দেশ প্রেম !




  

 بسم الله الرحمن الرحيم
نحمده ونستعينه ونصلي علي رسوله الكريم 

 শয়তানের একটি কৌশলই হলো একটি সুন্দর শব্দের মাধ্যমে মুসলিমদের অন্তরে কিছু ঈমান বিধ্বংসী আকিদা বিশ্বাষ প্রবিষ্ট করানো। শয়তান বলেছিল,
{لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ } [الحجر: ৩৯]
আমি মানুষের সামনে পৃথিবীর অনেক বিষয় সুন্দরভাবে শোভিত করবো এবং তাদের পথভ্রষ্ট করবো।
{সূরা হিজর/৩৯}
একজন হয়তো আপনাকে বলবে,
তুমি কি শান্তিতে বিশ্বাসী নও?
আপনি নিতান্ত আগ্রহের সাথে বলবেন,
অবশ্যই! কেনো নয়? আল্লাহর ৯৯ টি নামের মধ্যে একটি নামই তো আস - সালাম যার অর্থ শান্তি। এভাবে যখন সে বুঝতে পারবে আপনি তার টোপ গিলে ফেলেছেন নিতান্ত আফসোস করে বলবে,
তবে দেখুন এই যে যারা আফগানিস্থান, ইরাকে যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত রয়েছে তারা কি শান্তি বিনষ্ট করছে না?
আল্লাহ আপনাকে রা করুণ, এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকে নাক উচু করে কিছুণ চিন্তা করে ভ্রু কুচকে বলতে পারে,
জী হা জনাব আপনি ঠিকই বলেছেন। তবে জানেন কি এসব যুদ্ধ বিগ্রহের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই যারা এসব করে তারা খাটি মুসলিম নয়।
বৃষ্টির মতো এটোম বোমা বর্ষণ করে যারা নারী ও শিশুর অবোধ প্রান হরনে সদা মত্ত রয়েছেন তাদের দেখবেন চোরের মায়ের মতো উঁচু গলায় মানবতার স্লোগান দিচ্ছে। আপনি ভাববেন, মানবতা? সে তো ভাল জিনিস। এমন ভেবে এদের মিছিলে যোগ দিয়েছেন তো বিপদ, এরা আপনাকে নাস্তিক বানিয়ে ছাড়বে। আপনাকে বলবে,
কেউ থাকে পাঁচ তলায় কেউ থাকে গাছ তলায় একি ন্যায় বিচার? জ্যান্ত মানুষকে পাথর মেরে হত্যা করা বা ডান হাত কেটে দেওয়া এসব কি বর্বর নয়? ইত্যাদি।
মোট কথা একজন মুসলিমকে পথভ্রষ্ট করার জন্য অমুসলিমরা টোপ হিসাবে বিভিন্ন মুখরোচক স্লোগান ব্যাবহার করে থাকে। মানুষের মাঝে কিছু ভূল আকীদা বিশ্বাসের প্রচার করে। মানুষের মানসিক অবস্থা উক্ত ভুল বিশ্বাসটির প্রতি এতটায় অনুরক্ত করে ফেলে যাতে ভুলটিকে ভুল বলতে দেখলেই জনরোষের সৃষ্টি হয়। যেসব আলেম ওলামারা পেট আর পকেটের পূজা করেন তারা ্যাতি নষ্ট হওয়ার ভয়ে প্রচলিত মতটির বিরোধিতা করতে সম হন না ফলে প্রচলিত মতটি আরো বেশি প্রচলিত হয়ে যায়। এমনই একটি শব্দ হলো দেশপ্রেম। দেশপ্রেম শব্দটি নিজে কোনো কুফরী কালাম নয় তবে দেশপ্রেম বলতে বর্তমানে এমন অনেক কিছু বোঝায় বা বিশ্বাস করলে বা বাস্তবায়ণ করলে ঈমান ও আকীদা চিরোতরে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি নিচের পয়েন্টগুলোতে দেশ প্রেমের বিভিন্ন দিক আলোচনা করতে চাই,
দেশপ্রেশ শব্দটির বৈধ প্রয়োগ।
