আল্লাহ কোথায় ! ??
বিদায়ী হজ্জের আরাফার দিনে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তাঁর ভাষণে বলেন " শুনো ! আমি কি পৌছে দিলাম? " সকলে বললো হা '
(অতপর ) তিনি আকাশের দিকে অঙ্গুলি উঠিয়ে বললেন হে আল্লাহ সাক্ষী থাকুন (মুসলিম )
আল্লাহ বলেন , দেখুন -------(সূরা ফাত্বির ১০ আয়াত) ----(সূরা মাআরিজ ৩-৪ আয়াত )-----(সূরা আ'লা ১ আয়াত )-----( সূরা ত্বা-হা ৫ আয়াত )------- (সূরা আল আরাফ ৫৪ ) ----(সূরা ইউনুস ৩ )---(সূরা আর-রাদ ২) ----(সূরা আল ফুরকান ৫৯)----(সূরা আস সাজদা ৪ )
বুখারী (তাঁর সহীহ গ্রন্থে) কিতাবুত তাওহীদে আবুল আলিয়াহ ও মুজাহিদ হতে এই আয়াতের ব্যাখ্যা বর্ণনা করেছেন :-( ثم استوى إلى السماء ) (অত:পর তিনি আকাশের প্রতি আরোহণ করেন ) অর্থাৎ উপরে উছেন .
বিদায়ী হজ্জের আরাফার দিনে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তাঁর ভাষণে বলেন " শুনো ! আমি কি পৌছে দিলাম? " সকলে বললো হা '
(অতপর ) তিনি আকাশের দিকে অঙ্গুলি উঠিয়ে বললেন হে আল্লাহ সাক্ষী থাকুন (মুসলিম )
তোমরা আমাকে বিশ্বাস করনা কি ? অথচ আমি তাঁর নিকট বিশ্বস্ত যিনি আকাশের উপর আছেন .... আমার নিকট সকাল সনদ আকাশের খবর আসে (বুখারী ও মুসলিম )
ইমাম আবু হানিফাহ বলেন, 'যে ব্যক্তি বলে যে,
'জানি না আমার প্রতিপালক আকাশে আছেন
নাকি পৃথিবীতে' সে অবশ্যই কাফের হয়ে যায়।
যেহেতু আল্লাহ বলেন, "দয়াময় আল্লাহ
আরশে আরোহণ করলেন।" আর তাঁর আরশ
সপ্তাকাশের উপরে। আবার সে যদি বলে,
'তিনি আরশের উপরেই আছেন', কিন্তু বলে,
'জানি না যে, আরশ
আকাশে আছে নাকি পৃথিবীতে'-তাহলেও
সে কাফের। কারণ সে একথা অস্বীকার করে যে,
তিনি আকাশে আছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তাঁর
আরশে থাকার কথা অস্বীকার করে, সে অবশ্যই
কাফের হয়ে যায়। যেহেতু আল্লাহ সকল সৃষ্টির
ঊর্ধে আছেন এবং উপর দিকে মুখ
করে তাঁকে ডাকা হয়(দু'আ করা হয়), নিচের
দিকে মুখ করে নয়'। (শারহুল আক্বীদাতিত্ব
ত্বাহাবিয়াহ ৩২২ পৃ, আল ফিকহুল আবসাত্ব ৪৬ পৃ,
ইতিক্বাদু আইম্মাতিল আরবাআহ ১/৬)
'জানি না আমার প্রতিপালক আকাশে আছেন
নাকি পৃথিবীতে' সে অবশ্যই কাফের হয়ে যায়।
যেহেতু আল্লাহ বলেন, "দয়াময় আল্লাহ
আরশে আরোহণ করলেন।" আর তাঁর আরশ
সপ্তাকাশের উপরে। আবার সে যদি বলে,
'তিনি আরশের উপরেই আছেন', কিন্তু বলে,
'জানি না যে, আরশ
আকাশে আছে নাকি পৃথিবীতে'-তাহলেও
সে কাফের। কারণ সে একথা অস্বীকার করে যে,
তিনি আকাশে আছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তাঁর
আরশে থাকার কথা অস্বীকার করে, সে অবশ্যই
কাফের হয়ে যায়। যেহেতু আল্লাহ সকল সৃষ্টির
ঊর্ধে আছেন এবং উপর দিকে মুখ
করে তাঁকে ডাকা হয়(দু'আ করা হয়), নিচের
দিকে মুখ করে নয়'। (শারহুল আক্বীদাতিত্ব
ত্বাহাবিয়াহ ৩২২ পৃ, আল ফিকহুল আবসাত্ব ৪৬ পৃ,
ইতিক্বাদু আইম্মাতিল আরবাআহ ১/৬)
আল্লাহ কিভাবে আরশে সমারূঢ় ? এ বিষয়ে ইমাম মালেক জিজ্ঞাসিত হলে তিনি বলেছিলেন , " আরোহণ করা বিদিত, এবং কেমনত্ব অবিদিত, এর প্রতি ঈমান (বিশ্বাস)রাখা ওয়াজেব এবং এর কেমনত্ব প্রসঙ্গে প্রশ্ন তলা বিদআত . এই (প্রশ্ন কারী )বিদআতিক ( আমার মজলিস থেকে বের করে দাও !
