আশরাফ আলী থানবী মৃত নয় জীবিত !!.

আশরাফ আলী থানবী মৃত নয় জীবিত !!

সম্মানিত মুসলিম ভাই ও ভগ্নিগণ! উপরোক্ত অধ্যায়ে আমরা মাযার ভক্ত মুশরিকদের শিরকীয় আক্বীদা সম্পর্কে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে যে ধারণা দিয়েছি, এই একই ধারণা দেওবন্দী পীর মুরীদির বাহক থানবী ভক্তরা থানবী সম্পকে করে থাকে, তার প্রমাণ লক্ষ্য করুনঃ ‘’ বান্দা ১৬ রজব বুধবার রাত্রে [অথাৎ থানবীর মঙ্গলবার দিন দাফন হয়ে যাওয়ার পর যে রাতের আগমন হয় ,তাতে ] আধা রাতের পর আমার মুর্শিদ থানবীকে স্বপ্নে দেখি । তিনি বলেন,আমাকে মৃত মনে করো না,আমি জীবিত আছি। যে ভাবে আমার জীবদ্দশায় আমার থেকে ফয়েয নিতে, সে ভাবে ফয়েয নিতে থাকবে-ফয়েয হতে থাকবে। [আযীযুল হাছান মাজযুব/পাগল বিশিষট খলিফা থানবী,আশরাফুস্ সাওয়ানেহ্ , বাংলা আশরাফ চরিত, ৭৪৪-৪৫ পৃঃ]

হে আমার সহীহ আক্বীদার ভাইও বোনেরা! এ তো ছিল মাজযুব/পাগল খলিফার স্বপ্ন বিশ্বাস, এবার দেখুন বাস্তব ঘটনা।‘’একটি বিশেষ ঘটনা’’এটি হাফেজ্জী হুজুর বলেছেন । আমি [আযিজুল হাক] শুনেছি,আমার স্পষ্ট মনে আছে ঘটনাটি। তোমরা একথা গুলো লিখে রেখ । ভূলে যেয়োনা । বুজুর্গানে দ্বীনের ঘটনা মনে রাখা চাই । আসলে এযুগে এগুলোর তেমন একটি কদর করেনা ছাত্ররা । ঘটনা টি হল,থানবীর এন্তেকালের কিছুদিন পর হাফেজ্জী হুজুর হিন্দুস্তানে সফরে গিয়েছন । হযরতের ইন্তেকালের সমায় থাণাভবণে একদিন থেকে কেবল হযরত সদর সাহেব হুজুর সেখানে উপস্থিত ছিলেন; আর কেউ উপস্থিত থাকতে পারেননি। সেজন্যেই ইন্তেকালের অল্প কিছুদিন পর হাফেজ্জী হুজুর হিন্দুস্তান সফরে গিয়ে থানা ভবনে হযরতের কবর জিয়ারত করলেন । সূরা ফাতেহা পড়ে জিয়ারত সম্পন্ন করে যখন তিনি ফিরে আসছেন, কয়েক কদম চলেও এসেছেন,তখনই কবরের দিক থেকে বিলকুল থানবীর আওয়াজ ভেসে আসল।..........উর্দু...........’’মুহাম্মদ উল্লাহ! মুজকো মুরদা না সমজো, জিন্দেগীমে জেইছে ফয়েজ হাসেল কিয়া করতে থে ইসি তরাহ আবভী ফয়েজ হাছেল করতে রহেনা’’‘’ অর্থঃ মুহাম্মাদুল্লাহ!আমাকে মৃত মনে করোনা। জীবিত অবস্থায় যে ভাবে ফয়েয হাসিল করতে,এখনো সেই ভাবেই ফয়েয হাসিল করে যাবে। ‘’হযরত হাফেজ্জী হুজুর যখন আমাদেরকে বলেছেন,তখন তিনি একথাটিও বলেছেন, সেই আওয়াজ এখনো যেন আমার কানে বাজে। এতটাই স্পট আওয়াজ ছিল,আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম । এই ঘটনাটি আমার মনে আছে এবং ঘটনাটি সম্পর্কে আমার মাঝে কোন দ্বিধা দন্ধ নেই। [মদীনার টানে,নিবেদিত কাছীদা গুচ্চ,হাদীসে রসূলের (সঃ) জীবন্ত কিং বদন্তী,শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হাক (দাঃবাঃ) এর বর্ণাট্য জীবন থেকে ৫৩পৃঃ]

পাঠকবৃন্দ ! চিন্তা করে দেখুন, উল্লিখিত ঘটনাদ্বয় কি এই শিক্ষা দেয় না যে,যখন জীবিতদের থেকে নিরাশ হয়ে যাবে,তখন থানবীর ন্যায় ফয়েয দাতা বুজুর্গের কবরের নিকট গিয়ে সমস্ত পেরেশানির কথা বর্ণনা কর । কারণ উক্ত বর্ণনাগুলো প্রমাণ করে দেওবন্দী পীর বুজুর্গরা মৃতুর পরেও শুনতে পায় এবং আহবানেও সাড়া দিতে পারে । শুধু তাই নয় ফয়েযও বন্টণ করতে পারে !! অথচ এটা সম্পুর্নরুপে কুরআন ও সুন্নাহ পরিপন্থী বিশ্বাস ।এবং যা র্শিকে আকবর।