ক . যদি দেশ প্রেম বলতে কেউ নিজের দেশের লোক যাদের সাথে একত্রে এক স্থানে বসবাস করেছে তাদের সাথে উত্তম আচারোন করা বোঝে তবে তা প্রশংসনিয় বটে। ইসলাম নিজের আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে উত্তম আচারনের কথা বলে। এবিষয়ে দলীল প্রমাণ পেশ করে আলোচনা লম্বা করা অনুচিত মনে হচ্ছে।
খ . দেশপ্রেম বলতে যদি বোঝায় আমাদের দেশের মানুষ আফগানিস্থানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছে, বা আমাদের দেশের একজন বিদগ্ধ আলেমে দ্বীন আব্দুর রাহমান ফাকুকীর নামে আফগাস্থিানে একটি ট্রেনিং কেম্প ছিল তবে এধরণের দেশ প্রেমকে স্বাগত জানায়। সাহাবায়ে কিরাম নিজেদের মধ্যে এ ধরনের আলোচনা করতেন, একদল বলতেন আমাদের মধ্যে সেই ব্যাক্তি আছেন যার মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেপে উঠেছিল (সাদ ইবনে মায়াজ রাঃ) অন্য দল বলতেন আমাদের মধ্যে সেই ব্যাক্তি রয়েছেন যাকে যুদ্ধের ময়দানে ফেস্তোরা গোসোল দিয়েছেন (হানযালা রাঃ), যার সা দুজনের সারে সমান ধরা হয়েছে, কেউ কেউ বলতে আমাদের মধ্যে রয়েছে এমন লোক যারা কোরআন মুখস্থ করেছেন যে সময় অন্য কেউ সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্ত করতে পারে নি। রেওয়ায়েতটি মুস্তাদরাকে হাকিমের আমি নিচে উল্লেখ করছি যারা আরবী জানেন মূল রেওয়ায়েতটি পড়ে নিতে পারেন।
المستدرك على الصحيحين للحاكم مع تعليقات الذهبي في التلخيص (৪/ ৯০)
افتخر الحيان من الأنصار الأوس و الخزرج فقالت الأوس : منا من اهتز لموته عرش الرحمن : سعد بن معاذ و منا من حمته الدبر : عاصم بن ثابت بن الأفلح و منا من غسلته الملائكة : حنظلة ابن الراهب و منا من أجبزت شهادته بشهادة رجلين خزيمة بن ثابث و قال الخزرجيون : منا أربعة جمعوا القرآن لم يجمعه غيرهم : أبي بن كعب و معاذ بن جبل و زيد بن ثابت و أبو زيد
সুতরাং এ ধরনের দ্বীনি বিষয় নিয়ে নিজ দেশের প্রশংসা করা উত্তম। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা এখন একজন দেশিয় গায়িকা একঘর পূরুষের সামনে নেচে গেয়ে পুরুষ্কার পেলে গর্ব করি। এসব অবৈধ দেশপ্রেম যার আলোচনা পরে আসছে ইনশাআল্লাহ।
গ . আপনি বড় হয়েছেন বড় চাকুরি নিয়ে শহরে বাসা বেধেছেন এখন যে গ্রামে শৈশব কাটিয়েছেন সেখানে বেড়াতে গেলে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। সেই মাটির গন্ধে আপনার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মহা আনন্দের তৃপ্তি বইতে থাকে। যে নদীতে বন্ধুদের সাথে সারাটা দুপুর লাফা ঝাপা করেছেন, বহুদূর পর্যন্ত সাতার দিয়েছেন বহুদিন পর সেই নদী দেখে আপনার অন্তরে একপ্রকার অদৃশ্য সুখ অনুভূত হবে এটা স্বাভাবিক ও সহজাত। ইসলামের দৃষ্টিতে এধরণের অনুভূতি বৈধও বটে। কিন্তু এটা কি ঈমানের অঙ্গ? এটা কি ফরজ বা অন্তত নফল কোনো ইবাদত? কোনো কিছু বৈধ হওয়া আর ঈমানের অঙ্গ হওয়া কি সমান কথা। ভীষণ আশ্চর্য হতে হয় যখন দেখি একদল আলেম ইয়া বড় পেটে হাত বুলাতে বুলাতে বলেন রসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন,
