ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা জেনে আমল করতে হবে|

বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম|
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর| শান্তি অবতীর্ণ হোক রাসুল (সা:) এর উপর|
ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা জেনে আমল করতে হবে|
যে জানেনা তারাই অবুঝ অশিক্ষিত | এটা কোনো গালি নয়, এটা বিশেষণ| ক্ষেত্র বিশেষে দোষও বটে! 
জেনেও যদি না

 মানে তার নাম জালেম | আর যদি বুঝার চেষ্টা না করে তাহলে সে জাহেল!
জেনেও মানেনা যারা তারা হলো জালেম, জানার চেষ্টা করে না যারা তারা হলো জাহেল|

যারা মুমিন নয়, তাদের কানে আছে ছিপি, আর কোরআন তাদের জন্যে অন্ধত্ব। তাদেরকে যেন দূরবর্তী স্থান থেকে আহবান করা হয়। সূরা হা-মীম সেজদাহ (মক্কায় অবতীর্ণ), 44

“নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহ্‌র কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ।
সুত্রঃ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৩৫ ও সুনান আন-নাসায়ী, হাদীস নং ১৫৬০, হাদীসের শব্দ চয়ন নাসায়ী থেকে।

কুরআনে বলা হয়েছে শিক্ষিত আর অশিক্ষিত কি সমান? এবং আরো এরশাদ হয়েছে উপদেশ গ্রহণ করে শিক্ষিত মানুষ!
অপরদিকে সহিহ হাদিস থেকে জানা যায়, কেয়ামতের সন্নিকটে মুর্খতা বৃদ্ধি পাবে এবং জ্ঞান উঠে যাবে| কিন্তু আমরা তো দেখছি সমাজে শিক্ষিতের হার বাড়ছেই| এই বছর সর্বাধিক সংখ্যক জি পি এ ৫ পেয়েছে! লক্ষ্য লক্ষ্য ছেলে মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে| এরা কি শিক্ষিত নয়?

হ্যা এডমিনের মাথা বুঝি নষ্ট হয়েছে| ফেসবুক আলেম সেজে কি যাতা বলে বেড়াচ্ছে|

রাসুল (সা:) বললেন মুর্খতা বাড়বে আর বিদ্যা/জ্ঞান কমে যাবে অথচ সমাজে শিক্ষা বাড়ছে! রাসুল (সা:) কি মিথ্যা বলেছেন? নাউজুবিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ|

আজকে শিক্ষা অর্জন হচ্ছে শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের লক্ষে| জ্ঞান অর্জনের লক্ষে শিক্ষা খুব খুব কমই হচ্ছে| বেশিরভাগ ছাত্রকে জিগ্গেস করলে কেউ বলবেনা আমি শিক্ষক হতে চাই, বা আলেম হতে চাই বা আমি কৃষক হতে চাই| কোনো ছাত্রই ছাত্রাবস্থায় চিন্তা করে না হালাল আয় রোজগারের ব্যাপারে| তাদের একটাই লক্ষ্য অমুক হবে তমুক হবে| মৃত্যু যে হবে তার পড়ে যে জীবন আছে সেই জ্ঞান কয়জনের আছে?

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে সেরা ছাত্র দাড়ি চেচে মুখে সিগারেট ফুকিয়ে বুকের বোতাম খুলে টাখনুর নিচে প্যান্ট ঝুলিয়ে নেত্রিত্ব দিচ্ছে ক্যাম্পাসে| সে জানে না নেতৃত্ব কাকে বলে, সে জানে না দাড়ি চাচা কবিরা গুনাহ, সে জানেনা সিগারেট হারাম, সে জানেনা টাখনুর নিচে প্যান্ট পড়া কঠিনভাবে নিষেধ| সে তো দেখা যায় কিছুই জানে না| তো তাকে শিক্ষিত বলছে কেন মানুষ? সে যদি এই অবস্থায় মারা যায় তার স্থান কোথায় হবে?

