মানুষের উপর জিনের আছর তার প্রতিকার ও সুরক্ষার উপায় ৩
►►জিন ও ভূতের মধ্যে পার্থক্য◄◄
জিন আরবী শব্দ। বাংলাতেও জিন শব্দটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ভূত বাংলা শব্দ। এর আরবী হল ইফরীত, বহুবচনে আফারীত। আল কুরআনে সূরা আন-নামলের ৩৯ নং আয়াতে ইফরীত
কথাটি এসেছে এভাবে :
—
জিন আরবী শব্দ। বাংলাতেও জিন শব্দটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ভূত বাংলা শব্দ। এর আরবী হল ইফরীত, বহুবচনে আফারীত। আল কুরআনে সূরা আন-নামলের ৩৯ নং আয়াতে ইফরীত
কথাটি এসেছে এভাবে :
قَالَ عِفْريتٌ مِنَ الْجِنِّ أَنَا آَتِيكَ بِهِ قَبْلَ أَنْ تَقُومَ مِنْ مَقَامِكَ وَإِنِّي عَلَيْهِ لَقَوِيٌّ أَمِينٌ
এক শক্তিশালী জিন বলল, আপনি আপনার স্থান থেকে উঠার পূর্বেই আমি তা এনে দেব। আমি নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে শক্তিমান, বিশ্বস্ত।
এ আয়াতে ইফরীতুম মিনাল জিন অর্থ্যাৎ জিনদের মধ্যে থেকে এক ইফরীত বা ভূত .. কথাটি এসেছে। এমনিভাবে উপরে বর্ণিত হাদীসেও ইফরীতুম মিনাল জিন কথাটি এসেছে। তাফসীরবিদগণ বলেছেন, জিনদের মধ্যে যারা অবাধ্য, বেয়ারা, মাস্তান, দুষ্ট প্রকৃতির ও শক্তিশালী হয়ে থাকে তাদের ইফরীত বলা হয়। (আল মুফরাদাত ফী গারিবিল কুরআন)
ইফরীত শব্দের অর্থ বাংলাতে ভূত।
অতএব দেখা গেল ইফরীত বা ভূত, জিন ছাড়া আর কিছু নয়। সব ভূতই জিন তবে সব জিন কিন্তু ভূত নয়।
☤☤☤ মানসিক রোগী আর জিনে ধরা রোগীর মধ্যে পার্থক্য ☤☤☤
অনেক সময় আমরা এ সমস্যায় পড়ে যাই। ঠিক করতে পারি না রোগটা কি মানসিক না-কি পাগল, না কি জনিরে আছর থেকে রোগ দেখা দিয়েছে। অনেক সময় তাই আমরা মানসিক-রোগীকে জিনে-ধরা রোগী বলে থাকি। তেমনি জিনে-ধরা রোগীকে মানসিক রোগী বলে চালাতে চেষ্টা করি। বিশেষ করে ডাক্তার ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা কোনভাবেই জিনের আছরকে স্বীকার করতে চান না। তারা এ জাতীয় সকল রোগীকে মানসিক রোগী বলে সনাক্ত করে থাকেন।
পাগলামী-কে আরবীতে বলা হয় জুনুন। আর পাগল-কে বলা হয় মাজনূন। আরবীতে এ জুনুন ও মাজনূন শব্দ দুটো কিন্তু জিন শব্দ থেকেই এসেছে।
যেমন আল কুরআনে এসেছে :
إِنْ هُوَ إِلَّا رَجُلٌ بِهِ جِنَّةٌ فَتَرَبَّصُوا بِهِ حَتَّى حِينٍ
সে কেবল এমন এক লোক, যার মধ্যে পাগলামী রয়েছে। অতএব তোমরা তার সম্পর্কে কিছুকাল অপেক্ষা কর।
এ কথাটি নূহ আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের লোকেরা তার সম্পর্কে বলেছিল। এ আয়াতে জিন্নাতুন শব্দের অর্থ হল পাগলামী।
