* মুক্তি প্রাপ্ত দল কোনটি ? * .........১
* ৮ প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি আসাল্লাম বলেনঃ "সর্বকালে আমার উম্মতের একটি দল হকের সাথে বিজয়ী থাকবে, তাদেরকে যারা উপেক্ষা করবে তারা তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবে না ; যতক্ষণ না আল্লাহর আদেশ (কিয়ামতের পূর্ব মুহুর্ত )এসে উপস্থিত হবে (মুসলিম ) অর্থাৎ যারা আহলে সুন্নাওলা জামাআত তারা আল্লাহর দীনের অনুসরণ করার ব্যাপারে তাঁর বিধানসমূহ কার্যকর করার ব্যাপারে এবং এ দীনের দৃষ্টিতে যা সত্য তাকে সত্য এবং যা মিথ্যা তাকে মিথ্যা বলার ব্যপারে সে আপোষহীন ও নির্ভীক ৷ কারোর বিরোধিতা, নিন্দা, তিরস্কার, আপত্তি ও বিদ্রূপবানের সে পরোয়া করবে না ৷ সাধারণ জনমত যদি ইসলামের প্রতিকূল হয় এবং ইসলামের পথে চলার অর্থ যদি সারা দুনিয়ার সামনে নিজেকে অপাংক্তেয় বানানো হয়ে থাকে তাহলেও সে সাচ্চাদিলে সে পথকে সত্য মনে করেছে সে পথেই চলতে থাকবে إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ৷ আসলে তোমাদের বন্ধু হচ্ছে একমাত্র আল্লাহ, তাঁর রসূল .
আল্লাহ বলেনঃ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ۚ ذَٰلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি দীন থেকে ফিরে যায়, (তাহলে ফিরে যাক ), আল্লাহ এমনিতর আরো বহু লোক সৃষ্টি করে দেবেন, যাদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন এবং তারা আল্লাহকে ভালবাসবে, যারা মুমিনদের ব্যাপারে কোমল ও কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর হবে, যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবেনা ৷ এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে চান তাকে দান করেন৷ আল্লাহ ব্যাপক উপায় উপকরণের অধিকারী এবং তিনি সবকিছু জানেন৷
* ৯ প্রিয় নবী আরো বলেনঃ " শামবাসী অসৎ হয়ে গেলে তোমাদের মধ্যে কোন মঙ্গল নেই . আর চিরকালের জন্য আমার উম্মতের একটি দল সাহায্য প্রাপ্ত থাকবে, কিয়ামত কায়েম হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে উপেক্ষাকারীরা তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবেনা" (সহীহ মুসনাদে আহমদ)
(ঘ) ইয়াযীদ ইবনে হারূণ (১১৮-২১৭ হিঃ) ও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (১৬৪-২৪১হিঃ) বলেন, ﺇِﻥْ ﻟَّﻢْ
ﻳَﻜُﻮْﻧُﻮْﺍ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ ﻓَﻼَ ﺃَﺩْﺭِﻯْ ﻣَﻦْ ﻫُﻢْ؟
‘তাঁরা যদি আহলেহাদীছ না হন, তবে আমি জানি না তারা কারা’। (. তিরমিযী, মিশকাত হা/৬২৮৩ -এর ব্যাখ্যা;
ফাৎহুল বারী ১৩/৩০৬ হা/৭৩১১-এর ব্যাখ্যা; সিলসিলা ছাহীহাহ হা/২৭০-এর ব্যাখ্যা; শারফ, পৃঃ ১৫।
(চ) আহমাদ ইবনু সারীহ বলতেন, ﺃَﻫْﻞُ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ ﺃَﻋْﻈَﻢُ
ﺩَﺭَﺟَﺔً ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻔُﻘَﻬَﺎﺀِ ﻟِﺎِﻋْﺘِﻨَﺎﺋِﻪِﻡْ ﺑِﻀَﺒْﻂِ ﺍﻟْﺄُﺻُﻮْﻝِ ـ ‘দলীলের উপরে কায়েম থাকার কারণে আহলেহাদীছগণের
মর্যাদা ফক্বীহগণের চেয়ে অনেক ঊর্ধ্বে। ( . আব্দুল ওয়াহ্হাব শা‘রানী, মীযানুল কুবরা (দিলী: ১২৮৬ হিঃ) ১/৬২ পৃঃ )
আহলে হাদীসরাই যেহেতু সুন্নাহ এবং তার আনুষঙ্গিক সকল বিষয়ের অধ্যয়নে বিশেষজ্ঞ তাই তারাই সকল মানুষের চেয়ে তাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি আসাল্লামের সুন্নাহ, আদের্শ, পথনির্দেশ, চরিত্র, যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং এর সম্পৃক্ত যাবতীয় বিষয়ে অধিক জ্ঞান রাখে ..