মধ্যবিত্ত ঘরের খুব সহজ সরল মেয়ে| আর্থিক অনটনে বাবা কষ্ট করে মেয়েকে শিক্ষিত করিয়েছেন| মেয়ে এইচ এস সি পাশ করে সর্বোচ্চ বিদ্যা পিঠে চান্স পেয়েছে| বাবার কত আনন্দ| মেয়েরও খুব আনন্দ| সবাই খুশি| বাবা অত্যন্ত খুশি, আনন্দে বলে বেড়ান 'আমার মেয়ে অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে' ! অথচ বাবা জানেনা শিক্ষা কি জিনিস, মেয়েও জানেনা শিক্ষা কি জিনিস|

রাসুল (সা:) বলেছেন বিদ্যা উঠে যাবে, মুর্খতা বৃদ্ধি পাবে| তাহলে মেয়েটি ছেলেটি কি আসলেই জ্ঞানী হচ্ছে নাকি আরো মুর্খ হচ্ছে? যেই জ্ঞান দুনিয়া পরবর্তী জীবনে কোনো কাজে লাগবে না সেই জ্ঞানের মূল্য কি?

আরবের লোকেরা জাহেল ছিল| জাহেল ছিল মানে কি তারা বর্বর ছিল? মোটেও না| বরং তারা অজ্ঞ ছিল আল্লাহ সম্পর্কে| তারা পূজা করত দেব দেবীর| ঠিক আজকে বর্তমানে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র ছাত্রীরা কি মুর্খ বা বর্বর? অবশ্যই না| কিন্তু তাদের অনেকেই জাহেল অর্থাত ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ|

আল্লাহ বলেন,
আর এমন লোকও রয়েছে যে বিনা জ্ঞানে, বিনা দলিলে ও বিনা স্পস্ট কিতাবে আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে। আল্লাহর রাস্তা হতে লোকদের ভ্রষ্ট করার জন্য, তার জন্য দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনা এবং কিয়ামতে আমি তাকে দহন আজাব ভোগ করাব। সূরা আল হাজ্ব ৮।

এডমিন বাড়াবাড়ি কথা বলছেন, মেয়েরা কি ঘরে বসে থাকবে? আপনি খাওয়াবেন মেয়েদের| এই যুগে বসে মধ্য যুগিয় কথাবার্তা বলছেন!

মেয়েরা আজ ঘরের বাইরে| বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে| ছেলে পড়তে পারলে মেয়ে পারবে না কেন? ইসলাম কি মানা করে লেখা পড়া করতে? ইসলাম মানা করে কিনা এইটা হচ্ছে তাদের প্রশ্ন! তারা শুধু প্রশ্ন করেই খালাস| আরে ভাই/ বোন আপনি তো নিজেকে শিক্ষিত বলছেন নিজেই যাচাই করে দেখেন না কেন? ইসলাম বলে যে আপনি শিক্ষা গ্রহণ করেন| কিন্তু ইসলাম বলে না আপনি কু শিক্ষা গ্রহণ করেন| শিক্ষা আর কু শিক্ষা কি এক?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়| পহেলা বৈশাখ| দেশের সেরা ছাত্র ছাত্রীদের বিদ্যা পিঠে বিশাল রথ যাত্রার আয়োজন| মূর্তি ঢোল বাজনা আর রকমারি পোশাকে সেই কষ্টার্জিত বাবার লালিত মেয়েটিও আছে সেখানে| কি করবে সবাই যে করে, সবাই যে আসে| আগে কিন্তু আসত না| আগে ছিল না এই রথ যাত্রা বা মঙ্গল শোভা যাত্রা| আগে ছিলনা এখন হয়েছে| শিক্ষা নাকি বাড়ছে| ইসলাম শিক্ষা নিতে বাধা দেয় নাই কিন্তু ইসলাম এই পারমিশন দেয় নাই আপনি শিক্ষার নামে এইগুলা শিখবেন|