কাজেই কাউকে পাগলামীর মত অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখলে সেটা যেমন জিনের আছরের কারণে হতে পারে, আবার তা মানসিক রোগের কারণেও হতে পারে। তবে এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু বিষয় নির্ধারণ করেছেন, যার মাধ্যমে মানসিক রোগী আর জিনে-ধরা রোগীর মধ্যে পার্থক্য করা যায়।
•►এগুলো হল◄•
এক. জিনে-ধরা রোগী কিছুক্ষণের জন্য বেহুশ হয়ে যায়। মানসিক রোগী বেহুশ হয়ে পড়ে না।
দুই. কখনো কখনো জিনে-ধরা রোগীর মুখ থেকে ফেনা বের হয়। দাতে খিল লেগে যায়। মানসিক রোগীর মুখ থেকে ফেনা বের হয় না।
তিন. জিনে ধরা রোগী প্রায়ই সপ্নে সাপ, কুকুর, বিচ্ছু, বানর, শিয়াল, ইঁদুর ইত্যাদি দেখে থাকে। কখনো কখনো সপ্নে দেখে সে অনেক উচু স্থান থেকে পড়ে যাচ্ছে।
চার. জিনে ধরা রোগীর সর্বদা ভীতু ভাব থাকে। সর্বদা তার ভয় লাগে। মানসিক রোগীর তেমন ভয় থাকে না।
পাঁচ. জিনে ধরা রোগী নামাজ পড়া, কুরআন তেলাওয়াত, আল্লাহর যিকির ইত্যাদি পছন্দ করে না। বরং এগুলো তার অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়।
ছয়. জিনে ধরা রোগী কখনো কখনো ভিন্ন ভাষা ও ভিন্ন ভঙ্গিতে কথা বলে।
সাত. জিনে ধরা রোগী অধিকাংশ সময় স্বাভাবিক থাকে। মাঝে মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ করে।
আট. জিনে-ধরা রোগী থেকে অনেক সময় আশ্চর্যজনক বিষয় প্রকাশ হয়ে থাকে। যেমন অল্প সময়ে সে বহু দূরে চলে যায়। গাছে উঠে সরু ডালে বসে থাকে ইত্যাদি।
নয়. জিনে ধরা রোগীর কাছে স্বামী, ঘর-সংসার, স্ত্রী-সন্তানদের ভাল লাগে না।
দশ. জিনে ধরা রোগীর উপর যখন জিন চড়াও হয় তখন ক্যামেরা দিয়ে তার ছবি তুললে ছবি ধোঁয়ার মত অস্পষ্ট হয়। স্পষ্ট হয় না। দেখা গেছে আশে পাশের সকলের ছবি স্পষ্টভাবে উঠেছে কিন্তু রোগীর ছবিটি ধোয়াচ্ছন্ন। এটা কারো কারো নিজস্ব অভিজ্ঞতা। মনে রাখতে হবে অভিজ্ঞতা সর্বদা এক রকম ফলাফল নাও দিতে পারে।
কিন্তু বড় সমস্যা হবে তখন, যখন রোগীটি নিজেকে জিনে ধরা বলে অভিনয় করে কিন্তু তাকে জিনেও আছর করেনি আর সে মানসিক রোগীও নয়। সে তার নিজস্ব একটি লক্ষ্য পূরণের জন্য জিনে ধরার অভিনয় করছে।
এ অবস্থায় অভিভাবকের করণীয় হল, তারা তাকে তার দাবী পুরণের আশ্বাস দেবে। তাহলে তার জিন ছেড়ে যাবে। পরে তার দাবীটি যৌক্তিক হলে পূরণ করা হবে আর অযৌক্তিক হলে পূরণ করা হবে না। এরপর যদি সে আবার জিনে ধরার অভিনয় করে তাহলে তাকে জিনে ধরা রোগী বলে আর বিশ্বাস করার দরকার নেই। অনেক সময় শারিরিক শাস্তির ভয় দেখালে এ ধরনের বাতিল জিন চলে যায়।
•কি কারণে জিন চড়াও হয় ?