* ১০ ইমাম শাফেয়ী ইমাম আহমদকে সম্বেধন করে বলেনঃ "আপনারা আমার চেয়ে অধিক হাদীস জানেন . অতএবঃ আপনাদের নিকট শুদ্ধভাবে কোন হাদীস এলে সে বিষয়ে আমাকে খবর দেবেন, আমি তা সংগ্রহের জন্য যাত্রা করব- চাহে তা হিজায, কূফা অথবা বসরা হোক" .
সুতরাং আহলে হাদীস -আল্লাহ আমাদের হাশর তাদের সহিত করেন- কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশেষের পক্ষপাতিত্ব করে না তাতে সে ব্যাক্তি যতই শীর্ষস্থানীয় এবং সম্মানার্হ হন না কেন . পক্ষপাতিত্ব করে শুধু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি আসাল্লামের . পক্ষান্তরে অন্যান্য লোকেরা যারা আহলে হাদীস ও হাদীসের উপর আমলে সংযুক্ত ও সম্পুক্ত নয় তারা তাদের ইমামগণের উক্তির পক্ষপাতিত্ব করে . সুতরাং বিস্ময়ের কিছু নয় যে তারাই হল সাহায্য প্রাপ্ত এবং মুক্তি প্রাপ্ত দল বা জামাআত .
* ১১ খতীব বাগদাদী তাঁর "শারফু আসহাবিল হাদীস" ( আহলে হাদীসের মর্যাদা)নামক গ্রন্থে বলেন, "রায় ওয়ালা" ( মনগরা মতকে প্রধান্যাদাতা ) ফলপ্রসু ইলম অম্বেষণে ব্যাপৃত হত এবং বিশ্বজাহানের প্রতিপালকের ও রাসুলের সুন্নাহ সমূহ অনুসন্ধান করতো তবে সে সেই জিনিস অর্জন করতে পারত যা অন্যান্য থেকে তাকে অমুখাপেক্ষী করত . যেহেতু হাদীসে রয়েছে তাওহীদ মূলনীতি সমূহের পরিজ্ঞান, আগত বিভিন্নমুখী অঙ্গীকার ও তিরস্কারের বিবৃতি; বিশ্বজগতের প্রতিপালকের গুনাবলী জান্নাত ও জাহান্নামের আকৃতি বিষয়ক সংবাদ ; তাতে সংযয়ী ও
দুষ্কারীদের জন্য আল্লাহ কি প্রস্ত্তত রেখেছেন তার খবর এবং আল্লাহ পৃথিবীসমূহে ও আকাশ- মন্ডলীতে কি সৃষ্টি করেছেন তারও খবর .
আল্লাহ আহলে হাদীসকে শরীয়তের রূকন (স্তম্ভ ) করেছেন এবং তাদের দ্বারা প্রত্যেক নিকৃষ্ট বিদ'আতকে চিহ্নিত করেছেন . সুতরাং তারা সৃষ্টিজগতে আল্লাহর আমানতদার নবী ও তাঁর উম্মতের মাঝে মাধ্যম,তাঁর গ্রন্থের মূল পাঠ সংরক্ষণে প্রয়াসী . তাদের আলোক প্রদীপ্ত, তাদের মর্যাদা সমুন্নত, আসহাবে হাদীস ব্যতীত প্রত্যেক দলই ঐ সমস্ত (বেদ'আতি) খেয়াল খুশির আশ্রয় নেয়, যার প্রতি তারা রুজু করে এবং যে রায়কে তারা পছন্দ ও ভালো মনে করে,আর তার উপর তারা নির্বিচল থাকে ./ আহলে সুন্নাহ কিতাব (কুরআন ) তাদের সরঞ্জাম ও হাতিয়ার, সুন্নাহ তাদের (অকাট্য দলীল ) রাসুল তাদের স্বীয় দল; তাঁর প্রতিই তাদের সম্বন্ধ . তারা রায়ের (মনগড়া মতের ) প্রতি দৃকপাত করেনা . যারা তাদের বিরুদ্ধাচরণ করে আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করেন এবং যারা তাদের প্রতি শত্রুতা করে আল্লাহ তাদেরকে উপাখ্যা করেন .
হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে আহলে হাদীসের দলভুক্ত কর. হাদীসের উপর আমল, তার অনুসারীদের প্রতি ভালোবাসা এবং তার নির্দেশ অনুযায়ী আমলকারীদের সহায়তা করার তাওফীক দান কর . আমীন .
* ৮ প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি আসাল্লাম বলেনঃ "সর্বকালে আমার উম্মতের একটি দল হকের সাথে বিজয়ী থাকবে, তাদেরকে যারা উপেক্ষা করবে তারা তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবে না ; যতক্ষণ না আল্লাহর আদেশ (কিয়ামতের পূর্ব মুহুর্ত )এসে উপস্থিত হবে (মুসলিম ) অর্থাৎ যারা আহলে সুন্নাওলা জামাআত তারা আল্লাহর দীনের অনুসরণ করার ব্যাপারে তাঁর বিধানসমূহ কার্যকর করার ব্যাপারে এবং এ দীনের দৃষ্টিতে যা সত্য তাকে সত্য এবং যা মিথ্যা তাকে মিথ্যা বলার ব্যপারে সে আপোষহীন ও নির্ভীক ৷ কারোর বিরোধিতা, নিন্দা, তিরস্কার, আপত্তি ও বিদ্রূপবানের সে পরোয়া করবে না ৷ সাধারণ জনমত যদি ইসলামের প্রতিকূল হয় এবং ইসলামের পথে চলার অর্থ যদি সারা দুনিয়ার সামনে নিজেকে অপাংক্তেয় বানানো হয়ে থাকে তাহলেও সে সাচ্চাদিলে সে পথকে সত্য মনে করেছে সে পথেই চলতে থাকবে إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ৷ আসলে তোমাদের বন্ধু হচ্ছে একমাত্র আল্লাহ, তাঁর রসূল .
আল্লাহ বলেনঃ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ۚ ذَٰلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি দীন থেকে ফিরে যায়, (তাহলে ফিরে যাক ), আল্লাহ এমনিতর আরো বহু লোক সৃষ্টি করে দেবেন, যাদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন এবং তারা আল্লাহকে ভালবাসবে, যারা মুমিনদের ব্যাপারে কোমল ও কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর হবে, যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবেনা ৷ এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে চান তাকে দান করেন৷ আল্লাহ ব্যাপক উপায় উপকরণের অধিকারী এবং তিনি সবকিছু জানেন৷
* ৯ প্রিয় নবী আরো বলেনঃ " শামবাসী অসৎ হয়ে গেলে তোমাদের মধ্যে কোন মঙ্গল নেই . আর চিরকালের জন্য আমার উম্মতের একটি দল সাহায্য প্রাপ্ত থাকবে, কিয়ামত কায়েম হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে উপেক্ষাকারীরা তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবেনা" (সহীহ মুসনাদে আহমদ)
‘মুক্তিপাপ্ত দল কোন্টি’ এর পরিচয়
দিতে গিয়ে মুহাদ্দিছগণ ‘আহলুল হাদীছ’দের নাম উল্লেখ করেছেন। যেমন-
(ক) আবদুল্লাহ ইবনুল মোবারক বলেন, ﻫﻢ ﻋﻨﺪﻯ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ‘আমার নিকটে তাঁরা হ’ল হাদীছের
অনুসারী বা আহলুল হাদীছ’। ( শায়খ মুহাম্মদ বিন জামিল, আল- ফিরকাতুননাজিয়াহ, ‘মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি’ অনুচ্ছেদ )
