এমন কে আছেন যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শাফায়াতের প্রত্যাশা করেন না?
হ্যাঁ, সবাই
তা চায়। সবাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শাফায়াতের
প্রত্যাশা করে। সবাই তাঁকে ও তাঁর মুহাব্বতের জিনিসকে মুহাব্বত করার
মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করতে চায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এর পথ ও পদ্ধতি কি? কিভাবে তা লাভ করা যায়?
হ্যাঁ, এর পথ একটিই। পদ্ধতি একটিই। আর সেটা হলো, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনুগত্য করা। তাঁর সুন্নতকে নিজের
জীবনে বাস্তবায়ন করা। এ কারণেই মহান আল্লাহ তাআলা রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি মহব্বত ও ভালোবাসাকে অত্যাবশ্যক করে দিয়েছেন।
অতএব, রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ভালোবাসা ছাড়া ঈমানই পূর্ণতা লাভ করবে না।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহব্বতের আলামত হলো, তাঁর
অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং তাঁর সুন্নতের ইত্তিবা করা। এ ব্যাপারে পবিত্র
কুরআনে অসংখ্য আয়াত রয়েছে। হাদীসেও রয়েছে অসংখ্য প্রমাণ। নিম্নে কুরআন ও হাদীস থেকে কয়েকটি প্রমাণ উলে¬খ করা হল:কোরআনের প্রমাণ:আল্লাহ তাআলা বলেন : قُلْ أَطِيعُواْ اللَّهَ وَالرَّسُولَ فإِن تَوَلَّوْاْ فَإِنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ الْكَافِرِينَ ‘বল, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদেরকে ভালবাসেন না’ (সূরা আলে-ইমরান: ৩২)।অন্য এক আয়াতে এসেছে : يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللَّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلاً ‘ হে মুমিনগণ, তোমরা
আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্য থেকে
কর্তৃত্বের অধিকারিদের। অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা
আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করাওÑ যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর’ (সূরা নিসা: ৫৯)।আল্লাহ তাআলা আরো বলেন : منْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّهَ وَمَن تَوَلَّى فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظاً ‘যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের ওপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি’ (সূরা নিসা: ৮০)।অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে : قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ‘বল, যদি তোমরা আল¬হকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল¬¬াহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল¬¬াহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’(সূরা আলে ইমরান:৩২)।তিনি আরো বলেন : وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُبِينًا ‘আল্লাহ ও তার রাসূল কোনো কাজের আদেশ করলে কোনো ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে এ অধিকার নেই যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ অমান্য করে। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়’ (সূরা আহযাব: ৩৬)।হাদীসের প্রমাণ :রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : وَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ فَسَيَرَىْ اخْتِلَافاً كَثِيْراً فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِيْ وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الْرَّاشِدِيْنَ الْمَهْدِيِّيْنَ عَضُّوْا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ ‘আর তোমাদের কেউ বেঁচে থাকলে সে বহু মতভেদ দেখতে পাবে। তখন তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য হবেÑ আমার
সুন্নত এবং হেদায়েতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত অনুসরণ করা। তোমরা এ