ছেলে মেয়ে একসাথে শিক্ষা যাকে কো এডুকেশন বলা হয়| কেন এটা করা হলো? কেন আলাদা করা হলো না? ভবিষ্যতে যদি এমন করে যে একটি ছেলে আর একটি মেয়ে পাশা পাশি বসবে শ্রেণী কক্ষে| কিছু মানুষ প্রতিবাদ করবে কিন্তু কেউ তা বয়কট করবে না| অনেক শিক্ষার্থীরা নাকি বাধ্য হবে| আর এভাবেই মুর্খতা বৃদ্ধি পাবে| মানুষ শিখবেই এমন জিনিস যা আসলে পারত: পক্ষে জ্ঞান নয় যা শিক্ষার নয়|

আগে ছেলে মেয়ে আলাদা ছিল পড়ে ক এডুকেশন হলো| আরো সামনে ডুয়েল এডুকেশন সিস্টেম যে হবে না তা বলা যচ্ছে না| সেটাই হোক মানুষ মেনে নিবেই|
একজন পরিমলকে শত দোষ সমাজের মানুষ দিচ্ছে| কিন্তু পরিমলের কাছে যে মেয়েটিকে পাঠানো হলো এটা বেমালুম সমাজ ঢেকে রেখেছে| তথাপি ছাত্রীর পোশাকও স্যারকে স্যার থাকে দেয় নি! শয়তান সুযোগেই থাকে সবসময় মানুষকে লোভনীয় কিছু একটা দেখিয়ে পথচ্যুত করতে| ছাত্রীর পিতা মাতা কিন্তু পরিমলকে জ্ঞানী মনে করেই তাদের মেয়েকে পাঠিয়েছিলেন জ্ঞান শেখার জন্য | অথচ পরিমল হচ্ছে অত্যন্ত জাহেল এবং জালেম| কি প্রাইভেট এই ব্যবসা কি বন্ধ হয়েছে?

গতকাল পেপারে দেখলাম কোনো এক হিন্দ রাসুল (সা:) নিয়ে কি বলেছে না না বলেছে তার জন্য পাবলিক ইয়া বড় এক বাশ নিয়ে হেব্বি ভাংচুর এর আয়োজন| অথচ কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজে নামাজ ঘর তালাবদ্ধ ছিল আর ছাত্রীদের হিজাব খলেতে বাধ্য করা হচ্ছিল| অথচ আমরা কোনো বাশ বহনকারী উত্তেজিত জনতা দেখতে পাই নাই|

রোহিঙ্গাদের নিয়ে ফেসবুকে জিহাদ চলছে| রোহিঙ্গাদের একইভাবে খেয়ে ফেলছে যেন পাবলিক| অথচ এমন সরকার নির্বাচন এই জনগনই করেছে যারা সীমান্তে বি ডি আর (প্রাক্তন) এর হাতে বাসের লাঠি তুলে দিয়েছিল বি এস এফ এর অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিপরীতে|