দিতে গিয়ে মুহাদ্দিছগণ ‘আহলুল হাদীছ’দের নাম উল্লেখ করেছেন। যেমন-
(ক) আবদুল্লাহ ইবনুল মোবারক বলেন, ﻫﻢ ﻋﻨﺪﻯ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ‘আমার নিকটে তাঁরা হ’ল হাদীছের
অনুসারী বা আহলুল হাদীছ’। ( শায়খ মুহাম্মদ বিন জামিল, আল- ফিরকাতুননাজিয়াহ, ‘মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি’ অনুচ্ছেদ )
(খ) ইমাম বুখারীর (রহঃ)-এর উস্তাদ আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, ﻫﻢ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ‘তাঁরা হচ্ছেন আহলুল হাদীছ’। . ঐ ।
(গ) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) বলেন,
‘যদি তারা আহলুল হাদীছ না হয়, তাহ’লে আমি জানি না তারা কারা’।( তিরমিযী, ফাৎহুল বারী, ১৩/৩০৬ হা/৭৩১১-এর ব্যাখ্যা; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭০-এর
‘যদি তারা আহলুল হাদীছ না হয়, তাহ’লে আমি জানি না তারা কারা’।( তিরমিযী, ফাৎহুল বারী, ১৩/৩০৬ হা/৭৩১১-এর ব্যাখ্যা; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭০-এর
ব্যাখ্যা ।)
উল্লেখ্য যে, মাযহাব চতুষ্টয়ের তিন ইমামই আহলে হাদীছ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ( . মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম,
ইসলামী শরীয়াতের উৎস (ঢাকা : আধুনিক
প্রকাশনী, আগষ্ট ১৯৯৪), পৃঃ ৬৯-৭১ )
ইসলামী শরীয়াতের উৎস (ঢাকা : আধুনিক
প্রকাশনী, আগষ্ট ১৯৯৪), পৃঃ ৬৯-৭১ )
(ঘ) ইয়াযীদ ইবনে হারূণ (১১৮-২১৭ হিঃ) ও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (১৬৪-২৪১হিঃ) বলেন, ﺇِﻥْ ﻟَّﻢْ
ﻳَﻜُﻮْﻧُﻮْﺍ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ ﻓَﻼَ ﺃَﺩْﺭِﻯْ ﻣَﻦْ ﻫُﻢْ؟
‘তাঁরা যদি আহলেহাদীছ না হন, তবে আমি জানি না তারা কারা’। (. তিরমিযী, মিশকাত হা/৬২৮৩ -এর ব্যাখ্যা;
ইমাম
বুখারীও এবিষয়ে দৃঢ়মত ব্যক্ত করেছেন’।
ক্বাযী আয়ায বলেন, ﺃَﺭَﺍﺩَ ﺃَﺣْﻤَﺪُﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟﺴُّﻨَّﺔِ ﻭَ ﻣَﻦْ ﻳَّﻌْﺘَﻘِﺪُ
ﻣَﺬْﻫَﺐَ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ ‘ইমাম আহমাদ (রহঃ)
একথা দ্বারা আহলে সুন্নাত এবং যারা আহলুল হাদীছ-এর মাযহাব অনুসরণ করে, তাদেরকে বুঝিয়েছেন’। (. ফাৎহুল বারী ‘ইলম’ অধ্যায় ১/১৯৮ হা/৭১-এর
ব্যাখ্যা)বুখারীও এবিষয়ে দৃঢ়মত ব্যক্ত করেছেন’।
ক্বাযী আয়ায বলেন, ﺃَﺭَﺍﺩَ ﺃَﺣْﻤَﺪُﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟﺴُّﻨَّﺔِ ﻭَ ﻣَﻦْ ﻳَّﻌْﺘَﻘِﺪُ
ﻣَﺬْﻫَﺐَ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ ‘ইমাম আহমাদ (রহঃ)
একথা দ্বারা আহলে সুন্নাত এবং যারা আহলুল হাদীছ-এর মাযহাব অনুসরণ করে, তাদেরকে বুঝিয়েছেন’। (. ফাৎহুল বারী ‘ইলম’ অধ্যায় ১/১৯৮ হা/৭১-এর
