হে আল্লাহ তদেরকে হেদায়েত দাও হে আল্লাহ!


আরটিভি ইসলামী অনুষ্ঠানের চরম ইসলাম বিরোধী বিষয়ের প্রচারনা চালাচ্ছে। প্রতিবাদ করার লোক নেই !
আর টিভি ও চ্যানেল আই ও মাই টিভি কর্তিপক্ষ ১০০% ভন্ডদের দিয়ে কবর পুজারী দিয়ে ইসলাম বিরোধী প্রচারনা চালাচ্ছে। প্রতিবাদ করার লোক নেই দেশে! তারা কি আল্লাহর কিতাব পড়েনি?


আলোচকরা ১০০% ভন্ড।তাদের আজকের আলোচনার মূল কথা ছিল নিম্নরুপ:

১. আল্লাহর সব ক্ষমতা দয়াল নবীর ছিল।
২. দয়াল নবী সামনে পিছনে সব দিকে দেখতেন।
৩. যারা পীর পূজা ও মাজার পূজা না করবে তারা জাহেল।
৪. পীর মুরিদদের সব কিছু দেখতে পায়।
৫. বাংলাদেশে পীর পূজা ও মাজার পূজা থেকে মানুষকে দূরে রাখার মাধ্যমে বিপদগামী করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে হাজার হাজার কোটি টাকা বাইরে থেকে যোগান দেওয়া হচ্ছে। ইত্যাদি,,,,,


আসেন দেখি তাদের আলোচনার /ও আল্লাহর কিতাব কিবলে .আল্লাহর দলীল কিবলে।

১. আল্লাহর সব ক্ষমতা দয়াল নবীর ছিল। ///

আল্লাহ বলেন إِنِّي أَعْلَمُ غَيْبَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا كُنتُمْ تَكْتُمُونَ
নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবীর এমন সমস্ত নিগূঢ় তত্ত্ব জানি যা তোমাদের অগোচরে রয়ে গেছে ? যা কিছু তোমরা প্রকাশ করে থাকো তা আমি জানি এবং যা কিছু তোমরা গোপন করো তাও আমি জানি ৷(বাক্বারাহ ৩৩ )

আল্লাহ আরো বলেন وَعِندَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا هُوَ
তাঁরই কাছে আছে অদৃশ্যের চাবি, তিনি ছাড়া আর কেউ তা জানে না৷ (আন-আম ৫৯)

قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَىٰ إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌ وَاحِدٌ ۖ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
হে মুহাম্মাদ! বলো, আমি তো একজন মানুষ তোমাদেরই মতো, আমার প্রতি অহী করা হয় এ মর্মে যে, এক আল্লাহ তোমাদের ইলাহ, কাজেই যে তার রবের সাক্ষাতের প্রত্যাশী তার সৎকাজ করা উচিত এবং বন্দেগীর ক্ষেত্রে নিজের রবের সাথে কাউকে শরীক করা উচিত নয়৷ (আল-কাহফ ১১০)


২. দয়াল নবী সামনে পিছনে সব দিকে দেখতেন।

আল্লাহ বলেন قُل لَّا أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلَا ضَرًّا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ ۚ وَلَوْ كُنتُ أَعْلَمُ الْغَيْبَ لَاسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِيَ السُّوءُ ۚ إِنْ أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ وَبَشِيرٌ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
হে মুহাম্মাদ ! তাদেরকে বলো,নিজের জন্য লাভ -ক্ষতির কোন ইখতিয়ার আমার নেই৷ একমাত্র আল্লাহই যা কিছু চান তাই হয়৷ আর যদি আমি গায়েবের খবর জানতাম, তাহলে নিজের জন্যে অনেক ফায়দা হাসিল করতে পারতাম এবং কখনো আমার কোন ক্ষতি হতো না৷ আমি তো যারা আমার কথা মেনে নেয় তাদের জন্য নিছক একজন সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা মাত্র৷ (আল-আ'রাফ১৮৮)

বাস্ত বতার আলোকে আমরা এই কথা বলতে পারি যে , রাসূলুল্লাহ সাঃ যদি সামনে পিছে গায়েবের খবর জানতেন বা দেখতেন তহলে অবশ্যই তিনি ওহুদের যুদ্ধে,বদরের যুদ্ধে,তায়েফের এবং আরো অন্যান্য অবস্থার পরিপেক্ষিতে কঠিন বিপদের সম্মখীন হতেন না ।

৩. যারা পীর পূজা ও মাজার পূজা না করবে তারা জাহেল।

আল্লাহ বলেন :وَإِذْ قَالَ لُقْمَانُ لِابْنِهِ وَهُوَ يَعِظُهُ يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ ۖ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ
স্মরণ করো যখন লুকমান নিজের ছেলেকে উপদেশ দিচ্ছিল , সে বললো, “ হে পুত্র ! আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না৷ যথার্থই শিরক অনেক বড় জুলুম৷ (লুকমান ১৩)