মহান আল্লাহ বলেন :{انك لا تسمع الموتي}
“(হে নাবী!) আপনি মুর্দাদের কথা শুনাতে পারবেন না।” (সূরা নাম্ল ৮০)

সম্মানিত পাঠক! সমস্ত সংকীর্ণতা দূর করে হৃদয়কে উদার করে স্বীয় জ্ঞান দ্বারা বিবেককে প্রশ্ন করুন, দেখবেন উপরোক্ত ঘটনাগুলো দ্বারা মাযার পূজার সবক শিখানো হয়েছে, যা প্রকাশ্য র্শিক। যাকে বলে زيارة الاستعانة বা ক্ববরবাসীর নিকট সাহায্য কামনার্থে যিয়ারাত।

উল্লিখিত ভ্রান্ত আক্বীদা প্রতিষ্ঠা করার জন্য দলীল হিসাবে এই একই গ্রন্থে একটি স্বপ্ন উল্লেখ করা হয়েছে পাঠক লক্ষ করুন !! এক বিশিষট প্রভাবশালী ব্যক্তি,(রাবীর চরিএ নাম কিছুই জানা যায় না অর্থাৎ যঈফ/মাজহুল রাবী) যিনি হযরতের মুজাযে সুহবাত ছিলেন, (থানবী) ওফারতের তৃতীয় দিন জুম্মার রাতে স্বপ্নে দেখেন,থানবী খাটে আসন পেতে জীবিত বসে আছেন । ......।।তখন হযরতকে এই জন্য পেরেশান মনে হল যে,দুস্ত-আহবাবকে কেন তাঁর ইন্তেকালের খবর দেওয়া হল,তিনিতো বরং জীবিত আছেন।স্বপ্নেই স্বপ্নদরশী খুব আন্দিত হচ্ছিল যে,আলহামদুলিল্লাহ,হযরত জীবিত আছেন, ইন্তেকাল করেন নি । উল্লিখিত দুটি স্বপ্নের বর্ণনা অধমের (থানবীর অন্যতম খলিফা আযীযুল হাছান মাজযুব/পাগল) অশেষ আনন্দ ও এতমীনান হল । কেননা,আমি নিজে ওয়াফাত শরীফের পর থেকেই অত্যন্ত যোশ ও আস্থার সাথে বার বার নিন্ম শের পড়ছিলাম।.....উর্দূ.... “অথাৎ এখনো সেই রহমত বৃষ্টির বর্ষন হচ্ছে, (খোদা প্রেমের) শরাবের মটকা ও শারাব খানায় সেটা এখনো মোহর যুক্ত ও নিশান লাগানো আছে। যার অন্তর খোদা-প্রেমে জীবিত হয়েছে,সে কখনও মরতে পারেনা, সে সর্বদা দুনিয়ার ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে ।“ আর বলছিলাম যে,আমি তো আল্লাহর ফযলে হযরতে আকদাসের (থানবীর) বরাকাত এখনো সেই রকমই পাচ্ছি” (মৃত্যুর পরে) বরং এখন তো আল্লাহর কসম, পূর্ব থেকেও বেশী অনুভব করছি বস্, মনেকরি যে ,হযরত (থানবী) খানকার স্থলে বালিশে শুয়ে আরাম করছেন। আর একজন নয় বরং কয়েকজন অধমের (মাজযুবের/পাগলের) এ খেয়ালের সমার্থন করছেন । এক রুচিবন ব্যক্তি তো কসম করে বলেছেন যে, “আমার যে বিরাট ফায়েদ হয়েছে তা ওফাতের/মৃত্যুর পরই হয়েছ (নাউযুবিল্লাহ!!আসতাগফিরুল্লাহ!!)। আর আমি কসম খাবনা কেন যখন আমি নিজের মধ্যে এটা অনুভব করছি এবং মুশাহাদা/ দর্শন লাভ করছি” ।(আশরাফ চরিত,প্রাগুক্ত ৭৪৫-৪৬)

হে মুসলিম ভাই! লক্ষ্য করুন থনবীর বা কথিত কোন অলীর মৃত্যুর পর তাকে জীবিত মনে করে তার কবর থেকে ফয়েয ও বরকত লাভের উক্ত ধারণা উপরযুক্ত দলীলের ভিত্তিতে শিরক নয় কি ? এটাই কি মূজাদ্দিদে জামান ও হাকিমুল উম্মাতের কাজ ,আমাদের জানা মতে মুজাদ্দিদে জামানের কাজ হল এ জাতীয় শির্ক বিদ’য়াতের মূল উৎপাঠন করা । কিন্তু এখানে দেখছি হিতে বিপরিত।

এখন লক্ষ্য করুন ! মুজাদ্দিদ সম্পর্কে আল্লাহর নাবী ( সঃ) কি বলেছেন। আবু হুরাইরা (রাঃ)হতে বর্ণিত রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা এই উম্মাতের জন্য প্রতি শতাব্দীর মাথায় একজন মুজাদ্দিদ/যুগসংস্কারক পাঠাবেন,যিনি দ্বীনের সংস্কার সাধন করবেন’(আবুদাউদ হা/৪২৯১,মিশকাত হা/২৪৭; সহীহা হা/৫৯১)