ইমাম আহমাদ আরও
বলেন, ﻟَﻴْﺲَ ﻗَﻮْﻡٌ ﻋِﻨْﺪِﻯْ ﺧَﻴْﺮﺍً ﻣِّﻦْ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ، ﻻَ ﻳَﻌْﺮِﻓُﻮْﻥَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚَ ‘আহলেহাদীছের চেয়ে উত্তম কোন দল
আমার কাছে নেই। তারা হাদীছ ছাড়া অন্য কিছু চেনে না’।( আবুবকর আল-খত্বীব বাগদাদী, শারফু
আছহাবিল হাদীছ পৃঃ ২৭)
বলেন, ﻟَﻴْﺲَ ﻗَﻮْﻡٌ ﻋِﻨْﺪِﻯْ ﺧَﻴْﺮﺍً ﻣِّﻦْ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ، ﻻَ ﻳَﻌْﺮِﻓُﻮْﻥَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚَ ‘আহলেহাদীছের চেয়ে উত্তম কোন দল
আমার কাছে নেই। তারা হাদীছ ছাড়া অন্য কিছু চেনে না’।( আবুবকর আল-খত্বীব বাগদাদী, শারফু
আছহাবিল হাদীছ পৃঃ ২৭)
(ঙ) ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর প্রধান শিষ্য
ইমাম আবু ইউসুফ (১১৩-১৮২ হিঃ) একদা তাঁর দরবার সন্মুখে কতিপয় আহলেহাদীছকে দেখে উল্লসিত
হয়ে বলেন, ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺧَﻴْﺮٌ ﻣِّﻨْﻜُﻢْ ‘ভূপৃষ্ঠে আপনাদের চেয়ে উত্তম আর কেউ নেই’।(. শারফ, পৃঃ ২৮; আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও
কেন? পৃঃ ১৩ )ইমাম আবু ইউসুফ (১১৩-১৮২ হিঃ) একদা তাঁর দরবার সন্মুখে কতিপয় আহলেহাদীছকে দেখে উল্লসিত
হয়ে বলেন, ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺧَﻴْﺮٌ ﻣِّﻨْﻜُﻢْ ‘ভূপৃষ্ঠে আপনাদের চেয়ে উত্তম আর কেউ নেই’।(. শারফ, পৃঃ ২৮; আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও
(চ) আহমাদ ইবনু সারীহ বলতেন, ﺃَﻫْﻞُ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ ﺃَﻋْﻈَﻢُ
ﺩَﺭَﺟَﺔً ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻔُﻘَﻬَﺎﺀِ ﻟِﺎِﻋْﺘِﻨَﺎﺋِﻪِﻡْ ﺑِﻀَﺒْﻂِ ﺍﻟْﺄُﺻُﻮْﻝِ ـ ‘দলীলের উপরে কায়েম থাকার কারণে আহলেহাদীছগণের
মর্যাদা ফক্বীহগণের চেয়ে অনেক ঊর্ধ্বে। ( . আব্দুল ওয়াহ্হাব শা‘রানী, মীযানুল কুবরা (দিলী: ১২৮৬ হিঃ) ১/৬২ পৃঃ )
(ছ) ইমাম আবূদাঊদ (২০২-২৭৫ হিঃ) বলেন, ﻟَﻮْﻻَ ﻫَﺬِﻩِ
ﺍﻟْﻌِﺼَﺎﺑَﺔُ ﻟَﺎﻧْﺪَﺭَﺱَ ﺍﻟْﺈِﺳْﻼَﻡُ ﻳِﻌْﻨِﻰْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ -
‘আহলেহাদীছ জামা‘আত যদি দুনিয়ায় না থাকত, তাহ’লে ইসলাম দুনিয়া থেকে মিটে যেত’।( শারফ ২৯ পৃঃ; আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও
কেন? পৃঃ ১৩ )ﺍﻟْﻌِﺼَﺎﺑَﺔُ ﻟَﺎﻧْﺪَﺭَﺱَ ﺍﻟْﺈِﺳْﻼَﻡُ ﻳِﻌْﻨِﻰْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ -
‘আহলেহাদীছ জামা‘আত যদি দুনিয়ায় না থাকত, তাহ’লে ইসলাম দুনিয়া থেকে মিটে যেত’।( শারফ ২৯ পৃঃ; আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও
(জ) ওছমান ইবনু আবী শায়বা একদা কয়েকজন আহলেহাদীছকে হয়রান অবস্থায় দেখে মন্তব্য
করেন যে, ﺇﻥَّ ﻓَﺎﺳِﻘَﻬُﻢْ ﺧَﻴْﺮٌ ﻣِﻦْ ﻋَﺎﺑِﺪِ ﻏَﻴْﺮِﻫِﻢْ
‘আহলেহাদীছের একজন ফাসিক্ব ব্যক্তি অন্য দলের একজন আবিদের চেয়েও উত্তম’।( . শারফ ২৭ পৃঃ; আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও
কেন? পৃঃ ১৩ )
(ঝ) ইমাম আহমাদ ইবনু তায়মিয়াহ (৬৬১-৭২৮ হিঃ)
বলেন,
ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﻌْﻠُﻮْﻡِ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻦْ ﻟَﻪُ ﺧِﺒْﺮَﺓٌ ﺃَﻥَّ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ ﻣِﻦْ ﺃَﻋْﻈَﻤِﺎﻟﻨَّﺎﺱِ
ﺑَﺤْﺜًﺎ ﻋَﻦْ ﺃَﻗْﻮَﺍﻝِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَ ﺳَﻠَّﻢَ ﻭَ ﻃَﻠَﺒًﺎ ﻟِّﻌِﻠْﻤِﻬَﺎ ﻭَ
ﺃَﺭْﻏَﺐِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻓِﻰْ ﺍِﺗِّﺒَﺎﻋِﻬَﺎ ﻭَ ﺃَﺑْﻌَﺪِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻋَﻦِ ﺍﺗَّﺒَﺎﻉِ ﻫَﻮًﻯ ﻳُﺨَﺎﻟِﻔُﻬَﺎ ...
ﻓَﻬُﻢْ ﻓِﻰْ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ ﻛَﺄَﻫْﻞِ ﺍﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ ﻓِﻰْ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟْﻤِﻠَﻞِ ـ
‘যার কিছুটা অভিজ্ঞতা রয়েছে, তার এটা জানা কথা যে, আহলেহাদীছগণ হ’লেন, মুসলমানদের মধ্যে রাসূলুলাহ (ছাঃ)-এর
বাণীসমূহের ও তাঁর ইল্মের অধিক সন্ধানী ও সে সবের অনুসরণের প্রতি অধিক আগ্রহশীল এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ হ’তে সর্বাধিক
দূরে অবস্থানকারী, যার বিরোধীতা সে করে থাকে।... মুসলমানদের মধ্যে তাদের অবস্থান এমন মর্যাদাপূর্ণ, যেমন
সকল জাতির মধ্যে মুসলমানদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান’। ( . আহমাদ ইবনু তাইমিয়াহ, মিনহাজুস সুন্নাহ
(বৈরুত: দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, তাবি) ২/১৭৯ পৃঃ।)
‘আহলেহাদীছের একজন ফাসিক্ব ব্যক্তি অন্য দলের একজন আবিদের চেয়েও উত্তম’।( . শারফ ২৭ পৃঃ; আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও
কেন? পৃঃ ১৩ )
(ঝ) ইমাম আহমাদ ইবনু তায়মিয়াহ (৬৬১-৭২৮ হিঃ)
বলেন,
ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﻌْﻠُﻮْﻡِ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻦْ ﻟَﻪُ ﺧِﺒْﺮَﺓٌ ﺃَﻥَّ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ ﻣِﻦْ ﺃَﻋْﻈَﻤِﺎﻟﻨَّﺎﺱِ
ﺑَﺤْﺜًﺎ ﻋَﻦْ ﺃَﻗْﻮَﺍﻝِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَ ﺳَﻠَّﻢَ ﻭَ ﻃَﻠَﺒًﺎ ﻟِّﻌِﻠْﻤِﻬَﺎ ﻭَ
ﺃَﺭْﻏَﺐِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻓِﻰْ ﺍِﺗِّﺒَﺎﻋِﻬَﺎ ﻭَ ﺃَﺑْﻌَﺪِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻋَﻦِ ﺍﺗَّﺒَﺎﻉِ ﻫَﻮًﻯ ﻳُﺨَﺎﻟِﻔُﻬَﺎ ...