অর্থ হচ্ছে: , কারো অধিকার হরণ করা এবং ইনসাফ বিরোধী কাজ করা৷ শিরক এ জন্য বৃহত্তর জুলুম যে, মানুষ এমন সব সত্তাকে তার নিজের স্রষ্টা, রিযিকদাতা ও নিয়ামতদানকারী হিসেবে বরণ করে নেয়, তার সৃষ্টিতে যাদের কোন অংশ নেই তাকে রিযিক দান করার ক্ষেত্রে যাদের কোন দখল নেই এবং মানুষ এ দুনিয়ায় যেসব নিয়ামত লাভে ধন্য হচ্ছে সেগুলো প্রদান করার ব্যাপারে যাদের কোন ভূমিকাই নেই৷ এটা এত অন্যায়, যার চেয়ে বড় কোন অন্যায়ের কথা চিন্তাই করা যায় না৷ তারপর মানুষ একমাত্র তার স্রষ্টারই বন্দেগী ও পূজা-অর্জনা করে তার অধিকার হরণ করে৷ তারপর স্রষ্টা ছাড়া অন্য সত্তার বন্দেগী ও পূজা করতে গিয়ে মানুষ যে কাজই করে তাতে সে নিজের দেহ ও মন থেকে শুরু করে পৃথিবী ও আকাশের বহু জিনিস ব্যবহার করে৷ অথচ এ সমস্ত জিনিস এক লা-শরীক আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন এবং এর মধ্যে কোন জিনিসকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বন্দেগীতে ব্যবহার করার অধিকার তার নেই৷ তারপর মানুষ নিজেকে লাঞ্ছনা ও দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দেবে না, তার নিজের ওপর এ অধিকার রয়েছে৷ কিন্তু সে স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে সৃষ্টির বন্দেগী করে নিজেকে লাঞ্ছিত ও অপমানিতও করে এবং এই সঙ্গে শাস্তির যোগ্যও বানায়৷ এভাবে একজন মুশরিকের সমগ্র জীবন একটি সর্বমুখী ও সার্বক্ষণিক জুলুমে পরিণত হয়৷ তার কোন একটি মুহূর্তও জুলুমমুক্ত নয়৷//

আল্লাহ বলেন :وَلَا تَدْعُ مِن دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَ ۖ فَإِن فَعَلْتَ فَإِنَّكَ إِذًا مِّنَ الظَّالِمِينَ
আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কোন সত্তাকে ডেকো না, যে তোমার না কোন উপকার করতে না ক্ষতি করতে পারে৷ যদি তুমি এমনিটি করো তাহলে জালেমদের দলভুক্ত হবে৷ (সূরা ইউনূস ১০৬)

আল্লাহ বলেন : لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
যদি তুমি শির্‌কে লিপ্ত হও তাহলে তোমার আমল ব্যর্থ হয়ে যাবে এবং তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে ।(যুমার ৬৫)

আল্লাহ বলেন : إِنَّهُ مَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ
যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করেছে তার ওপর আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার আবাস জাহান্নাম ৷ আর এ ধরনের জালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই৷ (আল মায়েদাহ ৭২)

৪. পীর মুরিদদের সব কিছু দেখতে পায়।

আল্লাহ বলেন : إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ عِبَادٌ أَمْثَالُكُمْ ۖ فَادْعُوهُمْ فَلْيَسْتَجِيبُوا لَكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাকো তারা তো তোমাদের মতই বান্দা৷ তাদের কাছে দোয়া চেয়ে দেখো, তাদের সম্পর্কে তোমাদের ধারণা যদি সত্য হয়ে থাকে, তবে তারা তোমাদের দোয়ায় সাড়া দিক৷ তাদের কি পা আছে, যা দিয়ে তারা চলতে পারে? (আল আরাফ ১৯৮)

আল্লাহ বলেন : أَمْوَاتٌ غَيْرُ أَحْيَاءٍ ۖ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ
তারা মৃত, জীবিত নয় এবং তারা কিছুই জানে না তাদেরকে কবে (পুনর্বার জীবিত করে) উঠানো হবে৷ (আন নাহল ২১)

এ শব্দগুলো পরিস্কার একথা ঘোষণা করছে যে, এখানে বিশেষভাবে যেসব বানোয়াট মাবুদদের প্রতিবাদ করা হচ্ছে তারা ফেরেশতা, জিন, শয়তান বা কাঠ - পাথরের মূর্তি নয় বরং তারা হচ্ছে কবরবাসী ৷ কারণ ফেরেশতা ও শয়তানরা তো জীবিত আছে তাদের প্রতি নয় ।

অর্থাত :আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য যেসব সত্তাকে লোকেরা ডাকে ) এর মধ্যে নিশ্চিতভাবে নবী, আউলিয়া, শহীদ, সৎ ব্যক্তিবর্গ ও অন্যান্য অসাধারণ লোকদের কথাই বলা হয়েছে ৷ অতি ভক্তের দল এসব সত্তাকে সংকট নিরসনকারী, অভিযোগের প্রতিকারকারী, দরিদ্রের সহায়, ধনদাতা এবং নাজানি আরো কত কিছু মনে করে নিজেদের প্রয়োজন পূর্ণ করার জন্য ডাকতে থাকে ৷ এর জবাবে যদি কেউ বলে আরবে এ ধরনের মাবুদ বা দেব দেবী পাওয়া যেতো না তহলে আমি বলবো এটা তার আরবীয় জাহেলিয়াতের ইতিহাস না জানার প্রমাণ ৷

৫. বাংলাদেশে পীর পূজা ও মাজার পূজা থেকে মানুষকে দূরে রাখার মাধ্যমে বিপদগামী করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে হাজার হাজার কোটি টাকা বাইরে থেকে যোগান দেওয়া হচ্ছে। ইত্যাদি,,,,,

এইটার কথা আর কি বলব এইটা তো তাগুদি সরকারের প্রচারনা ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার!

আল্লাহ তাদের থেকে আমাদের হেফাজত করুন । আমীন