রাসুল (সা:) বলেছেন মুর্খতা বৃদ্ধি পাবে , জ্ঞান উঠে যাবে|

যেমন? যেমন ইংলিশ লিটারেচার| যত নাট্যকারের নাটক উপন্যাস এই লিটারেচার এ পড়ানো হয় | এরা শেক্সপিয়রের নাটক মুখস্ত করে ইংলিশ শিখছে! মৃত্যুর পর কি কাজে লাগবে এই নাটক?
ব্যবসায় প্রশাসন! অনেক বড় প্রগ্রেসিভ সাবজেক্ট| আগা টু গোড়া সুদ আর সুদ আর সুদের হিসাব| অথচ কমার্স এর ছাত্রদের বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন হচ্ছে সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা| একাউন্টিং এর কোন অংশটা সুদ মুক্ত? অথচ যারা সুদের হিসাব রাখে , সুদের স্বাক্ষী, সুদ দাতা গ্রহীতা এদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে| যেহেতু দুনিয়া সেদিকে যাচ্ছে তাই আমাদের শিখা উচিত| ভালো কথা কিন্তু শাস্তি এড়াবেন কিভাবে সেটা কি বিবেচনায় আছে? কয়েক বছর আগেও বি বি এ বা এম বি এ ছিল না| এখন এসেছে আর পোলাপাইন হুমড়ি খেয়ে দৌড়াচ্ছে! পোলাপাইনরে দোষ দিয়ে লাভ নাই| কারণ তাদের যা শিখানো হচ্ছে তা-ই শিখছে|

সাইন্স আবার 'মনে করি' / ''ধরা যাক'' ছাড়া প্রমাণিত হয় না| যেমন, বিভিন্ন একক, পরিমাপ বা আনুমানিক ভর এগুলো কিন্তু ধরে নেয়া হয়েছে| পর্যায় সারণীতে নতুন নতুন পদার্থ যোগ হয়েছে| ভবিষ্যতে আরো যোগ হতে পারে| একসময় অনু ছিল ক্ষুদ্রতম কনা, পড়ে আসলো পরমানু এর পর আসলো নিউট্রন প্রোটন আর ইলেকট্রন, বর্তমানে আবার হিগস বোসন কনা| নিউটনের কিছু থিওরি এখন চলে না| কারণ নতুন থিওরি চলে এসেছে| বর্তমনে অভিকর্ষজ তরন ৯.৮ মি/সে. জানিনা আরো কিছু সামনে এটি পরিবতন হয়ে যাবে কিনা|
জনৈক সাইন্স এর অধ্যাপক সাইন্স ফিকশন লিখেন| সাইন্স এর বিদ্যা বেশি নিয়ে তিনি হয়ে গেলেন নাস্তিক| তিনি একজন প্রফেসর, সবাই তাকে জ্ঞানী বলছে অথচ সে নাস্তিক| আদৌ কি সে জ্ঞানী নাকি জাহেল ও জালেম দুটোই? এই প্রফেসর অবশ্যই জ্ঞানী নয়| এ হচ্ছে মূর্খদের প্রফেসর বড় মুর্খ| এই প্রফেসর সেই জাহেলিয়াত যুগের মতই অজ্ঞ| এই অজ্ঞ কে যারা জ্ঞানী বলে আর জ্ঞানী মানে তাদের কাছে জ্ঞান মানেই নাস্তিকতা|

বায়োলজি ডারউইন এর তত্ত নিয়ে কত কিছু লিখছে যা কুরআনের বিপরীত| সামাজিক বিজ্ঞান আদিম ইতিহাস লিখছে যা কুরআনের কথার সাথে সাংঘর্ষিক| মানুষ নাকি আগে কিছুই জানত না কাচা মাংস খেত? অথচ আল্লাহ কুরআনে বলে দিয়েছে যে তিনি আদমকে (আ:) শিক্ষা দিয়েছেন|
শরত্চন্দ্র আর রবীন্দ্রনাথের বাংলা সাহিত্য সর্বোচ্চ ডিগ্রির পাঠ্য! মানুষ শিখবে কি তাহলে? জ্ঞান নাকি মুর্খতা? আল্লাহ কে ভুলে যাওয়ার শিক্ষাই হচ্ছে মুর্খতা|