ﻓَﻬُﻢْ ﻓِﻰْ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ ﻛَﺄَﻫْﻞِ ﺍﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ ﻓِﻰْ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟْﻤِﻠَﻞِ ـ
‘যার কিছুটা অভিজ্ঞতা রয়েছে, তার এটা জানা কথা যে, আহলেহাদীছগণ হ’লেন, মুসলমানদের মধ্যে রাসূলুলাহ (ছাঃ)-এর
বাণীসমূহের ও তাঁর ইল্মের অধিক সন্ধানী ও সে সবের অনুসরণের প্রতি অধিক আগ্রহশীল এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ হ’তে সর্বাধিক
দূরে অবস্থানকারী, যার বিরোধীতা সে করে থাকে।... মুসলমানদের মধ্যে তাদের অবস্থান এমন মর্যাদাপূর্ণ, যেমন
সকল জাতির মধ্যে মুসলমানদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান’। ( . আহমাদ ইবনু তাইমিয়াহ, মিনহাজুস সুন্নাহ
(বৈরুত: দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, তাবি) ২/১৭৯ পৃঃ।)
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত কারা এ প্রশ্নের জবাবে শায়খ মুহাম্মদ বিন ছালিহ আল-উছায়মীন
(রহঃ) বলেন, ‘আহলে সুনণাত ওয়াল জামা‘আত তারাই, যারা আক্বীদা ও আমলের
ক্ষেত্রে সুন্নাতকে অাঁকড়ে ধরে থাকে ও তার উপর ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং অন্য কোন দিকে দৃষ্টিদেয় না। এ কারণেই তাদেরকে আহলে সুন্নাত
রূপে নামকরণ করা হয়েছে। কেননা তাঁরা সুন্নাহর ধারক ও বাহক। তাদেরকে আহলে জাম‘আতওবলা হয়। কারণ
তাঁরা সুন্নাহর উপর জামা‘আতবদ্ধ বা ঐক্যবদ্ধ’।
(রহঃ) বলেন, ‘আহলে সুনণাত ওয়াল জামা‘আত তারাই, যারা আক্বীদা ও আমলের
ক্ষেত্রে সুন্নাতকে অাঁকড়ে ধরে থাকে ও তার উপর ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং অন্য কোন দিকে দৃষ্টিদেয় না। এ কারণেই তাদেরকে আহলে সুন্নাত
রূপে নামকরণ করা হয়েছে। কেননা তাঁরা সুন্নাহর ধারক ও বাহক। তাদেরকে আহলে জাম‘আতওবলা হয়। কারণ
তাঁরা সুন্নাহর উপর জামা‘আতবদ্ধ বা ঐক্যবদ্ধ’।
আহলে হাদীসরাই যেহেতু সুন্নাহ এবং তার আনুষঙ্গিক সকল বিষয়ের অধ্যয়নে বিশেষজ্ঞ তাই তারাই সকল মানুষের চেয়ে তাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি আসাল্লামের সুন্নাহ, আদের্শ, পথনির্দেশ, চরিত্র, যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং এর সম্পৃক্ত যাবতীয় বিষয়ে অধিক জ্ঞান রাখে ..
* ১০ ইমাম শাফেয়ী ইমাম আহমদকে সম্বেধন করে বলেনঃ "আপনারা আমার চেয়ে অধিক হাদীস জানেন . অতএবঃ আপনাদের নিকট শুদ্ধভাবে কোন হাদীস এলে সে বিষয়ে আমাকে খবর দেবেন, আমি তা সংগ্রহের জন্য যাত্রা করব- চাহে তা হিজায, কূফা অথবা বসরা হোক" .