•জিনের আছরের প্রকারভেদ।
এক শক্তিশালী জিন বলল, আপনি আপনার স্থান থেকে উঠার পূর্বেই আমি তা এনে দেব। আমি নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে শক্তিমান, বিশ্বস্ত।
এ আয়াতে ইফরীতুম মিনাল জিন অর্থ্যাৎ জিনদের মধ্যে থেকে এক ইফরীত বা ভূত .. কথাটি এসেছে। এমনিভাবে উপরে বর্ণিত হাদীসেও ইফরীতুম মিনাল জিন কথাটি এসেছে। তাফসীরবিদগণ বলেছেন, জিনদের মধ্যে যারা অবাধ্য, বেয়ারা, মাস্তান, দুষ্ট প্রকৃতির ও শক্তিশালী হয়ে থাকে তাদের ইফরীত বলা হয়। (আল মুফরাদাত ফী গারিবিল কুরআন)
ইফরীত শব্দের অর্থ বাংলাতে ভূত।
অতএব দেখা গেল ইফরীত বা ভূত, জিন ছাড়া আর কিছু নয়। সব ভূতই জিন তবে সব জিন কিন্তু ভূত নয়।
☤☤☤ মানসিক রোগী আর জিনে ধরা রোগীর মধ্যে পার্থক্য ☤☤☤
অনেক সময় আমরা এ সমস্যায় পড়ে যাই। ঠিক করতে পারি না রোগটা কি মানসিক না-কি পাগল, না কি জনিরে আছর থেকে রোগ দেখা দিয়েছে। অনেক সময় তাই আমরা মানসিক-রোগীকে জিনে-ধরা রোগী বলে থাকি। তেমনি জিনে-ধরা রোগীকে মানসিক রোগী বলে চালাতে চেষ্টা করি। বিশেষ করে ডাক্তার ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা কোনভাবেই জিনের আছরকে স্বীকার করতে চান না। তারা এ জাতীয় সকল রোগীকে মানসিক রোগী বলে সনাক্ত করে থাকেন।
পাগলামী-কে আরবীতে বলা হয় জুনুন। আর পাগল-কে বলা হয় মাজনূন। আরবীতে এ জুনুন ও মাজনূন শব্দ দুটো কিন্তু জিন শব্দ থেকেই এসেছে।
যেমন আল কুরআনে এসেছে :
إِنْ هُوَ إِلَّا رَجُلٌ بِهِ جِنَّةٌ فَتَرَبَّصُوا بِهِ حَتَّى حِينٍ
সে কেবল এমন এক লোক, যার মধ্যে পাগলামী রয়েছে। অতএব তোমরা তার সম্পর্কে কিছুকাল অপেক্ষা কর।
এ কথাটি নূহ আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের লোকেরা তার সম্পর্কে বলেছিল। এ আয়াতে জিন্নাতুন শব্দের অর্থ হল পাগলামী।
কাজেই কাউকে পাগলামীর মত অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখলে সেটা যেমন জিনের আছরের কারণে হতে পারে, আবার তা মানসিক রোগের কারণেও হতে পারে। তবে এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু বিষয় নির্ধারণ করেছেন, যার মাধ্যমে মানসিক রোগী আর জিনে-ধরা রোগীর মধ্যে পার্থক্য করা যায়।
•►এগুলো হল◄•
এক. জিনে-ধরা রোগী কিছুক্ষণের জন্য বেহুশ হয়ে যায়। মানসিক রোগী বেহুশ হয়ে পড়ে না।
দুই. কখনো কখনো জিনে-ধরা রোগীর মুখ থেকে ফেনা বের হয়। দাতে খিল লেগে যায়। মানসিক রোগীর মুখ থেকে ফেনা বের হয় না।
তিন. জিনে ধরা রোগী প্রায়ই সপ্নে সাপ, কুকুর, বিচ্ছু, বানর, শিয়াল, ইঁদুর ইত্যাদি দেখে থাকে। কখনো কখনো সপ্নে দেখে সে অনেক উচু স্থান থেকে পড়ে যাচ্ছে।