حب الوطن من الايمان
দেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ।
এদের যদি প্রশ্ন করেন এই কথাটি কোথায় আছে ,এটার সনদই বা কি? তারা বলবেন এটা কিতাবে আছে। সাধারন মানুষ মনে করে কিতাবে আছে মানে নিশ্চয় খাটি জিনিস। দুর্ভাগ্য এই সব সাধারন মানুষের যাদের আলেমরা জ্ঞানের ভারে অজ্ঞান হয়ে যা তা বলতে অভ্যস্ত। কোন হাদীস সহীহ কোনটি জঈফ সে পর্যন্ত তাদের জ্ঞান পৌছায় না কেবল কিতাবে আছে বললেই তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন হয়ে যায়। শুধু কিতাবে থাকলেই হবে না হাদীসটি যে সহীহ হতে হবে সে বিষয়ে তাদের খবর নেই। আমি সকল আলেমের কথা বলছি না। আমার কথা যাদের সাথে মিলে যাবে আমি কেবল তাদের কথা বলছি। আর তাদের ব্যাপারে আমি এভাবেই অপমানজনক কথা বলতে থাকবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ যেনো আমাকে তৌফিক দেন।
উপরে উল্লেখিত হাদীসটি যে কেবল জাল তাই নয় উপরন্তু জাল হাদীসের কিতাব ছাড়া অন্য কোনো গ্রন্থে সেটির উল্লেখ নেই।
ইমাম সুয়ুতীর আল আহাদীস আল মুনতাছিরাতে বলেছেন
لم اقف عليه
অর্থাৎ আমি এটা খুজে পায়নি।
একই কথা ইমাম সাখাবী বলেছেন,
ইমাম সগানী বলেছে হাদীসটি জাল।
শায়খ আলবানী জাল বলেছেন।
মোট কথা জাল হাদীসের গ্রন্থ সমূহ ছাড়া অন্য কোনো স্থানে হাদীসটি খুজে পাওয়া যায় না।
মজার ব্যাপার হলো যে সব গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ আছে প্রায় সব স্থানে এই হাদীসটির পাশাপাশি আর একটি হাদীস উল্লেখ আছে,
حب الهرة من الايمان
বিড়াল প্রেম ঈমানের অঙ্গ।
এটিও একটি জাল হাদীস। যারা এসব হাদীস হতে দলীল প্রমান গ্রহন করে থাকেন তারা বাড়িতে বিড়াল পুষে বিড়ালের সাথে সোহাগ করে ঈমানী দায়িত্ব পালনে ব্যাস্ত হতে পারেন।
দেশের জন্য জান মাল শেষ করে যারা রিক্ত হয়েছেন তেমন একদল লোক ভীষণ বিরক্ত হয়ে বলবেন,
হু, দেশ প্রেম কি অন্যায়?
আমার কথা খেয়াল করবেন আমি কিন্তু বলিনি যে দেশ প্রেম অন্যায় আমি কেবল বলছি দেশ প্রেম অর্থ যদি হয় নিজের আত্মীয়, স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি ইত্যাদির উপর সদয় হওয়া তবে তা অবশ্যয় সওয়াবের কাজ আর দেশ প্রেম বলতে যদি কেউ মনে করেন দেশের মাটির সাথে সম্পর্ক তবে বলব এটা সহজাত ও স্বাভাবিক কিন্তু সওয়াবের কাজ নয় বা কোনো নফল ইবাদতও নয়। ঈমানের অঙ্গ হওয়া তো সুদূর পরাহত। আপনি কি মনে করেন একজন কবি দেশের প্রেমে মত্ত হয়ে মাঠে ঘাটে
মোদের গরব মোদের আশা ................
গেয়ে চলেছে আর অন্যজন সেই সময়টুকু নফল নামায বা কোরআন তেলাওয়াত করে কাটাচ্ছে এদুজনের মধ্যে কে বেশি কল্যানের মধ্যে আছে?