ইমাম শাফীঈ(রাহিমাহুল্লাহ)জোরালো অভিমত
ব্যক্ত করেন এ প্রসঙ্গেঃ
"আল্লাহ্তালার আরশে অধিষ্ঠিত
হওয়া এবং আল্লাহ্র হাত,পা ইত্যাদি যা তাঁর
সিফাত বলে বিবেচ্য আর তা কোরআন ও সহীহ
সূত্রে সুন্নাহ দ্বারা প্রমানিত হওয়ার পরও
যদি কোন ব্যক্তি বিরোধিতা করে,অস্বীকার
করে ,নিষ্ক্রিয় করে তবে সে অবশ্যই কাফের
বলে গন্য হবে।
তিনি আরও বলেনঃ
"আমরা আল্লাহ্র গুণাবলী স্বীকার করি ও বিশ্বাস
করি তবে সৃষ্টির কোন কিছুর সাথে আল্লাহ্র
গুনাবলীর কোন আকার সাব্যস্ত করিনা,সাদৃশ্য
(তুলনা)করিনা। কেননা আল্লাহ্ নিজেই তাঁর
সাদৃশ্যের বিষয়টি বাতিল করে দিয়েছেন এ
বলে-"(সৃষ্টি জগতের) কোন কিছুই তাঁর সদৃশ
নয়।" (সূরা-শুরা,আয়াত-১১)
-সিয়ারে আলামিন নুবালা-১০ম
খণ্ড,পৃষ্ঠা নং,-৮০;আর দেখুন আইনুল মাবুদ-১৩তম
খণ্ড পৃষ্ঠা নং-৪১;তাবাকতে হানাবিল ১ম খণ্ড
পৃষ্ঠা নং-২৮৩-
ব্যক্ত করেন এ প্রসঙ্গেঃ
"আল্লাহ্তালার আরশে অধিষ্ঠিত
হওয়া এবং আল্লাহ্র হাত,পা ইত্যাদি যা তাঁর
সিফাত বলে বিবেচ্য আর তা কোরআন ও সহীহ
সূত্রে সুন্নাহ দ্বারা প্রমানিত হওয়ার পরও
যদি কোন ব্যক্তি বিরোধিতা করে,অস্বীকার
করে ,নিষ্ক্রিয় করে তবে সে অবশ্যই কাফের
বলে গন্য হবে।
তিনি আরও বলেনঃ
"আমরা আল্লাহ্র গুণাবলী স্বীকার করি ও বিশ্বাস
করি তবে সৃষ্টির কোন কিছুর সাথে আল্লাহ্র
গুনাবলীর কোন আকার সাব্যস্ত করিনা,সাদৃশ্য
(তুলনা)করিনা। কেননা আল্লাহ্ নিজেই তাঁর
সাদৃশ্যের বিষয়টি বাতিল করে দিয়েছেন এ
বলে-"(সৃষ্টি জগতের) কোন কিছুই তাঁর সদৃশ
নয়।" (সূরা-শুরা,আয়াত-১১)
-সিয়ারে আলামিন নুবালা-১০ম
খণ্ড,পৃষ্ঠা নং,-৮০;আর দেখুন আইনুল মাবুদ-১৩তম
খণ্ড পৃষ্ঠা নং-৪১;তাবাকতে হানাবিল ১ম খণ্ড
পৃষ্ঠা নং-২৮৩-
ইমাম আওয়াজী বলেন , বহু সংখ্যক তাবেইন বর্তমান থাকা কালীন সময়ে-ও আমরা বলতাম "আল্লাহ জাল্লা যিকরূহ আরশের উপর আছেন . তার যে সমস্ত সিফাত (গুনাবলী )র বর্ণনা (হাদীসে) এসেছে আমরা তাতেই ঈমান (বিশ্বাস ) রাখি " . ( এটাকে বাইহাকী সহীহ সনদ দ্বারা বর্ণনা করেছেন , দেখুন ফতহুল বাড়ি )
ইনমে কাইয়েম আল -যাওযিযাহ বলেন, আল্লাহ ইয়াহুদকে حطة 'হিত্ত্বাহ ' বলতে আদেশ করেছিলেন কিন্তু ইয়াহুদ তা বিকৃত করে حنطة 'হিনত্বাহ' বলেছিলো . আল্লাহ আমাদের জানিয়েছেন যে তিনি استوي علي العرش ' ইসতাওয়া আলাল আরশ ' (আরশে আরহন করেন )কিন্তু অপব্যাখাকারী বলে استولي ইসতাওলা ( ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার করেন) সুতুরাং লক্ষ্য করুন এদের বর্ণিত ل এর সহিত ইয়াহুদীদের বর্ধিত ن এর কী মিল রয়েছে !!! ( আতিক মুহাম্মদ আল আমীন শানক্বিত্বী ইবনে কাযেম আল - জাওযিযাহ থেকে বর্ণনা করেছেন )
আল্লাহর আকার না নিরাকার ?
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীনের জন্য। দরূদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর।
আসুন এবার দেখি ঐই Salafi Fitna ও তার আরো অনান্য সহযোগি কিভাবে কুরাআন & সহীহ হাদিসের সত্য বানীকে অস্বীকার করে বিভিন্ন ফেতনা ছড়াচ্ছে।
►►►►►►মহান আল্লাহ্ আকাশে এবং আরশে আছেন◄◄◄◄◄◄
►আল্লাহ বলেন,
أَمْ أَمِنتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا فَسَتَعْلَمُونَ كَيْفَ
“তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ যে, যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন না, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী।” (সূরা মুলকঃ ১৭)
►নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোগীকে ঝাড়-ফুঁক করার হাদীছে বলেনঃ
رَبُّنَا اللَّهُ الَّذِي فِي السَّمَاءِ
“আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। যিনি আকাশে আছেন।” [- আবু দাঊদ, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিব্ব]
►তিনি আরো বলেন,
وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا مِنْ رَجُلٍ يَدْعُو امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهَا فَتَأْبَى عَلَيْهِ إِلَّا كَانَ الَّذِي فِي السَّمَاءِ سَاخِطًا عَلَيْهَا حَتَّى يَرْضَى عَنْهَا
“ঐ সত্বার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে বিছানায় আসার জন্য ডাক দিলে স্ত্রী যদি বিছানায় যেতে অস্বীকার করে তাহলে যিনি আকাশে আছেন, স্বামী সন্তুষ্ট হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি অসন্তুষ্ট থাকেন।” [-মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুন নিকাহ]
►আল্লাহ আকাশের উপরে আছেনঃ
وَهُوَ الْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِهِ
“তিনিই মহা প্রতাপশালী স্বীয় বান্দাদের উপরে আছেন।” (সূরা আনআ’মঃ ১৮)
تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ
“ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তাআ’লার দিকে উর্ধ্বগামী হয়।” (সূরা মা’আরিজঃ ৪)
يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مِنْ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ
“তিনি আকাশে থেকেই জমিনে সকল কর্ম পরিচালনা করেন।” (সূরা সেজদাঃ ৫) আল্লাহর বাণী,
►নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফার মাঠে ভাষণ দেয়ার সময় আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখে আকাশের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তিনি উপস্থিত সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে বলেছেন, ((ألا هل بلغت؟ আমি কি তোমাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছিয়ে দিয়েছি? উপস্থিত জনতা এক বাক্যে স্বীকার করল, হ্যাঁ আপনি আপনার দায়িত্ব যথাযথভাবে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, (أللهم اشهد) হে আল্লাহ! আপনি স্বাক্ষী থাকুন। এ কথা বলতে বলতে তিনি উপরের দিকে আঙ্গুল উঠিয়ে ইশারা করতে লাগলেন এবং মানুষের দিকে তা নামাতে লাগলেন। এ হাদীছটি মুসলিম শরীফে যাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীছটিতে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ আকাশে। তা নাহলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপরের দিকে হাত উঠিয়ে ইশারা করা অনর্থক বলে সাব্যস্ত হবে।
►নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক দাসীকে প্রশ্ন করেছেন, আল্লাহ কোথায়? দাসী বলল, আকাশে। এ কথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,
أَعْتِقْهَا فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ
“তাকে মুক্ত করে দাও। কেননা সে ঈমানদার।”[মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মাসাজিদ]
হাদীছটি সহীহ্ মুসলিমে বর্ণিত মুআবীয়া বিন হাকাম আস্ সুলামী (রাঃ) এর দীর্ঘ হাদীছের অংশ বিশেষ।
এটি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বীয় সত্বায় উপরে হওয়ার ব্যাপারে আরো সুস্পষ্ট দলীল। কেননা (أين) শব্দটি দিয়ে কোন বস্তুর অবস্থান সম্পর্কেই জিজ্ঞাসা করা হয়ে থাকে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মহিলাটিকে আল্লাহ কোথায়- এ কথা জিজ্ঞাসা করলেন, তখন মহিলাটি বললঃ তিনি আকাশে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার এ কথাকে মেনে নিলেন এবং বললেনঃ এটাই ঈমানের পরিচয়। তাকে মুক্ত করে দাও। কারণ সে ঈমানদার। সুতরাং যতক্ষণ কোন মানুষ আল্লাহ উপরে হওয়ার বিশ্বাস না করবে এবং এ কথার ঘোষণা না দিবে ততক্ষণ সে ঈমানদার হতে পারবে না।
►►►►►►আল্লাহ তাআ’লা সুউচ্চ আরশের উপরে আছেন◄◄◄◄◄◄
আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান- একথা ঠিক নয়, বরং পবিত্র কুরআন বলছে, আল্লাহ আরশে সমাসীন।
►এ মর্মে বর্ণিত দলীলগুলো নিম্নরূপ-
إِنَّ رَبَّكُمُ اللهُ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِيْ سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ.
‘নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক হচ্ছেন সেই আল্লাহ যিনি আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হন’ (আ‘রাফ ৭/৫৪)
►اللَّهُ الَّذِي رَفَعَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا ۖ ثُمَّ اسْتَوَىٰ عَلَى الْعَرْشِ
‘আল্লাহই ঊর্ধ্বদেশে আকাশমন্ডলী স্থাপন করেছেন স্তম্ভ ব্যতীত- তোমরা এটা দেখছ। অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হ’লেন’(রা'দঃ ১৩/২)
►আরো দেখুন মহান আল্লাহ আরশে সমাসীনঃ (ইউনুস ১০/৩),(ত্ব-হা ২০/৫),(ফুরক্বান ২৫/৫৯),(সাজদাহ ৩২/৪),(হাদীদ ৫৭/৪)
►►►►►►আল্লাহর আরো অনান্য আকার বিষয়ে বর্ণনা◄◄◄◄◄◄
►রাসুল (সাঃ) এর হাদীসে আছে, "তিনি (মহান আল্লাহ) দর্শন হতে পর্দাবৃত্ত। যদি তিনি তার মুখমণ্ডলের প্রকাশ করতেন, তাহলে তার মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য, মহত্ব ও আলোকবর্তিকা সৃষ্টির প্রতি যতদুর তার দৃষ্টি নিবন্ধ হয়-সকল সৃষ্টিকে জালিয়ে দিত।" (সহীহ মুসলিম)
►আল্লাহর চেহারা, হাত, চোখ, পায়ের গোড়ালী,হাতের মুষ্টি রয়েছে দেখুনঃ-
সূরাঃ আর-রহমান ২৬-২৭, কিয়ামা ২২-২৩, আল ক্বাসাসঃ ৮৮, ত্বহা ৩৯ ,ক্বলাম ৪২ ও যুমার ৬৭ ইত্যাদি আয়াত নং এ দেখুন।
►ইমাম আবু হানীফা (রঃ) বলেনঃ
আল্লাহ্র আকার সম্পর্কে ইমাম আবূ হানিফার (রহঃ) বলেনঃ আল্লাহর চেহারা ও নাফস আছে, যেমনটা আল্লাহ কুরাআনে বর্ননা করেছেন। কুরাআনের বর্ণনায় আল্লাহর চেহারা,হাত,নাফসের যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা তাঁর সিফাত (বৈশিষ্ট)। আমরা তারঁ ঐ সকল বৈশিষ্ট্যের বিস্তারিত জানি না। তবে কেউ যেন আল্লাহর হাতকে কুদরতি হাত বা তাঁর নিয়ামত না বলে, কেননা তাঁর সিফাত কে অস্বীকার করা হয়।
(দেখুনঃ ইমাম আবূ হানিফার, ফিকহুল আকবার পৃঃ ৫৪৮-৫৯,ইবনু আবিল ইজ্জ্ব, মুআসসাতুর রিসালাহ-বাইরুত/২৬৪ পৃঃ)
এরকম আরো অনেক কুরাআনের আয়াত ও সহীহ হাদিস আছে।প্রয়োজনে চাইলে আরো দেয়া হবে ইনশাল্লাহ।