দিনের পর দিন চিল্লায় কাটাচ্ছে| মাশআল্লাহ দিনের পথে তাবলিগ জামায়াত মানুষকে আহবান করছে| আল্লাহ তাদের উপর রহম করুন| একদিন দুই দিন নয় চল্লিশটি দিন আপনি ইসলাম চর্চা করলেন বলেন তো আপনি ইসলামের কি শিখলেন? চিল্লা দিয়েছেন দ্বীনের খেদমত করেছেন আপনি ভাবছেন| আপনি ভাবছেন যে আপনি খুব ভালো কাজ করেছেন| পুরোটাই কিন্তু আপনার ভাবনা| আপনি ভালো মনে করেই চিল্লা দিচ্ছেন তাবলিগ জামায়াত করছেন| চল্লিশটি দিন আপনি ইসলাম শিখলেন অথচ আপনি বুঝতেই পারছেন না ফাজায়েলে আমল, হজ্জ, সদকা কিতাবে শিরক এ ভরপুর| শিরক বিষয়টাই শিখতে পারলেন না তো শিখলেন কি? আপনি ধরতেই পারছেন না কোথায় শিরক আর কোথায় জাল হাদিস!

আল্লাহ বলেন,
ওদের দেবতারা দ্বীনের এমন বিধান ওদের দিয়েছে আল্লাহ যার অনুমতি দেন নাই, কিয়ামত ঘোষণা না থাকলে ওদের মাঝে বিচার মীমাংসা হয়ে যেত। যারা পাপাচারী তারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে। সূরা শূরা ২১।

চল্লিশটি দিন ইসলাম চর্চা করেও আপনি শিখতে পারেন নি আল্লাহ আরশের উপর আছেন, সর্বত্র বিরাজমান নন| আপনি চল্লিশটি দিন ইসলাম চর্চা করে বলছেন আল্লাহ দুনিয়ার সর্বত্র বিরাজমান রাস্তা ঘাট, গাছপালা মানুষ পশুপাখি সবকিছুতে আল্লাহ আছেন| যখন আপনাকে প্রশ্ন করা হয় মুর্তিতেও কি আল্লাহ আছেন? তখন উত্তর আসে, না কাহারাপ জিনিসগুলোতে আল্লাহ থাকেন না| এই ই শিখেছেন? এটি বিদ্যা? না কু বিদ্যা? বছরের পর বছর মাদ্রাসায় পড়ছে তবুও সেও এই একই কথা বলে| শিখলা কি বাপু? জ্ঞান শিখলা নাকি মুর্খতা শিখলা? বড় বিশাল একটা পাথরের পাহাড়| ওতে কি আল্লাহ আছেন? জ্বী আছেন| ওই পাহাড় থেকে এক খন্ড পাথর ভেঙ্গে এনে মূর্তি বানানো হলো, আল্লাহ আছেন এতে? না মূর্তিতে আল্লাহ নাই! এখন নাই কেন? আপনি কি আল্লাহকে তাড়িয়ে দিয়েছেন নাকি? (নাউজুবিল্লাহ)| এগুলো কি জ্ঞান?

ওই মিয়া এডমিন, আপনি ফেতনা ফেসাদ বাড়াচ্ছেন ফালতু এডমিন|

থামেন থামেন ভাই/বোন| এত উত্তেজিত হইয়েন না| ফায়দা নাই| শায়খ উসাইমীন, সৌদি সর্বোচ্চ ফতোয়া বোর্ডের একজন বিশেষজ্ঞ, তিনি বলেছেন যারা বলে বা বিশ্বাস করে আল্লাহ স্বশরীরে সর্বত্র পৃথিবীতে, বিভিন্ন বস্তুতে, প্রাণীতে বিরাজ করেন তারা 'কাফের'| এডমিন আপনাদের 'কাফের' হয়ে যাওয়া থেকে সতর্ক করার চেষ্টা করছে মাত্র| কারণ আপনি যখন পথচ্যুত হবেন দুই দিন পর আপনি আমাকেও টান দিবেন|