চার. জিনে ধরা রোগীর সর্বদা ভীতু ভাব থাকে। সর্বদা তার ভয় লাগে। মানসিক রোগীর তেমন ভয় থাকে না।
পাঁচ. জিনে ধরা রোগী নামাজ পড়া, কুরআন তেলাওয়াত, আল্লাহর যিকির ইত্যাদি পছন্দ করে না। বরং এগুলো তার অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়।
ছয়. জিনে ধরা রোগী কখনো কখনো ভিন্ন ভাষা ও ভিন্ন ভঙ্গিতে কথা বলে।
সাত. জিনে ধরা রোগী অধিকাংশ সময় স্বাভাবিক থাকে। মাঝে মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ করে।
আট. জিনে-ধরা রোগী থেকে অনেক সময় আশ্চর্যজনক বিষয় প্রকাশ হয়ে থাকে। যেমন অল্প সময়ে সে বহু দূরে চলে যায়। গাছে উঠে সরু ডালে বসে থাকে ইত্যাদি।
নয়. জিনে ধরা রোগীর কাছে স্বামী, ঘর-সংসার, স্ত্রী-সন্তানদের ভাল লাগে না।
দশ. জিনে ধরা রোগীর উপর যখন জিন চড়াও হয় তখন ক্যামেরা দিয়ে তার ছবি তুললে ছবি ধোঁয়ার মত অস্পষ্ট হয়। স্পষ্ট হয় না। দেখা গেছে আশে পাশের সকলের ছবি স্পষ্টভাবে উঠেছে কিন্তু রোগীর ছবিটি ধোয়াচ্ছন্ন। এটা কারো কারো নিজস্ব অভিজ্ঞতা। মনে রাখতে হবে অভিজ্ঞতা সর্বদা এক রকম ফলাফল নাও দিতে পারে।
কিন্তু বড় সমস্যা হবে তখন, যখন রোগীটি নিজেকে জিনে ধরা বলে অভিনয় করে কিন্তু তাকে জিনেও আছর করেনি আর সে মানসিক রোগীও নয়। সে তার নিজস্ব একটি লক্ষ্য পূরণের জন্য জিনে ধরার অভিনয় করছে।
এ অবস্থায় অভিভাবকের করণীয় হল, তারা তাকে তার দাবী পুরণের আশ্বাস দেবে। তাহলে তার জিন ছেড়ে যাবে। পরে তার দাবীটি যৌক্তিক হলে পূরণ করা হবে আর অযৌক্তিক হলে পূরণ করা হবে না। এরপর যদি সে আবার জিনে ধরার অভিনয় করে তাহলে তাকে জিনে ধরা রোগী বলে আর বিশ্বাস করার দরকার নেই। অনেক সময় শারিরিক শাস্তির ভয় দেখালে এ ধরনের বাতিল জিন চলে যায়।
•কি কারণে জিন চড়াও হয় ?
•জিনের আছরের প্রকারভেদ।
►►কি কারণে জিন চড়াও হয়◄◄
কিছু বিষয় রয়েছে যার উপস্থিতির কারণে মানুষকে জিনে আছর করে।
এক. প্রেম। কোন পুরুষ জিন কোন নারীর প্রেমে পড়ে যায়, অথবা কোন নারী জিন যদি কোন পুরুষের প্রেমে পড়ে তাহলে জিন তার ঐ প্রিয় মানুষটির উপর আছর করে।
দুই. কোন মানুষ যদি কোন জিনের প্রতি জুলুম-অত্যাচার করে বা কষ্ট দেয় তাহলে অত্যাচারিত জিনটি সেই মানুষের উপর চড়াও হয়। যেমন জিনের গায়ে আঘাত করলে, তার গায়ে গরম পানি নিক্ষেপ করলে, কিংবা তার খাদ্য-খাবার নষ্ট করে দিলে জিন সেই মানুষটির উপর চড়াও হয়।
তিন. জিন খামোখা জুলুম-অত্যাচার করার জন্য মানুষের উপর চড়াও হয়। তবে এটি পাঁচটি কারণে হতে পারে :
