়াসসালাম-এর যুগে 'ওয়াহি'র মাধ্যমে মানুষকে যাচাই করা হতো। আর এখনতো ওয়াহি নাযিল হওয়া বনধ হয়ে গেছে। সুতরাং, এখন আমরা তোমাদের মুল্যায়ন করবো তোমাদের বাহ্যিক কাজ-করমের উপর ভিততি করে। যে ব্যাকতি আমাদের সামনে ভাল কাজের প্রকাশ ঘটাবে, আমরা তাকে বিশৃাস করবো এবং আমরা তাকে আমাদের নিকটবরতি বলে গৃহন করবো। তার আভ্যনতরিন ওবসথা দেখার আমাদের দরকার নাই। আর যে ব্যাকতি খারাপ কাজ করবে, যদিও সে দাবি করে তার আভ্যনতরিন ওবসথা ভাল, তবুও আমরা তার কথা মেনে নেব না এবং বিশৃাস করবো না। *** বুখারি: ৩/২২১।
উমর(রা:) এর এই কথায় পরিষকার যে, কারও আমল যদি কাফির, মুশরিক-এর মত হয়; আমরা তাকে তেমনি মনে করবো, যদিও বা সে নিজেকে মুসলিম দাবি করে।

টিকা: মানুষের সাধারন কিছু কথা আছে- যেমন:
*আমি সালাত আদায় না করলেও আমার ইমান ঠিক আছে???
*পরদা হচছে ওনতরের বিষয়। আমি বোরখা না পড়লেও আমার ওনতরের পরদা ঠিক আছে???









আমল কার কেমন ?



আবদুললাহ ইবনে মাসউদ(রা:)বলেন, আমি উমর ইবনুল খাততাব(রা:)কে বলতে শুনেছি: রাসুলুললাহ সাললাললাহু আলাইহি ওয়াসসালাম-এর যুগে 'ওয়াহি'র মাধ্যমে মানুষকে যাচাই করা হতো। আর এখনতো ওয়াহি নাযিল হওয়া বনধ হয়ে গেছে। সুতরাং, এখন আমরা তোমাদের মুল্যায়ন করবো তোমাদের বাহ্যিক কাজ-করমের উপর ভিততি করে। যে ব্যাকতি আমাদের সামনে ভাল কাজের পৃকাশ ঘটাবে, আমরা তাকে বিশৃাস করবো এবং আমরা তাকে আমাদের নিকটবরতি বলে গৃহন করবো। তার আভ্যনতরিন ওবসথা দেখার আমাদের দরকার নাই। আর যে ব্যাকতি খারাপ কাজ করবে, যদিও সে দাবি করে তার আভ্যনতরিন ওবসথা ভাল, তবুও আমরা তার কথা মেনে নেব না এবং বিশৃাস করবো না। *** বুখারি: ৩/২২১।

টিকা: মানুষের সাধারন কিছু কথা আছে- যেমন:
*আমি সালাত আদায় না করলেও আমার ইমান ঠিক আছে।
*পরদা হচছে ওনতরের বিষয়। আমি বোরখা না পড়লেও আমার ওনতরের পরদা ঠিক আছে।
উমর(রা:) এর এই কথায় পরিষকার যে, কারও আমল যদি কাফের, মুশরিক-এর মত হয়; আমরা তাকে তেমনি মনে করবো, যদিও বা সে নিজেকে মুসলিম দাবি করে।

উদাহরন: নুহ(আ:)-এর ছেলে কেনানের ঘটনা কুরানে উললিখিত। কেনান নবি-রাসুলের ছেলে হয়েও কাফের হওয়ার কারনে পানিতে ডুবে মরেছিল।
আললাহ'র কাছে সবচেয়ে সুনদর নাম হল- "আবদুললাহ" ও "আবদুর রহমান"। মদিনার মুনাফিকদের সরদারের নাম ছিল- 'আবদুললাহ ইবনে উবাই'। শুধুমাতরো নাম মুসলিমদের মত হলেই যদি কেউ মুসলিম হয়ে যেতো- তাহলে মদিনার মুনাফিক সরদারও মুসলিম হয়ে যেতো। কারন, তার নাম ছিল 'আবদুললাহ'।
মুসলিম ঘরে জনম নিলেই যদি কেউ মুসলিম হয়ে যেতো তাহলে নুহ(আ:)-এর ছেলে কেনান সবার আগে মুসলিম হয়ে যেতো। কারন, তার পিতা ছিল মানবজাতির মধ্যে সবচয়ে ভালো, এবং কেনান ছিল আললাহ'র রাসুল-এর ছেলে। কুরানে বলা হয়েছে, কাফের হওয়ার কারনে নুহ(আ:)-এর ছেলে কেনান পানিতে ডুবে ধংস হয়েছিল।


 আওউট সমালোচনা ..
উমর রাঃ এর মত আমরাও বলতে চাই যে, আমরা যে কোন মুসলিমের ব্যাপারে রায় দেব তার বাহ্যিক আমলে আর অন্তরে কি আছে তা আল্লাহ ছাড়া আর কার জানা নেই । যদি ঐ ব্যক্তির অন্তর শুদ্ধ হতো তবে তা তার শারীরিক 'আমল,যথা; সালাত, যাকাত ও অন্যান্য ফরজ ইবাদতের মাধ্যমে প্রকাশ পেত এবং (হিন্দু,খ্রিস্টান , বৌদ্ধ,জৈন ও অন্যান মুশরিক জাতি সাথে কুফরী করত ,করতে তাকে দেখা যেত । 
এদের দিকে ইঙ্গিত করে রাসুল (সাঃ) যথার্থই বলেছেন , (ওহে নিশ্চয়ই শরীরের মধ্যে এমন একটি অঙ্গ আছে , যদি তা সহিহ শুদ্ধ হয় তবে সমস্ত শরীরই শুদ্ধ হবে, আর যদি তা নষ্ট হয়ে যায় তবে সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যাবে আর তা হচ্ছে ক্বলব বা দিল) (বুখারী ও মুসলিম) 