যার যার ধর্ম তার তার:-

বর্তমান সময়ের জ্ঞানীদের কথা| যারা ইসলাম সম্পর্কে খুব খুব খুব অজ্ঞ ও খুবই অল্প পরিমানে জানে বা যাও জানে ভুল জানে তারাই কেবল এই কথাটি বলে| তারা বলে সুরা কাফিরুন এ নাকি বলা হয়েছে যার যার ধর্ম তার তার| দেখেন সুরার নামটিই হচ্ছে 'কাফিরুন'| কাফের বলাম মুসলিম| এই সুরে বলা হয়েছে 'তোমরা যার ইবাদত কর আমি তার ইবাদত করি না' অর্থাত তারা যেই দেবতার ইবাদত করে রাসুল (সা:) তার ইবাদত করেন না | যার যার কর্মফল তার তার|

“যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন অনুসন্ধান করে, তা কখনোই তার কাছ থেকে গ্রহণ করা হবে না”।[1 সূরা আলে-ইমরান : ৮৫]

যার যার ধর্ম তার তার নয়| মুসলিম এর ধর্ম মুসলিম এর| ধর্ম পৃথিবীতে একটাই| যদি বলেন যার যার ধর্ম তার তার তাহলে অন্য ধর্মগুলিকে স্বীকৃতি দেয়া হলো| রাসুল (সা:) সুরা কাফেরুন এ ধর্মের কথা বলেন নি বলেছেন রব এর কথা| তারা যে রব এর ইবাদত করে আমরা মুসলিমরা সেই রব এর ইবাদত করি না| এখানে এই রব এর জায়গায় ধর্ম বসিয়ে বিতর্ক করা হচ্ছে| এবং এই হচ্ছে মর্ডান জ্ঞান|
ইসলাম বলে সন্তানের বয়স সাত বছর হলে তাকে নামাজের দাগিদ দাও, ১০ বছরে প্রয়োজনে প্রহার কর| তাকে মেরে হলেও নামাজ পড়াতে হবে | অথচ আপনি বলছেন যার যার যার যার ...?
একজন বেনামাজি পাশের আরেকজনকে বে নামাজি বানাতে পারে| একজন সিনেমা প্রেমিক আরেকজনকে সিনেমায় নিয়ে যেতে পারে, একজন ধুমপায়ী থেকেই আরেকজন ধূপমান করা শিখে|
ইসলাম এর বড় বড় স্কলার যেমন ইমাম আবু হানিফা বেনামাজিকে কারাগারে বন্দী করে রাখতে বলেছেন যে পর্যন্ত যে দৈনিক নামাজ পরার অঙ্গীকার না করে| অথচ আপনি বলছেন যার যার যার যার .....?

এই যার যার যার যার এর জন্যই আজ সমাজ থেকে যার যার ধর্ম বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে|

এডমিন আপনি এত বড় বড় কথা বলছেন, আপনি বুঝি অনেক বড় মাওলানা? কথা থেকে পাশ করেছেন? আপনার এত সমস্যা কেন?

এডমিন অতি সাধারণ একজন মানুষ| প্রচলিত স্কুল, হাইস্কুল, কলেজ এবং সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার পাঠ চুকানো শেষ| এডমিন এত বড় বড় কথা এখন বলা ধরেছে| কেন জানেন? এডমিন ধীরে ধীরে ইসলাম শিখছে| এডমিন অন্যায় করে পাপ করে, ভুল করে আবার ইসলাম প্র্যাকটিস করার চেষ্টাও করে| এডমিনের অনুপ্রেরণা কোনটি জানে? সেই ৯৯ ব্যক্তিকে (পড়ে ১০০) হত্যাকারী ব্যক্তির ঘটনা|

এডমিন বড় বড় কথা এইজন্য বলে যেন এডমিন প্রচলিত মুর্খতার সাগরে ভেসে না যায়| অন্তত নিজের ভেতরে যেন ইসলাম সবসময় সক্রিয় থাকে| মুর্খতার প্রলোভনে যেন হারিয়ে না যায়| পাপ করব মাফ আছে| কিন্তু আমাকে জানতে হবে তো, মানতে হবে তো যে একজন আল্লাহ আছেন যিনি ক্ষমাশীল| এই উচিত কথাগুলো বারবার আওরাই যেন মনুষত্ব বিলীন হয়ে না যায়| যেন মুখ থেকে এমন চলে না আসে 'মৃত্যুর পর মাটিতে মিশে যাব''|