সুতরাং আহলে হাদীস -আল্লাহ আমাদের হাশর তাদের সহিত করেন- কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশেষের পক্ষপাতিত্ব করে না তাতে সে ব্যাক্তি যতই শীর্ষস্থানীয় এবং সম্মানার্হ হন না কেন . পক্ষপাতিত্ব করে শুধু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি আসাল্লামের . পক্ষান্তরে অন্যান্য লোকেরা যারা আহলে হাদীস ও হাদীসের উপর আমলে সংযুক্ত ও সম্পুক্ত নয় তারা তাদের ইমামগণের উক্তির পক্ষপাতিত্ব করে . সুতরাং বিস্ময়ের কিছু নয় যে তারাই হল সাহায্য প্রাপ্ত এবং মুক্তি প্রাপ্ত দল বা জামাআত .
* ১১ খতীব বাগদাদী তাঁর "শারফু আসহাবিল হাদীস" ( আহলে হাদীসের মর্যাদা)নামক গ্রন্থে বলেন, "রায় ওয়ালা" ( মনগরা মতকে প্রধান্যাদাতা ) ফলপ্রসু ইলম অম্বেষণে ব্যাপৃত হত এবং বিশ্বজাহানের প্রতিপালকের ও রাসুলের সুন্নাহ সমূহ অনুসন্ধান করতো তবে সে সেই জিনিস অর্জন করতে পারত যা অন্যান্য থেকে তাকে অমুখাপেক্ষী করত . যেহেতু হাদীসে রয়েছে তাওহীদ মূলনীতি সমূহের পরিজ্ঞান, আগত বিভিন্নমুখী অঙ্গীকার ও তিরস্কারের বিবৃতি; বিশ্বজগতের প্রতিপালকের গুনাবলী জান্নাত ও জাহান্নামের আকৃতি বিষয়ক সংবাদ ; তাতে সংযয়ী ও
দুষ্কারীদের জন্য আল্লাহ কি প্রস্ত্তত রেখেছেন তার খবর এবং আল্লাহ পৃথিবীসমূহে ও আকাশ- মন্ডলীতে কি সৃষ্টি করেছেন তারও খবর .
আল্লাহ আহলে হাদীসকে শরীয়তের রূকন (স্তম্ভ ) করেছেন এবং তাদের দ্বারা প্রত্যেক নিকৃষ্ট বিদ'আতকে চিহ্নিত করেছেন . সুতরাং তারা সৃষ্টিজগতে আল্লাহর আমানতদার নবী ও তাঁর উম্মতের মাঝে মাধ্যম,তাঁর গ্রন্থের মূল পাঠ সংরক্ষণে প্রয়াসী . তাদের আলোক প্রদীপ্ত, তাদের মর্যাদা সমুন্নত, আসহাবে হাদীস ব্যতীত প্রত্যেক দলই ঐ সমস্ত (বেদ'আতি) খেয়াল খুশির আশ্রয় নেয়, যার প্রতি তারা রুজু করে এবং যে রায়কে তারা পছন্দ ও ভালো মনে করে,আর তার উপর তারা নির্বিচল থাকে ./ আহলে সুন্নাহ কিতাব (কুরআন ) তাদের সরঞ্জাম ও হাতিয়ার, সুন্নাহ তাদের (অকাট্য দলীল ) রাসুল তাদের স্বীয় দল; তাঁর প্রতিই তাদের সম্বন্ধ . তারা রায়ের (মনগড়া মতের ) প্রতি দৃকপাত করেনা . যারা তাদের বিরুদ্ধাচরণ করে আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করেন এবং যারা তাদের প্রতি শত্রুতা করে আল্লাহ তাদেরকে উপাখ্যা করেন .
হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে আহলে হাদীসের দলভুক্ত কর. হাদীসের উপর আমল, তার অনুসারীদের প্রতি ভালোবাসা এবং তার নির্দেশ অনুযায়ী আমলকারীদের সহায়তা করার তাওফীক দান কর . আমীন .