অবৈধ দেশ প্রেম।
এতণ আমরা বৈধ দেশ প্রেম নিয়ে আলোচনা করলাম যারা মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন তারা দেখেছেন যে, নিজের দেশের প্রতি মানসিক টান থাকাটা স্বাভাবিক এবং ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধও বটে কিন্তু তা কখনই ঈমানের অঙ্গ বা সওয়াবের কাজ নয় মিষ্টির প্রতি আসক্তির মতই এটা নিতান্তই ব্যাক্তিগত একটি ব্যাপার কেই ইচ্ছা করলে শৈশবের নদীতে বৃদ্ধ বয়ষে স্নান করে মনের সাধ মিটাতে পারেন কিন্তু এই স্নানকে গঙ্গা সানের মতো পবিত্র জ্ঞান করলে ঈমান নষ্ট হওয়ার আসঙ্কা রয়েছে।
যাই হোক এবারে আমরা অবৈধ দেশ প্রেম সম্পর্কে আলোচনা করতে চাই। বাস্তব সত্য হলো বর্তমানে দেশপ্রেম বলতে এই শেষের প্রকারকেই বোঝায়। আমরা শুধূমাত্র ইনসাফের সার্থে প্রথম প্রকারটি উল্লেখ করলাম মাত্র।
বাংলাদেশের শিা ব্যাবস্থায় দেশপ্রেম শব্দটিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। আমাদের ছেলে মেয়েরা এসব পাঠ্য পুস্তক হতে যা শিখছে তাতে ইসলামের প্রকৃত ভাবধারা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নাই। আসুন, আমরা উদাহরণ সহকারে ব্যাপারটি বুঝার চেষ্টা করি।
ক . ধরুন যখন আফগানিস্থানে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত ছিল এবং বাংলাদেশে যথারিতী মূর্খের শাসন বিদ্যমান ছিল তখন প্রতিটি মুসলিমের কি করা উচিত ছিল। আমাদের জন্য এর উত্তর সহজ,
নিজের দ্বীন ঈমান রা করা ও আল্লাহর রাস্তায় জীবন কুরবান করার অভিপ্রায় নিয়ে আত্মীয়-স্বজন, দেশ-মাটি ইত্যাদি বিসর্জন দিয়ে আফগানিস্থানের পাহাড়ি অঞ্চলে হিজরত করা। এটা নিশ্চিত যে, নিজের বাড়ি, ঘর পরিচিত জন ফেলে যেতে কষ্ট হবে কিন্তু আল্লাহর রাহে সেই কষ্ট সহ্য করাই মর্দে মুমিনের কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করাই ঈমানের অঙ্গ। আল্লাহ সুবঃ বলেন,
{وَمَنْ يَخْرُجْ مِنْ بَيْتِهِ مُهَاجِرًا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ يُدْرِكْهُ الْمَوْتُ فَقَدْ وَقَعَ أَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا} [النساء: ১০০]
যে কেউ হিজরতের উদ্দেশ্যে তার বাড়ি হতে বের হয় কিন্তু রাস্তায় মৃত্যুবরণ করে তবে তার পুরুষ্কার লেখা হয়ে যায় নিশ্চয় আল্লাহ মাশীল ও দয়ালু।
{সূরা নিসা/১০০}
কিন্তু কিছু লোক আছেন সর্বদায় দেশ দেশ করে জীবন শেষ করে ফেলেন আর আবেগের সাথে দুহাত তুলে গাইতে থাকেন,
জীবন বাংলাদেশ আমরা মরন বাংলাদেশ..............
এরা ইসলামী চিন্তাধারার সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারেন না।
খ . দ্বীতিয় একটি সম্ভাবনার কথা চিন্তা করুন। মদীনার মানুষ একসময় তাদের এলাকার জনপ্রিয় নেতা আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে নিজেদের রাষ্ট্র পতি বানাতে চেয়েছিল। পরে যখন তার মুসলিম হলো এবং রসুলুল্লাহ (সঃ) মক্কা থেকে মদীনাতে আগমন করলো তখন তারা নিজেদের এলাকার সন্তান আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে পরিত্যাগ করে রসুলুল্লাহ (সঃ) কে নেতা মেনে নিল, এ সম্পর্কিত বিস্তারিত কাহিনী নিম্নের হাদীসটিতে রয়েছে,
সহীহ বুখারী/ كتاب التفسير/ باب { ولتسمعن من الذين أتوا الكتاب من قبلكم ومن الذين أشركوا أذى كثيرا } / ১৮৬ /