অন্তত আমার জন্য যেন কোনো মানুষ পথচ্যুত না হয়| আমি পাপ করি সেটা আমি জানি আমার রব জানে, কিন্তু আমার জন্য আরেকজন যেন পাপ না করে| অন্তর থেকে যেন জ্ঞান বিদ্যা জততুকই শিখেছি তা যেন উঠে না যায়| এইই প্রচেষ্টা|
রাসুল (সা:) স্বয়ং আল্লাহর রাসুল ইসলামের দাওয়্ত দিয়েছেন, আল্লাহর কথা বলেছেন| মানুষ রাসুল (সা:) কে পাগল বলে ডেকেছে, জাদুকর বলে ডেকেছে| সরাসরি নবীর কথা শুনে, মোজেজা দেখেও মানুষ ইমান আনেনি| তখন মানুষ বলত 'বাপ দাদারা বা পূর্ব পুরুষরা (পাদ্রী) কি ভুল করেছিলেন?'' আজ বর্তমানেও মানুষের সামনে হক্ক কথা বললে তারাও একই রকম উত্তর দেয়, 'অমুক হুজুর/অমুক আলেম কি ভুল বলছেন নাকি'|

কবরে তিনটি প্রশ্ন হবে| তিনটির উত্তর দিতে পারলে ফেরেস্তারা খুশি হয়ে আরেকটি প্রশ্ন করবে যে এই উত্তর গুলো কিভাবে জানলো সে? তখন উত্তর দেয়া হবে যে 'কুরআন পড়ে হাদিস পড়ে জেনেছে'!

আজকের শিক্ষিত প্রজন্মের কাছে প্রশ্ন, প্রশ্নটি আমার নিজের কাছেও, উত্তরে কি আমরা বলতে পারব:- বাংলা, ইংরেজি, সামাজিক বিজ্ঞান, অর্থিনীতি, পরিমিতি, জ্যামিতি, রসায়ন, পদার্থ বিদ্যা, ভূগোল ইত্যাদি পড়ে আমরা আল্লাহ ও রাসুল (সা:) সম্পর্কে জেনেছি?

তবে কি এগুলো পড়বনা? আপনার কোথায় নাচলে চলবে?
আমাদের কোথায় নাচার কথা আসছে না| সমাজে মুর্খতা বাড়তেই থাকবে| মানুষ ভাববে সে শিক্ষিত হচ্ছে আসলে মুর্খতা বাড়ছে| কারণ কুরআন হাদিস ত্যাগ করাই হচ্ছে মুর্খতা| সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা চাপিয়ে দিবে আর অভিভাবক শিক্ষার্থীরা তা মেনে নিয়েই এগিয়ে যাবে| এভাবেই মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে| এই অবস্থার মধ্যেও কিছু মানুষ ইসলাম কে ধরে রাখবে| যারাই ধরে থাকবে তারাই সফলকাম হবে|

খুব কষ্ট করে যারা এত দীর্ঘ লেখাটি পড়েছেন তাদের কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা| বিবেক বোধ তথা ইসলামিক বোধ টিকিয়ে রাখতে, ধরে রাখতেই এই কথাগুলো শেয়ার করা| আরো সাবলীল ও সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে নিচ্ছি| সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর| শান্তি অবতীর্ণ হোক রাসুল (সা:) এর উপর| আমরা চাই আমরা সফলকামদের অন্তর্ভুক্ত থাকতে| সুরা ফাতেহার শেষ দুটি লাইন, আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
আমিন ইয়া রাব্বুল আরশিল আজিম|