►►আর অবশ্যই আমরা এই বিশ্বাস রাখবো যে আল্লাহর আকার রয়েছে। কেমন রয়েছেন তিনি আল্লাহই ভালই জানেন। যেহেতু সুরাঃ ইখলাসে আল্লাহ্ বলছেন তার সাদৃশ্য কোন কিছুই নেই। তাই ঐসব জিনিস তারই মতই রয়েছে।যা কোন কিছুর সাথে মিলবে না। কেমন রয়েছে আল্লাহ্ই ভাল জানেন।
►►►►তাই আপনাদের বলছি যাদের আকীদায় এখনো গলদ এখনো সময় আছে তওবা করেন এবং ঐ কুরাআন ও সহীহ হাদিসের উল্টা বর্ণনা বাদ দিয়ে বিভিন্ন ফিতনা প্রচার বাদ দিয়ে শুধু মাত্র আল্লাহর ও রাসূল (সাঃ) এর দেখাণো পথে ফিরে আসুন।
“কিন্তু না তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না যতক্ষন না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারন করে, তারপর তুমি যে ফায়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজেদের অন্তরে কোন সংকীর্নতা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়”। (সূরাঃ আন-নিসা ৪/৬৫)
وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءتْ مَصِيرًا
"যে ব্যক্তি সঠিক পথ প্রকাশিত হওয়ার পরও রাসুলের বিরোধিতা করে এবং মুমিনদের পথ বাদ দিয়ে ভিন্ন পথ অনুসরণ করে,আমি তাকে সে পথেই ফিরাব যে,সে ফিরে যায়,আর তাকে জাহান্নামে দগ্ধ করব,কত মন্দই না সে আবাসস্থল"। (সূরাঃ আন-নিসা ৪/১১৫)।
আরো জানতে
আল্লাহর আকার না নিরাকার ?
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীনের জন্য। দরূদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর।
আসুন এবার দেখি ঐই Salafi Fitna ও তার আরো অনান্য সহযোগি কিভাবে কুরাআন & সহীহ হাদিসের সত্য বানীকে অস্বীকার করে বিভিন্ন ফেতনা ছড়াচ্ছে।
►►►►►►মহান আল্লাহ্ আকাশে এবং আরশে আছেন◄◄◄◄◄◄
►আল্লাহ বলেন,
أَمْ أَمِنتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا فَسَتَعْلَمُونَ كَيْفَ
“তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ যে, যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন না, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী।” (সূরা মুলকঃ ১৭)
►নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোগীকে ঝাড়-ফুঁক করার হাদীছে বলেনঃ
رَبُّنَا اللَّهُ الَّذِي فِي السَّمَاءِ
“আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। যিনি আকাশে আছেন।” [- আবু দাঊদ, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিব্ব]
►তিনি আরো বলেন,
وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا مِنْ رَجُلٍ يَدْعُو امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهَا فَتَأْبَى عَلَيْهِ إِلَّا كَانَ الَّذِي فِي السَّمَاءِ سَاخِطًا عَلَيْهَا حَتَّى يَرْضَى عَنْهَا
“ঐ সত্বার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে বিছানায় আসার জন্য ডাক দিলে স্ত্রী যদি বিছানায় যেতে অস্বীকার করে তাহলে যিনি আকাশে আছেন, স্বামী সন্তুষ্ট হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি অসন্তুষ্ট থাকেন।” [-মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুন নিকাহ]
►আল্লাহ আকাশের উপরে আছেনঃ
وَهُوَ الْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِهِ
“তিনিই মহা প্রতাপশালী স্বীয় বান্দাদের উপরে আছেন।” (সূরা আনআ’মঃ ১৮)
تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ
“ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তাআ’লার দিকে উর্ধ্বগামী হয়।” (সূরা মা’আরিজঃ ৪)
يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مِنْ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ
“তিনি আকাশে থেকেই জমিনে সকল কর্ম পরিচালনা করেন।” (সূরা সেজদাঃ ৫) আল্লাহর বাণী,
►নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফার মাঠে ভাষণ দেয়ার সময় আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখে আকাশের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তিনি উপস্থিত সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে বলেছেন, ((ألا هل بلغت؟ আমি কি তোমাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছিয়ে দিয়েছি? উপস্থিত জনতা এক বাক্যে স্বীকার করল, হ্যাঁ আপনি আপনার দায়িত্ব যথাযথভাবে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, (أللهم اشهد) হে আল্লাহ! আপনি স্বাক্ষী থাকুন। এ কথা বলতে বলতে তিনি উপরের দিকে আঙ্গুল উঠিয়ে ইশারা করতে লাগলেন এবং মানুষের দিকে তা নামাতে লাগলেন। এ হাদীছটি মুসলিম শরীফে যাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীছটিতে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ আকাশে। তা নাহলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপরের দিকে হাত উঠিয়ে ইশারা করা অনর্থক বলে সাব্যস্ত হবে।
►নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক দাসীকে প্রশ্ন করেছেন, আল্লাহ কোথায়? দাসী বলল, আকাশে। এ কথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,
أَعْتِقْهَا فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ
“তাকে মুক্ত করে দাও। কেননা সে ঈমানদার।”[মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মাসাজিদ]
হাদীছটি সহীহ্ মুসলিমে বর্ণিত মুআবীয়া বিন হাকাম আস্ সুলামী (রাঃ) এর দীর্ঘ হাদীছের অংশ বিশেষ।
এটি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বীয় সত্বায় উপরে হওয়ার ব্যাপারে আরো সুস্পষ্ট দলীল। কেননা (أين) শব্দটি দিয়ে কোন বস্তুর অবস্থান সম্পর্কেই জিজ্ঞাসা করা হয়ে থাকে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মহিলাটিকে আল্লাহ কোথায়- এ কথা জিজ্ঞাসা করলেন, তখন মহিলাটি বললঃ তিনি আকাশে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার এ কথাকে মেনে নিলেন এবং বললেনঃ এটাই ঈমানের পরিচয়। তাকে মুক্ত করে দাও। কারণ সে ঈমানদার। সুতরাং যতক্ষণ কোন মানুষ আল্লাহ উপরে হওয়ার বিশ্বাস না করবে এবং এ কথার ঘোষণা না দিবে ততক্ষণ সে ঈমানদার হতে পারবে না।
►►►►►►আল্লাহ তাআ’লা সুউচ্চ আরশের উপরে আছেন◄◄◄◄◄◄
আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান- একথা ঠিক নয়, বরং পবিত্র কুরআন বলছে, আল্লাহ আরশে সমাসীন।
►এ মর্মে বর্ণিত দলীলগুলো নিম্নরূপ-
إِنَّ رَبَّكُمُ اللهُ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِيْ سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ.
