নাস্তিকতা কী এবং নাস্তিকদের ব্যাপারে রায় কী ..... ?

নাস্তিক হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত পথ ,নীতি ও আদর্শ বর্জন করে গলদ ও মেকী আদর্শের প্রতি ঝুকে যাওয়া এবং নানা অজুহাতে আল্লাহ তা'আলার হুকুমের উল্টো পথে নিপতিত হওয়া .তাই আল্লাহ তা'আলাহ প্রদত্ত তাওহীদের পথকে উপেক্ষা করে যারা সন্দেহজনককথা বলে এবং বলে দ্বীন সম্পর্কে যারা বিকৃতব্যাখা প্রধান করে তাদেরকে বলা হয় নাস্তিক .... এর বিভিন্ন শাখা প্রশাখার মধ্যে আছে- আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা অথবা অন্য কাকে আল্লাহর সমতুল্য মনে করে তাকে উপাস্য করে কিছু চাওয়া ও সম্মান করা , অথবা ঐ গাইরুল্লাহর পক্ষে হতে আল্লাহর শরীয়ত বিরোধী রচিত আহ্বান কিংবাব্যাখ্যাকে ক্ববুল করা . যে ব্যক্তি তার গলদ শিক্ষা অথবা সীমিত জ্ঞান ও খেয়াল খুশী হতে কুরআন হাদীসের প্রকাশ্য অর্থ বিকৃত করলো সেও তাদের অন্তর্ভুক্ত ... যে ব্যাক্তি আল্লাহ আযযা অজাল্লার গুনুবাচক নাম ও গুনাবলীর মধ্যে এবং কুরআনী আয়াত ও হাদীসে রাসুলের ব্যাপারে সীমালঙ্গন করলো সেই নাস্তিক .....এদের বেপারে কঠোর বাণী উচ্চারণ করে আল্লাহ বলেন ....


)সূরা আ'রাফ ১৮০.) ভাল নামগুলো আল্লাহর জন্য নির্ধারিত। সুতরাং ভাল নামেই তাঁকে ডাকো এবং তাঁর নাম রাখার ব্যাপারে যারা সত্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যায় তাদেরকে বর্জন কর। তারা যা কিছু করে এসেছে, তার ফল অবশ্যি পাবে। 


 ইমাম কাতাদাহ (রাঃ)বলেন ...ইলহাদ ' অর্থ আল্লাহর সাথে শিরক করা ..ইবনে আব্বাস (রাঃ ) বলেন "ইলহাদ "অর্থ মিথ্যা . ..

আল্লাহ আল্লাহ তা'আলাহ বলেন .. নিশ্চয় যারা আমার আয়াতসমূহের ব্যাপারে বক্রতা অবলম্বন করে, তারা আমার কাছে গোপন নয়। (ফুছছিলাত ৪০ ) 
ইবনে আব্বাস (রাঃ ) বলেন "ইলহাদ " হচ্ছে আল্লাহর বাণী মর্ম ঘুরিয়ে বলা . ইমাম কাতাদাহ (রাঃ) এবং অন্যান্য তাফসীরকারকরা বলেন ..তার অর্থ হচ্ছে কুফুরী করা এবং সঠিক নীতি হতে মুখ ঘুরুয়ে নেয়া .(তাফসীর ইবনে কাসীর ) 
অনুরূপভাবে  , নাস্তিক ঐ ব্যক্তি , যে মনে করে যে, ইসলামের শরীয়া সব ধরনের সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম নয় এবং এ ধরনার বশবর্তী হয়ে তারা তাদের নিজেদের ভ্রান্ত বিবেক প্রসূত আইন দ্বারা সমস্যার মুকাবেলা করতে চায় .. সে এক্ষেত্রে তার বুদ্ধি বিবেকের ইসলামের তথা আল্লাহর আইনের উপরে প্রাধান্য দিল . উপরোক্ত পর্যালোচনা থেকে আমরা দেখতে পাই যে , নাস্তিকতা বিভিন্ন ধরনের ,তাদের বিভিন্ন নাস্তিক আমলের কারণে . তার হলো ..(১) এক ধরনের নাস্তিক হচ্ছে ,যারা জগতের প্রতিপালক এবং ব্যবস্থাপক আল্লাহ সুবহানা তা'আলার অস্তিত্বকে তাদের সীমিত বুদ্ধি ও বিবেকের দৈন্যের কারণে অস্বীকার করে এবং আল্লাহ তা'আলার সুন্দর সুন্দর নাম ও গুনাবলিকেও অস্বীকার করা . এ ধরনের নাস্তিক কাফের . (২) আর এক ধরনের নাস্তিক হলো ঐ ব্যক্তি ,যে আল্লাহ ছেড়ে গাইরুল্লাহকে ডাকে ,মৃতের নিকট সাহায্য কামনা করে -যা প্রকৃতপক্ষে প্রকাশ্য শিরক এবং ইসলামের অন্যান্যসত আমলসমূহকে ধ্বংস করে দেয় . এ ধরনের লোকদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত . যোদি তার মৃত্যুর পূর্বে তাওবা না করে এবং খাটি দ্বীনের রাস্তায় প্রতাবর্তন না করে  (৩) অন্য আর এক শ্রেনীর নাস্তিক হলো .যারা আল্লাহর কিতাব এবং সহীহ সুন্নাতে সুসাব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর নাম ও ছিফাতকে বিকৃত অর্থে ব্যবহার করে থাকে .এ ধরনের লোক প্রকাশ্য গোমরাহীর মধ্যে আছে ......... আমরা কী আল্লাহ কে  সৃষ্টিকুলের মতো অক্ষম মনে  করি ?  মানুষ যেমন কোন মৃতকে জীবিত করতে পারে না ঠিক তেমনি আল্লাহ ?? নাউজুবিল্লাহ .. আল্লাহ বলেন ..
 সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে? বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত। (ইয়াসিন.৭৮-৭৯)  
আল্লাহর ৯৯ নামের মাজে  একটি নাম Al-Ba'ith (الباعث)    আল বাঈসু-(পুনরুত্থানকারী)  কেউ যোদি এই নাম গুলিকে অস্বীকার করে তার পরিনতি কী ??