আশরাফ আলী থানবীর ‘তালমুদ্দীন’ নামক গ্রন্থটি অনুবাদ করেছেন তার খলিফা শামছুল হক ফরিদপুরী ।

আশরাফ আলী থানবীর ‘তালমুদ্দীন’ নামক গ্রন্থটি অনুবাদ করেছেন তার খলিফা শামছুল হক ফরিদপুরী । উক্ত গ্রন্থের দশম পরিচ্ছেদে ‘অছিয়াতের বয়ান’ নামে একটি অধ্যায় রচনা করেছেন । সেখানে অনেক বুজুর্গদের অছিয়াত নকল করিয়াছেন । তন্মধ্যে ফরিদপুরীর দাদাপীর এবং থানবীর পীর ইমদাদুল্লাহ মক্কীর ৪৪ টি অছিয়াত উল্লেখ করেছেন তার ৪১ নাং অছিয়াতে লিখেছেন । ‘অলী-আল্লাহর মাজার হইতে ফয়েয হসিল করিতে থাকিবে। [আশরাফ আলী থানভী,তালিমুদ্দীন ২য় খণ্ড ১৯৫ পৃঃ]

তবে কবর যিয়ারত করা,ইসালে সওয়াব করা এবং ‘সাহেবে নিসবত’হলে তাদের (কবরস্থ লোক)থেকে ফয়েয নেওয়া---এগুলো ভাল কাজ । (ইসলাহী নিসাব,তালিমুদ্দীন ৪৯৪ পৃঃ )

সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা! উল্লিখিত কবর হইতে ফয়েজ গ্রহণের আক্বীদাকে শাহ ওয়ালী উল্লাহ দেহলবী [রঃ] তাঁর ‘আল বালাগুল মুবীন’ গ্রন্থের ১৫৯ পৃষটায় বিদআত অর্থাৎ শিরকের চুরা গলি বলে উল্লেখ করেছেন। এ জাতীয় বদ-দ্বীনের তালিম দিয়েছেন জনাব আশঃ থানবী তালিমুদ্দীনের নামে । এগুলো সব শিরকী বিশ্বাস।কবরস্থ অলীগণ জিবীত আছেন, তাদের আহব্বান করা ফায়েজ হাছেল করা আল-কুরআন ও সহীহ সন্নাহ্ পরিপন্থি শিরকী আক্বীদা।যেমন মূর্খ্য পীর মুরিদের ভ্রান্ত বিশ্বাসীরা ধারণা করে কবরে থাকা অলী জিবীত তিনি তাদের আহবান দূর-নিকট থেকে শুনতে পায়, এবং তাদের কবর থেকে ফায়েজ বরকত হাসেল করা যায়।এ জাতীয় ভ্রান্ত ধারনার খাণ্ডন পূর্বক

মহান আল্লাহ বলেনঃ وَالَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللّهِ لاَ يَخْلُقُونَ شَيْئًا وَهُمْ يُخْلَقُونَ
أَمْواتٌ غَيْرُ أَحْيَاء وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ

উহারা আল্লাহকে ব্যতীত অপর যাহাদিগকে আহ্বান করে তাহারা কিছু সৃষ্টি করে না,তাহাদিগকই সৃষ্টি করা হয় । তাহারা মৃত ,জীবিত নয়,আর কখন পনরুজ্জীবিত হবে তা অনুধাবন করতে পারে না । [সূরা নাহ্ল ১৬: ২০-২১]

আরবের মুশরিকেরা উপরযুক্ত ধরনার ভিত্তিতে ওয়াদ ,সুয়া, ইয়াগুস, ইয়াউক, নসর ও অন্যান্য যে সব অলিদেরকে সাহায্যের ও বরকত হাসিলের জন্য আহবান জানাতো, সেসব অলিদের বাস্তব অবস্থা সম্পার্কে উক্ত আলোচনা করা হয়েছে ।এবং তাদেরকে একথা বলা হচ্ছে যে, তোমরা যাদেরকে উক্ত ধারনার ভিত্তিতে আহবান করছ তারাতো ফয়েজ ও সাহায্য করতে পারে না; কেননা তারাতো মৃত। আর মৃতরা ফাইজ দিবে কি করে তারাতো কিছুই শ্রবণ করতে পারেনা পৃথিবীতে কে কী করছে; কখন কী ঘটেছে;কখন কিয়ামত \মহাপ্রলয়ের পর তারা পুনরুজীবিত হবে; এসব ব্যাপারে তাঁদের কোনই অনুভূতি নেই । এই হল ফায়িজ বিতারণকারী ও আহবান কৃত অলিগণের অবস্থা ।বস্তুত মানুষ সৃষ্টির পুর্বে মানুষের রুহকে সৃষ্টি করা হয়েছে ।

অলিগণের দেহ সৃষ্টির পুর্বে যেমন তাঁদের রুহের দ্বারা তারা নিজেরা এবং দুনিয়ার অপর কেউ উপকৃত হতে পারেনি, তেমনি তাদের দেহ মৃত্যুর পরও তাঁদের রুহের দ্বারা তাঁরা নিজেরা এবং অপর কেউ উপকৃত হতে পারবে না,রুহের দ্বারা রুহ নিজের বা অপর কারো উপকার করার জন্য রুহের সাথে জীবন্ত দেহের সহঅবস্থান একান্ত প্রয়োজন । দেহ যখন মরে যায় তখন রুহের জীবিত থাকা আর না থাকা উভয় সমান হয়ে যায়। দেহ মরে যাওয়ার ফলে রুহকে হাজারো আহবান করলেও তা স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী কিছুই শ্রবণ করতে পারে না । তখন তা কারো কোন ফয়েজ বিতারণ ও উপকার করতে পারেনা ।


[what is shirk & why-291-292]
— with Tanim Shahriar Abedin and 56 others.