দেওয়ানবাগীর কিছু আকিদা ও উক্তি সমূহঃ

এক নজরে দেওয়ানবাগীর কিছু আকিদা ও উক্তি সমূহঃ
"আমার অসংখ্য মুরিদান স্বপ্ন ও কাশফের মাধ্যেমে আল্লাহর দীদার লাভ করেছে। আমার স্ত্রী হামিদা বেগম ও আমার কন্যা তাহমিনা এ খোদা স্বপ্নের মাধ্যেমে আল্লাহকে দাড়ী গোঁফ বিহীন যুবকের ন্যায় দেখতে পায়"।
সূত্রঃ আল্লাহ কোন পথেঃ ২৩ ।

"সংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন" শুধু আমি নই,আমার স্ত্রী কন্যা সহ লক্ষ্য লক্ষ্য মুরিদানও আল্লাহকে দেখেছেন।
সূত্রঃ সপ্তাহিক দেওয়ানবাগ।

"দেওয়ানবাগে আল্লাহ ও সমস্ত নবী রাসূল, ফেরেস্তারা মিছিল করে এবং আল্লাহ নিজে শ্লোগান দেন"
সূত্রঃ সপ্তাহিক দেওয়ানবাগ, মার্চ ১৯৯৯ ইং।

"আমি এক ভিন্ন ধর্মের লোককে ওজীফা ও আমল বাতলে দিলাম, কয়দিন পর ঐ বিধর্মী স্বপ্ন যোগে মদিনায় গেল। নবীজির হাতে হাত মিলালো। নিজের সর্বাঙ্গে জিকির অনুভব করতে লাগলো। তারপর থেকে ঐ বিধর্মী প্রত্যেক কাজেই অন্তরে আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে থাকে।
সূত্রঃ মানতের নির্দেশিকাঃ ২৩
সুফী ফাউন্ডেশনঃ ১৪৭
আরামবাগ, ঢাকা।

কোন লোক যখন নফসীর মাকামে গিয়ে পৌছেঁ, তখন তার আর কোন ইবাদাৎ লাগেনা।
সুত্রঃ আল্লাহ কোন পথে, পৃঃ ৯০।

জিব্রাইল বলতে আর কেউ নন, স্বয়ং আল্লাহ-ই জিব্রাইল।
সুত্রঃ মাসিক আত্মার বানী,৫ম বর্ষ ১ম সংখ্যাঃ ২১।

"সূর্যোদয় পর্যন্ত সাহরী খাওয়ার সময়, সুভে-সাদেক অর্থ প্রবাতকাল। হুজুরেরা ঘুমানোর জন্য তারাতারী আযান দিয়ে দেয়। আপনি কিন্তু খাওয়া বন্ধ করবেন না। আযান দিয়েছে নামাযের জন্য, খাবার বন্ধের জন্য আযান দেওয়া হয় না।
সুত্রঃ আত্মারবানী,সংখ্যাঃ নভেম্বর ৯৯ পৃঃ ৯।

"মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হায়াতে জিন্দেগীকে পুলসিরাত বলা হয়।
সুত্রঃ আল্লাহ কোন পথে, তৃতীয় সংস্করনঃ ৬০।

"আল্লাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে আত্মা এক বিচ্ছেদ যাতনা ভোগ করতে থাকে, প্রভুর পরিচয় নিজের মাঝে না পাওয়া অবস্থায় মৃত্যু হলে সে বেঈমান হয়ে কবরে যাবে। তখন তার আত্মা এমন এক অবস্থায় আটকে পড়ে যে, পূনরায় আল্লাহর সাথে মিলনের পথ খুজেঁ পায়না। আর তা আত্মার জন্য কঠিন যন্ত্রনাদায়ক। আত্মার এইরূপ চিরস্থায়ী যন্ত্রনাদায়ক অবস্থাকেই জাহান্নাম বা দোযখ বলা হয়।
সুত্রঃ আল্লাহ কোন পথেঃ ৪৪।

"দেওয়ানবাগী নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করেন, অতঃপর দরূদে মাহদী রচনা করেন। দরূদে মাহদীঃ 
"আল্লাহুম্মাহ ছাল্লীআলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিউ ওয়ালা আলা ইমাম মাহদী রাহমাতল্লিল আলামীন ওয়ালিহী ওয়াছাল্লীম।

"ময়লার স্তূপে অর্ধমৃত ও বিবস্ত্র অবস্থায় রাসূল(সঃ) কে দেখেছি।
দেওয়ানবাগী ১৯৮৯ সালে নাকি একটি ব্যতিক্রম ধর্মী স্বপ্ন দেখে ফেলেন, এ স্বপ্ন সম্পর্কে তিনি বলেন।
আমি দেখি ঢাকা ও ফরিদপুরের মধ্যেবর্তী স্থানজুড়ে এক বিশাল বাগান, এই বাগানে আমি একা একা হেঁটে বেড়াচ্ছি। হটাৎ বাগানের এক স্থানে একটি ময়লার স্তূপ আমার চোখে পড়ে, আমি দেখতে পায় এই ময়লার স্তূপে রাসূল(সঃ) এর প্রানহীন দেহ মোবারক পড়ে আছে, তার মাথা মোবারক দক্ষিন দিকে আর পা মোবারক উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা মোবারক হাঁটুতে ভাজ হয়ে খারা অবস্থায় রয়েছে। আমি তাকে উদ্ধার করার জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। আমি এগিয়ে গিয়ে তার বাম পাঁয়ের হাটুতে আমার ডান হাত দ্ধারা স্পর্শ করলাম। সাথে সাথেই তার দেহ মোবারকে প্রান ফিরে এল। তিনি চোখ মেলে আমার দিকে থাকালেন। মূহুর্তের মধ্যেই রাসূল(সঃ) সুন্দর পোশাকে সু-সজ্জিত হয়ে গেলেন।তিনি উঠে বসে হাসি মুখে আমার দিকে থাকিয়ে বললেন, হে ধর্ম পূনর্জীবন দানকারী। ইতি মধ্যেই আমার ধর্ম আরও পাঁচ বার পূনর্জীবন লাভ করেছে। একথা বলে রাসূল(সঃ) উঠে দাড়িয়ে হেঠে হেঠে আমার সাথে চলে এলেন। এরপর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
সূত্রঃ দেওয়ানবাগীর স্বরচিত গ্রন্থ, রাসূল(সঃ) সত্যিই কি গরীব ছিলেন ? ১১-১২ প্রকাশ কালঃ জুন ১৯৯৯ইং।