(ক) অতিরিক্ত রাগ।
(খ) অতিরিক্ত ভয়।
(গ) যৌন চাহিদা লোপ পাওয়া।
(ঘ) মাত্রাতিরিক্ত উদাসীনতা।
(ঙ) নোংড়া ও অপবিত্র থাকা।
কারো মধ্যে এ স্বভাবগুলো থাকলে জিন তাকে আছর করে অত্যাচার করার সুযোগ পেয়ে যায়।
►►জিনের আছরের প্রকারভেদ◄◄
মানুষের উপর জিন চড়াও হওয়ার ধরনটি চার প্রকারের হতে পারে।
এক. জিন মানুষের পুরো শরীরে প্রভাব বিস্তার করে কিছু সময়ের জন্য।
দুই. আংশিকভাবে শরীরের এক বা একাধিক অংশে সে প্রভাব বিস্তার করে কিছু সময়ের জন্য। যেমন হাতে অথবা পায়ে কিংবা মুখে।
তিন. স্থায়ীভাবে জিন মানুষের শরীরে চড়াও হতে পারে। এর মেয়াদ হতে পারে অনেক দীর্ঘ।
চার. মানুষের মনের উপর কিছু সময়ের জন্য প্রভাব বিস্তার করে। মানুষ যখন আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা শুরু করে তখন চলে যায়।
►ইন-শা-আল্লাহ্ আগামী পোষ্ট এর বিষয় হলো...
•জিনের আছর থেকে বাঁচতে হলে যা করতে হবে।
—
কিছু বিষয় রয়েছে যার উপস্থিতির কারণে মানুষকে জিনে আছর করে।
এক. প্রেম। কোন পুরুষ জিন কোন নারীর প্রেমে পড়ে যায়, অথবা কোন নারী জিন যদি কোন পুরুষের প্রেমে পড়ে তাহলে জিন তার ঐ প্রিয় মানুষটির উপর আছর করে।
দুই. কোন মানুষ যদি কোন জিনের প্রতি জুলুম-অত্যাচার করে বা কষ্ট দেয় তাহলে অত্যাচারিত জিনটি সেই মানুষের উপর চড়াও হয়। যেমন জিনের গায়ে আঘাত করলে, তার গায়ে গরম পানি নিক্ষেপ করলে, কিংবা তার খাদ্য-খাবার নষ্ট করে দিলে জিন সেই মানুষটির উপর চড়াও হয়।
তিন. জিন খামোখা জুলুম-অত্যাচার করার জন্য মানুষের উপর চড়াও হয়। তবে এটি পাঁচটি কারণে হতে পারে :
(ক) অতিরিক্ত রাগ।
(খ) অতিরিক্ত ভয়।
(গ) যৌন চাহিদা লোপ পাওয়া।
(ঘ) মাত্রাতিরিক্ত উদাসীনতা।
(ঙ) নোংড়া ও অপবিত্র থাকা।
কারো মধ্যে এ স্বভাবগুলো থাকলে জিন তাকে আছর করে অত্যাচার করার সুযোগ পেয়ে যায়।
►►জিনের আছরের প্রকারভেদ◄◄
মানুষের উপর জিন চড়াও হওয়ার ধরনটি চার প্রকারের হতে পারে।
এক. জিন মানুষের পুরো শরীরে প্রভাব বিস্তার করে কিছু সময়ের জন্য।
দুই. আংশিকভাবে শরীরের এক বা একাধিক অংশে সে প্রভাব বিস্তার করে কিছু সময়ের জন্য। যেমন হাতে অথবা পায়ে কিংবা মুখে।
তিন. স্থায়ীভাবে জিন মানুষের শরীরে চড়াও হতে পারে। এর মেয়াদ হতে পারে অনেক দীর্ঘ।
চার. মানুষের মনের উপর কিছু সময়ের জন্য প্রভাব বিস্তার করে। মানুষ যখন আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা শুরু করে তখন চলে যায়।
►ইন-শা-আল্লাহ্ আগামী পোষ্ট এর বিষয় হলো...
•জিনের আছর থেকে বাঁচতে হলে যা করতে হবে।