হাসান বসরী রাঃ বলেন ঈনাম কেবল অন্তরে আশা কিংবা বাহ্যিক পরিচ্ছেদ প্রদর্শনীর নাম নয় বরং ঈমান হচ্ছে অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস এবং সত্যতার প্রতিফলন ঘটে আমলের দ্বারা ।(বুখারী) (তালীক) 

ইমাম শাফিয়ী রাঃ বলেন ইমান হচ্ছে কথা ও কাজ ,যা সত কাজে বাড়ে , আসত কাজে কমে । 

সালেফে সালেহিনরা বলেন , ঈমান হচ্ছে দিলে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে উচ্চারণ করা এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারা আমল করা ( ফতহুল বারী ১/৪৬) 

ইমাম বুখারী রাঃ (১৯৪-২৫৬হিঃ ) বলেন ঈমানদরদের সম্মানের তারতম্য ঘটে 'আমলের কারনে (বুখারী ১/১১) 

আমাদের কি বর্তমান যামানার মৌল নীতিসমূহ ও সুফিদের সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করা দরকার ??

হে অবশ্যই তাদের সম্বন্ধে জানা দরকার, যাতে করে আমরা তাদের গলদ ও ভ্রান্ত মতবাদ জেনে নিয়ে তাদের থেকে
 সাবধান হতে পারি .

হুজাইফা (রাঃ)বলতেন : লোক সর্বদা রাসূল (সাঃ) কে ভালো জিনিস সম্বন্ধে প্রশ্ন করতেন , আর আমি সর্বদা তাকে খারাবি সম্বন্ধে জিগ্গেস করতাম এই ভয়ে যে, হয় তো তা আমাকে পাকড়াও করবে . একদা আমি প্রশ্ন করলাম :- হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) একসময় আমরা জাহিলিয়েত ও খারাবির ভিতর ছিলাম . তারপড় আল্লাহ তা'আলা আমাদের এই ভালাই দান করেছেন . এই ভালাইয়ের পর কী আবার খারাবি আছে ? তিনি বললেন :- হ্যা . আমি বললাম : ঐ খারাবীর পর কী আবার ভালাই আছে ? তিনি বললেন : হ্যা ,তবে ঐ বালাইয়ের মাজে ফ্যাসাদ ও মতবিরোধ আছে. তখন বললাম : ঐ খারাবি কী কী ? তিনি উত্তরে বললেন :- একদল লোক আমার সুন্নতকে ছেড়ে অন্য সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে , আর আমার হিদায়েতের রাস্তা ছেড়ে অন্য রাস্তা ধরবে . তাদের তোমরা জানবে এবং অস্বীকার করবে . বললাম - ঐ ভালায়ির পর কী আবার খারাবি আছে ? এবার তিনি বললেন :- হ্যা জাহান্নামের দরজার নিকট হতে ঘোষক ডাকতে থাকবে . যারা তাদের কথা শুনবে, তাদেরকে তারা তাতে নিক্ষেপ করবে . বললাম : হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) আমাকে তাদের বর্ণনা দিন . তিনি বললেন :- ঐ লোকেরা আমাদের মতই রক্ত মাংসের হবে এবং আমাদের মতই কথা বলবে . আমি তখন বললাম : হে আল্লাহর রাসূল ! যোদি আমি ঐ সময় বেঁচে থাকি তবে আমাকে উপদেশ দিন তখন আমি কী করবো ? বললেন :- তখন মুসলিমদের জামা'আত (দল)ও তাদের ইমামের সাথে থাকবে . আমি বললাম : যোদি তখন মুসলিমদের জামা'আত বা ইমাম না থাকে ? তিনি বললেন:- তখন ঐসকল দলের সকলকে পরিত্যাগ কর ... যোদি দরকার হয় , তবে গাছের শেকড়ে দাঁত দিয়ে আঁকড়িয়ে থেকো যতক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যু আসে উপস্থিত না হয় (মুসলিম ) 




নবীজী(সঃ) বলেছেন:
 وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُوْرِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ) رواه أبو داود والترمذى وقال حديث حسن صحيح “তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদআ‘ত এবং প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা”।[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৯৯১ ও সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস নং ২৬৭৬, তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।] 
 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম তাঁর এক খুতবায় বলেছেন:
إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللهِ وَأَحْسَنَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ وَشَرُّ الأُمُوْرِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ وَكُلُّ ضَلاَلَةٍ فِي النَّارِ. رواه مسلم والنسائى واللفظ للنسائى “নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহ্‌র কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল (দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত বিষয়। আর নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম। সুত্রঃ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৩৫ ও সুনান আন-নাসায়ী, হাদীস নং ১৫৬০, হাদীসের শব্দ চয়ন নাসায়ী থেকে। 
 “যে কেউই আমাদের এই দ্বীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে যা এর কোন অংশ নয়, তবে তা প্রত্যাখ্যাত হবে।” (বুখারী ও মুসলিম)