সুন্নতকে খুব মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরে থাকো এবং সমস্ত বিদআত থেকে বিরত থাকো।
কেননা প্রতিটি বিদআতই ভ্রষ্টতা’ (আবু দাউদ, তিরমিযী)।অন্য এক হাদীসে এসেছে : كُلِّ أُمَّتِيْ يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ أَبَىْ قَالُوْا وَمَنْ يَأْبَىْ قَالَ مِنَ أَطَاعَنِيْ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِيْ فَقَدْ أَبَىْ আবু হুরাইরা রাযি. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, আমার প্রতিটি উম্মত জান্নাতে যাবে। তবে যে অস্বীকার করে সে নয়। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, অস্বীকারকারী কে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে আমার অনুকরণ করল সে জান্নাতে যাবে। আর যে আমার নাফরমানী করল, সে-ই অস্বীকারকারী’ (বুখারী)।সুন্নতের বাইরে বিদআত নির্ভর অক্লান্ত মেহনত-মুজাহাদ করে কোনো লাভ নেই। হাদীসে এসেছে : الْقَصْدُ فِي السُّنَّةِ خَيْرٌ مِنَ الاجْتِهَادِ فِي الْبِدْعَةِ ‘ সুন্নত অবলম্বন করে মধ্যমপন্থায় চলা, বিদআত অবলম্বন করে অক্লান্ত মেহনত করার চেয়েও উত্তম’ (ইবনে হাজর)।وَعَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ :كُنَّا مَعَ ابْنِ عُمَرَ رَحِمَهُ اللَّهُ فِيْ سَفَرٍ فَمَرَّ بِمَكَانٍ فَحَادَ عَنْهُ، فَسُئِلَ لِمَ فَعَلْتَ ذلِكَ؟ قَالَ : رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَ هَذَا فَفَعَلْتُ ‘ মুজাহিদ রহ. বলেন, ‘আমরা একদা এক সফরে ইবনে উমর রাযি.-এর সঙ্গে ছিলাম। চলতে চলতে একস্থানে গিয়ে তিনি রাস্তা ছেড়ে অন্য দিকে গেলেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘কেন আপনি এমনটি করলেন?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এরূপ করতে দেখেছি। তাই আমিও তার অনুকরণে এমনটি করেছি’ (আহমদ)।মুহতারাম ভায়েরা! ইত্তেবায়ে সুন্নতের বহু ইতিবাচক ফলাফল রয়েছে। আসুন আমরা এসব ফলাফলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নিয়ে আলোচনা করি।এক. ক্ষতিকর ও গর্হিত
মতানৈক্য থেকে সুরক্ষা : পরস্পরে নিন্দিত মতবিরোধ ও ক্ষতিকর মতানৈক্য
অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আর এ থেকে কেবল আল্লাহ তাআলা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আনুগত্যের মাধ্যমেই বেঁচে থাকা সম্ভব। যেমন আল্লাহ
তাআলা বলেন : وَأَطِيعُواْ اللّهَ وَرَسُولَهُ وَلاَ تَنَازَعُواْ فَتَفْشَلُواْ وَتَذْهَبَ رِيحُكُمْ وَاصْبِرُوَاْ إِنَّ اللهَ مَعَ الصّابِرِين ‘ তোমরা
আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য কর। এবং তোমরা পরস্পর বিবাদে লিপ্ত হয়ো না।
তাহলে তোমরা সাহসহারা হয়ে যাবে এবং তোমাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর
তোমরা ধৈর্য ধর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন’ (সূরা আনফাল: ৪৬)।উপরের আয়াত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, সুন্নতের ইত্তেবা করা এবং তাকে আঁকড়ে ধরাই হচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করা। আর নিন্দনীয় এখতেলাফ বা মতানৈক্য থেকে বেঁচে থাকার একমাত্র পথ হল আনুগত্য।দুই: রাসূলুল্লাহ সাল¬াল¬হু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নিন্দিত ফেরকা থেকে বেঁচে থাকা এবং নাজাতপ্রাপ্ত
ফেরকার সাথে জুড়ে থাকার সুযোগ পাওয়া যায় ইত্তেবায়ে সুন্নতের মাধ্যমে।
হাদীসে এসেছে : لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أُمَّتِيْ مَا أَتَى عَلَى بَنِيْ إِسْرَائِيْلَ حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ وَإِنَّ بَنِي إِسْرَائِيْلَ تَفَرَّقَتْ عَلَى اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِيْنَ مِلَّةً وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِيْ عَلَى ثَلَاثِ وَّسَبْعِيْنَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِيْ النَّارِ إِلَّا مِلَّةً وَاحِدَةً، قَالُوْا مَنْ هِيَ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِيْ ‘ আব্দুল্লাহ
ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেন বনী ইসরাঈলের ওপর যেমন এসেছিল আমার উম্মতের ওপর হুবহু ঐরকম আসবে
একেবারে জুতায় জুতায় মিলে যাওয়ার মতো। বনী ইসরাঈল বাহাত্তর দলে বিভক্ত
হয়েছিল। আর আমার উম্মত বিভক্ত হবে তিহাত্তর দলে। তন্মধ্যে একটি ছাড়া সবক’টি দলই জাহান্নামে যাবে। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, সে জান্নাতী দল কোনটি ইয়া রাসূুলাল¬াহ? তিনি বললেন, আমি ও আমার সাহাবাগণ যার ওপর আছি’ (তিরমিযী,সহীহ)।এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ ও তাঁর সাহাবীগণ যে আকীদা-বিশ্বাসের ওপর ছিলেন, যে আমল ও কর্মপন্থার ওপর ছিলেন, তা আঁকড়ে ধরাই জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির পথ বলে ব্যক্ত করা হয়েছে।
তিন: ইত্তেবায়ে সুন্নতের মাধ্যমে হিদায়েত হাসিল হয়। আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত এক হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : إِنِّيَ قَدْ تَرَكْتُ فِيْكُمْ شَيْئَيْنِ لَنْ تَضِلُّوْا بَعْدَهُمَا كِتَابَ اللهِ وَسُنَّتِي وَلَنْ يَتَفَرَّقَا حَتَّى يَرِدَ عَلَيَّ الْحَوْضَ ‘ আমি তোমাদের মাঝে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। এ দু’টির পর তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হলো, আল্লাহর কিতাব আর অন্যটি হলো আমার সুন্নত। জিনিস দু’টো তোমাদের থেকে ততক্ষণ পর্যন্ত পৃথক হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমি হাউজে কাউসারের কাছে উপনীত হবো’ (হাকেম, হাসান)।চার. ইত্তেবায়ে সুন্নতের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল¬ামের জামাআতভুক্ত হওয়া যায়, আর সুন্নতের ইত্তেবা ছেড়ে দেয়ার অর্থ হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল¬ামের জামাআত থেকে বের হয়ে যাওয়া।আনাস ইবনে মালেক রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার তিন ব্যক্তি নবী করীম সাল-াল¬াহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিবিগণের ঘরে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর ইবাদতের পরিমাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করতে আসলেন। যখন তাদেরকে এ
সম্পর্কে জানানো হলো তখন যেন তাদের নিকট তা খুব কম মনে হলো। এমতাবস্থায়
তাদের একজন বলল, আরে!
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে আমাদের কী তুলনা! তাঁর
তো পূর্বাপর সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে। অতঃপর তাদের একজন বলল, আজ থেকে আমি সর্বদা সারারাত জেগে নামাজ পড়ব। আরেকজন বলল, আমি দিনের বেলা সর্বদা রোযা রাখব। কখনো রোযা ভাঙ্গব না। তৃতীয়জন বললেন, আমি সর্বদা মহিলাদের সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকব, কখনো বিবাহ করব না। এসময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে আসলেন এবং বললেন, ‘তোমরাই সেই লোক, যারা এমন এমন বলেছে? শোন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি
আল্লাহ তাআলাকে তোমাদের চেয়ে বেশি ভয় করি। তথাপি আমি রোযা রাখি এবং রোযা
ভঙ্গ করি। নামাজ পড়ি আবার ঘুমাই। আমি মহিলাদের বিয়েও করি। অতএব যে ব্যক্তি
আমার সুন্নত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে সে আমার দলভুক্ত নয়’(বুখারী)।নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নত থেকে বিমুখ থাকার দু’টি পর্যায় রয়েছে। একটি হলো গুনাহের পর্যায় আর অন্যটি হলো কুফরীর পর্যায়।যদি কেউ অলসতা ও অবহেলাবশত সুন্নত তরক করে তবে তা হবে গুনাহের পর্যায়। অর্থাৎ এরূপ করার কারণে সে শুধু গুনাহগার হবে; ঈমানহারা হবে না।পক্ষান্তরে যদি কেউ সুন্নতকে অবজ্ঞা করে, অস্বীকার করে, দোষারোপ করে তাহলে তা হবে কুফরীর পর্যায়। কেননা সুন্নতের ওপর দোষারোপ করা, তার সমালোচনা করা ও ত্র“টি-বিচ্যুতি বের করাÑ এক প্রকার কুফরীই বটে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে যথার্থরূপে সুন্নতের অনুসরণ করার তাওফীক দান করুন।