‘নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক হচ্ছেন সেই আল্লাহ যিনি আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হন’ (আ‘রাফ ৭/৫৪)
►اللَّهُ الَّذِي رَفَعَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا ۖ ثُمَّ اسْتَوَىٰ عَلَى الْعَرْشِ
‘আল্লাহই ঊর্ধ্বদেশে আকাশমন্ডলী স্থাপন করেছেন স্তম্ভ ব্যতীত- তোমরা এটা দেখছ। অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হ’লেন’(রা'দঃ ১৩/২)
►আরো দেখুন মহান আল্লাহ আরশে সমাসীনঃ (ইউনুস ১০/৩),(ত্ব-হা ২০/৫),(ফুরক্বান ২৫/৫৯),(সাজদাহ ৩২/৪),(হাদীদ ৫৭/৪)
►►►►►►আল্লাহর আরো অনান্য আকার বিষয়ে বর্ণনা◄◄◄◄◄◄
►রাসুল (সাঃ) এর হাদীসে আছে, "তিনি (মহান আল্লাহ) দর্শন হতে পর্দাবৃত্ত। যদি তিনি তার মুখমণ্ডলের প্রকাশ করতেন, তাহলে তার মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য, মহত্ব ও আলোকবর্তিকা সৃষ্টির প্রতি যতদুর তার দৃষ্টি নিবন্ধ হয়-সকল সৃষ্টিকে জালিয়ে দিত।" (সহীহ মুসলিম)
►আল্লাহর চেহারা, হাত, চোখ, পায়ের গোড়ালী,হাতের মুষ্টি রয়েছে দেখুনঃ-
সূরাঃ আর-রহমান ২৬-২৭, কিয়ামা ২২-২৩, আল ক্বাসাসঃ ৮৮, ত্বহা ৩৯ ,ক্বলাম ৪২ ও যুমার ৬৭ ইত্যাদি আয়াত নং এ দেখুন।
►ইমাম আবু হানীফা (রঃ) বলেনঃ
আল্লাহ্র আকার সম্পর্কে ইমাম আবূ হানিফার (রহঃ) বলেনঃ আল্লাহর চেহারা ও নাফস আছে, যেমনটা আল্লাহ কুরাআনে বর্ননা করেছেন। কুরাআনের বর্ণনায় আল্লাহর চেহারা,হাত,নাফসের যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা তাঁর সিফাত (বৈশিষ্ট)। আমরা তারঁ ঐ সকল বৈশিষ্ট্যের বিস্তারিত জানি না। তবে কেউ যেন আল্লাহর হাতকে কুদরতি হাত বা তাঁর নিয়ামত না বলে, কেননা তাঁর সিফাত কে অস্বীকার করা হয়।
(দেখুনঃ ইমাম আবূ হানিফার, ফিকহুল আকবার পৃঃ ৫৪৮-৫৯,ইবনু আবিল ইজ্জ্ব, মুআসসাতুর রিসালাহ-বাইরুত/২৬৪ পৃঃ)
এরকম আরো অনেক কুরাআনের আয়াত ও সহীহ হাদিস আছে।প্রয়োজনে চাইলে আরো দেয়া হবে ইনশাল্লাহ।
►►আর অবশ্যই আমরা এই বিশ্বাস রাখবো যে আল্লাহর আকার রয়েছে। কেমন রয়েছেন তিনি আল্লাহই ভালই জানেন। যেহেতু সুরাঃ ইখলাসে আল্লাহ্ বলছেন তার সাদৃশ্য কোন কিছুই নেই। তাই ঐসব জিনিস তারই মতই রয়েছে।যা কোন কিছুর সাথে মিলবে না। কেমন রয়েছে আল্লাহ্ই ভাল জানেন।
►►►►তাই আপনাদের বলছি যাদের আকীদায় এখনো গলদ এখনো সময় আছে তওবা করেন এবং ঐ কুরাআন ও সহীহ হাদিসের উল্টা বর্ণনা বাদ দিয়ে বিভিন্ন ফিতনা প্রচার বাদ দিয়ে শুধু মাত্র আল্লাহর ও রাসূল (সাঃ) এর দেখাণো পথে ফিরে আসুন।
“কিন্তু না তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না যতক্ষন না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারন করে, তারপর তুমি যে ফায়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজেদের অন্তরে কোন সংকীর্নতা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়”। (সূরাঃ আন-নিসা ৪/৬৫)
وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءتْ مَصِيرًا
"যে ব্যক্তি সঠিক পথ প্রকাশিত হওয়ার পরও রাসুলের বিরোধিতা করে এবং মুমিনদের পথ বাদ দিয়ে ভিন্ন পথ অনুসরণ করে,আমি তাকে সে পথেই ফিরাব যে,সে ফিরে যায়,আর তাকে জাহান্নামে দগ্ধ করব,কত মন্দই না সে আবাসস্থল"। (সূরাঃ আন-নিসা ৪/১১৫)।
আরো জানতে