সহীহ মুসলিম/ كتاب الجهاد والسير/ باب فى دعاء النبى -صلى الله عليه وسلم- إلى الله وصبره على أذى المنافقين.}
শুধু সেদিন নয়। রসুলুল্লাহ (সঃ) এর মৃত্যুর পরও মদীনার আনসাররা যতদিন দুনিয়ার বুকে টিকে ছিলেন মক্কার মুহাজিরদের আনুগত্য করে গেছেন। খুলাফায়ে রাশেদা আবু বকর উমর উসমান আলী (রাঃ) সহ অন্যান্য উমায়্যা খলীফারা মক্কার কুরাইশ বংশের ছিলেন মদীনার নয়। একইভাবে মক্কা হতে যেসব মুসলিমরা হিজরত করে মদীনাতে এসেছেন তারা ইসলামের স্বার্থে স্বজাতির সাথে যুদ্ধ করেছেন।
আমাদের বর্তমান দেশপ্রেমে যা শেখানো হয় সেটা কি এই শিার বিপরীত নয়? যদি বর্ষিয়ান নেতা মোল্লা ওমর বা আয়মান আল জাওয়াহিরী বাংলাদেশের নেতৃত্ব গ্রহন করে তবে আমরা কি করবো। যারা আল্লাহর পথের সৈনিক তাদের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর সহজ কিন্তু যারা খাটি দেশপ্রেমিক তারা সেদিন দেশ মাতার জয় হক! স্লোগান দিয়ে মুসলিম মুজাহিদদে বিরুদ্ধে লেগে যাবেন। আর বলা বহুল্য যে দেশ মাতা প্রতি এই উলঙ্গ প্রেম তাদের জাহান্নামে নিপে করবে। রসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন,
صحيح مسلم (كتاب الإمارة/ ০)
مَنْ قُتِلَ تَحْتَ رَايَةٍ عُمِّيَّةٍ يَدْعُو عَصَبِيَّةً أَوْ يَنْصُرُ عَصَبِيَّةً فَقِتْلَةٌ جَاهِلِيَّةٌ
যে ব্যাক্তি অন্ধকার অস্পষ্ট বিষয়ের উপর নির্ভর করে যুদ্ধ করে, জাতিয়তার দিকে ডাকে, জাতীয়তাকে সমর্থন করে এবং এ কারণে নিহত হয় তবে তার মৃত্যু জাহিলিয়াতের মৃত্যু।
মুসলিম
অন্য হাদীসে এসেছে,
سنن أبي داود (كتاب الأدب/ ০)
لَيْسَ مِنَّا مَنْ دَعَا إِلَى عَصَبِيَّةٍ وَلَيْسَ مِنَّا مَنْ قَاتَلَ عَلَى عَصَبِيَّةٍ وَلَيْسَ مِنَّا مَنْ مَاتَ عَلَى عَصَبِيَّةٍ
যে জাতীয়তার দিকে ডাকে সে আমাদের কেউ না। যে জাতীয়তার উপর নির্ভর করে যুদ্ধ করে সে আমাদের কেউ না যে জাতীয়তার জন্য মৃত্যুবরণ করে সে আমাদের কেউ না।
আবু দাউদ
একজন প্রশ্ন করলো কে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে? রসুলুল্লাহ (সঃ) বললেন,
صحيح البخاري (كتاب العلم/ ০)
من قاتل لتكون كلمة الله هي العليا فهو في سبيل الله عز و جل
যে আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী করার জন্য যুদ্ধ করে সেই আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে।
{বুখারী ও মুসলিম}
এবারে চিন্তা করে দেখুন যাদের জীবন বাংলাদেশ মরন বাংলাদেশ তাদের শেষ পরিনতি কি। একইভাবে ভাষা, বর্ণ, স্থান ইত্যাদিকে সামনে রেখে যারা নিহত হয়েছেন হুজুর ডেকে মিলাদ পড়ালেই তারা শহীদের সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন না। তাদের ব্যাপারে শুধু এতটুকু বলা যায় যে তারা একটি কুফরী ব্যাবস্থা ধ্বংস করে অন্য একটি কুফরী শাসণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। কি চমৎকার এই কৃতিত্ব!!!
ইসলামের আকীদা হলো আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিজের দেশ, জাতি, স্বজন এমন কি নিজের পিতা পুত্রের বিরুদ্ধেও লড়তে তৈরী থাকতে হবে। ইসলামের আকীদার সাথে এই দেশপ্রেম কত বেশি সাংঘর্ষিক তা কেবল একজন ইসলাম প্রেমিকই বলতে পারেন।  এই দেশ প্রেম এবং এর যাবতীয় তি হতে আমরা আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই .