আপনি কী "দাইউস " ব্যক্তি দেখেছেন ?/



বেপর্দাবেহায়াপনাঅশ্লীলতামাদকতা ও অপরাধ একসূত্রে বাধা। যুবক-যুবতীদেরকে অবাধ মেলামেশা ও বেহায়াপনার সুযোগ দিবেনঅথচ তারা অশ্লীলতাব্যভিচারএইডসমাদকতা ও অপরাধের মধ্যে যাবে নাএরূপ চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। অন্যান্য অপরাধের সাথে অশ্লীতার পার্থক্য হলো কোনো একটি উপলক্ষ্যে একবার এর মধ্যে নিপতিত হলে সাধারণভাবে কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতীরা আর এ থেকে বেরোতে পারে না। বরং ক্রমান্বয়ে আরো বেশি পাপ ও অপরাধের মধ্যে নিপতিত হতে থাকে। কাজেই নিজে এবং নিজের সন্তান ও পরিজনকে সকল অশ্লীলতা থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ বলেছেন:
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ قُوٓاْ أَنفُسَكُمۡ وَأَهۡلِيكُمۡ نَارٗا وَقُودُهَا ٱلنَّاسُ وَٱلۡحِجَارَةُ عَلَيۡهَا مَلَٰٓئِكَةٌ غِلَاظٞ شِدَادٞ لَّا يَعۡصُونَ ٱللَّهَ مَآ أَمَرَهُمۡ وَيَفۡعَلُونَ مَا يُؤۡمَرُونَ ٦ ﴾ [التحريم: ٦] 
‘‘তোমরা নিজেরা জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা কর এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা কর। যার ইন্দন হবে মানুষ ও পাথর; যার উপর নিয়োজিত রয়েছেন কঠোর হৃদয় সম্পন্ন ফিরিশতাগণ, তারা আল্লাহ যা নির্দেশ করেন তা বাস্তবায়নে অবাধ্য হোন না, আর তাদের যা নির্দেশ প্রদান করা হয়, তা-ই তামিল করে’’। [সূরা আত-তাহরীম: ৬]
রাসূলুল্লাহ  বলেছেন,
«كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، الإِمَامُ رَاعٍ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِي أَهْلِهِ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ فِي بَيْتِ زَوْجِهَا وَمَسْئُولَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا، وَالخَادِمُ رَاعٍ فِي مَالِ سَيِّدِهِ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ»
‘‘তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্বাধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, রাষ্ট্রনেতা তার প্রজাদের সম্পর্কে দায়িত্বশীল আর তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পুরুষ লোক তার পরিবারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে একজন মহিলা তার স্বামীর ঘরের সার্বিক ব্যাপারে দায়িত্বশীলা, তাকে সেটার পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পরিচারক তার মালিকের সম্পদের সংরক্ষক, আর তাকে সেটার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”(বুখারী : ৭১৩৮; মুসলিম: ১৭০৫)

আমি যদি নিজেকে মুসলমান হিসাবে দাবী করি তাহলে অবশ্যই কোরআন হাদীস মেনে চলবো। উপরের কোরআন ও হাদীস গুলো যদি নিজের সাথে মিলিয়ে নেই তাহলে কি দেখতে পাবো ? আমি কি সঠিক ভাবে আমার দায়িত্ব পালন করছি ? আমার পরিবার কে সঠিক নিয়মে পরিচালনা করছি ? আমি জোর গলায় বলতে পারি, বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া কেউ আমরা নিজেরাতো সঠিক নিয়মে চলছি না বরং পরিবারকেও আমরা ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছি। 

প্রিয় পাঠক আপনার ছেলেমেয়ের পাপের জন্য আপনার আমলনামায় গোনাহ জমা হচ্ছে। শুধু তাই নয়। অন্য পাপ আর অশ্লীলতার পার্থক্য হলোযে ব্যক্তি তার স্ত্রী-সন্তানদের বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার সুযোগ দেয় তাকে ‘‘দাইউস’’ বলা হয় এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বারংবার বলেছেন যে,
»ثلاثة قد حرم الله عليهم الجنة مدمن الخمر والعاق والديوث الذي يقر في أهله الخبث«
“তিন ব্যক্তি আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাত হারাম করেছেন, মাদকাসক্ত, পিতা-মাতার অবাধ্য এবং দাইউস, যে তার পরিবারের মধ্যে ব্যভিচারকে প্রশ্রয় দেয়”(মুসনাদে আহমাদ: ২/৬৯)  

অশ্লীলতা প্রসারের ভয়ঙ্কর পাপ ছাড়াও ভয়ঙ্কর শাস্তির কথা শুনুন:
﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ يُحِبُّونَ أَن تَشِيعَ ٱلۡفَٰحِشَةُ فِي ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ وَأَنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ ١٩ ﴾ [النور: ١٩] 
‘‘যারা চায় যেমুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রচার ঘটুক তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আর আল্লাহ জানেনতোমরা জান না।’’ সূরা ২৪ নূর: ১৯ আয়াত।
সাবধান হোন! সতর্ক হোন! আপনি কি আল্লাহর সাথে পাল্লা দিবেনআল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে আপনি কি জয়ী হবেনকখন কিভাবে আপনার ও আপনার পরিবারের জীবনে ‘‘যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’’ নেমে আসবে তা আপনি বুঝতেও পারবেন না। আপনার রাজনৈতিকসামাজিকব্যবসায়িক বা অন্য কোনো স্বার্থ উদ্ধারের জন্য অন্য পথ দেখুন। অন্য বিকল্প চিন্তা করুন। তবে কখনোই অশ্লীলতা প্রসার ঘটে এরূপ কোনো বিষয়কে আপনার স্বার্থ উদ্ধারের বাহন বানাবেন না।  

প্রত্যেক পিতার উদ্দেশ্যে বলবো 

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার ঘোষণা করেন :
“হে ঈমানদার লোকেরা, নিজেকে এবং স্বীয় পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয় কঠোর স্বভাব ফেরেশতাগণ। আল্লাহ্‌ তা’আলা যা আদেশ করেন, তা তারা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয় তাই তারা করে।: (সূরা তাহ্‌রীম, ৬৬ : আয়াত ৬)
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আলী বিন আবি তালিব (রাঃ) বলেছেন, ‘তাদের আদব-কায়দা তথা ইসলামী শিষ্টাচার এবং দুনিয়ার সুষ্ঠ জীবন যাপনের (পরিচালনার) প্রয়োজনীয় জ্ঞান শিক্ষা দাও।’
কাতাদাহ (রা:) বলেছেন : ‘তোমরা তাদের (তোমাদের পরিবার-পরিজনকে) আল্লাহ্‌র আনুগত্যের নির্দেশ দাও এবং তাঁর নিষেধাবলী থেকে বেঁচে থাকার উপদেশ প্রদান করো।
ওহে পিতা,
ইঞ্জিনিয়ার যদি তোমাকে তোমার নির্মাণাধীন বাড়ি সম্পর্কে বলে : ‘তোমারে দালানে ভিত্তি মজবুত হয়নি সুতরাং এটাকে আরো বড় করার পূর্বেই ঠিক করে নেয়া উচিত। নতুবা এটা অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে।’ তখন তুমি কি করবে?
অবশ্যই তুমি তোমার সর্বশক্তি দিয়ে একে ভেঙ্গে ফেলে ভিত্তিটা মজবুত করে গড়ে তুলবে এবং এ ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবে।
সত্য এমনটি নয় কি?
যদি তাই হয়। তাহলে তুমি তোমার আগামী উত্তরাধিকারী বা বংশধর নামক দালানের ভিত্তি অর্থাৎ তোমার কন্যার ব্যাপারে কি করবে ও করেছ? অথচ এই সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ্‌ তোমাকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বশক্তি দিয়ে তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে।
সুতরাং তুমি তোমার পক্ষ থেকে তার জন্যে কি পেশ করেছ?
ওহে পিতা, 
ঐ সমস্ত নির্লজ্জ যুবতীরা, যারা আল্লাহ্‌র আদেশ-নিষেধের প্রতি কোনরূপ ভ্রক্ষেপ করে না বরং স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসরনেই নিজেরা মত্ত তারা কি আসমান থেকে পতিত হয়েছে? না যমীনে নীচ থেকে অংকুরিত হয়ে ফুটে উঠেছে?
কোনটিই নয় বরং তারা বের হয়েছে তোমার ঘর থেকে এবং তোমার অন্য মুসলিম ভাইয়ের ঘর থেকে।
সুতরাং হে পিতা,
তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমার কন্যার ব্যাপারে দুনিয়া-দারীর চেয়েও বেশী গুরত্ব দাও। আর তুমি তাদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না, যাদের সম্পর্কে রাসূলুলস্নাহ্‌ (সা:) এরশাদ করেছেন :
‘দাইউস ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’  ..............
আরো শুনে নাও, শিরীয় সাহিত্যিক চিন্তাবিদ হাফেজ ব্রাহিম বলেছেন : মা হল একটা শিক্ষা নিকেতন যখন তুমি তাকে তেমন করে গঠন করবে। তাহলে গঠন করলে এমন একটা জাতি যারা মূলতই উৎকৃষ্ট ধমনী দিয়ে গঠিত। মা হল একটি কানন যদি তাকে সশিক্ষা লজ্জা ও শালীনতা রসে সিঞ্জিত এবং সংরক্ষণ করো। তাহলে সে সত্যিই (সন্তান-সন্তুতি নিয়ে) পত্র-পল্লবে আচ্ছাদিত ও সুশোভিত বাগানের ন্যায় ফুটে উঠবে। মা হল সকল শিক্ষকের প্রথম শিক্ষক। যার গুণপনা ও কৃতিকলাপই যুগ-যগান্তর ধরে জগতে সুখ্যাতি অবশিষ্ট রেখেছে। সুতরাং হে  মা , সাবধান থেকে তোমার মেয়ের দিকে  খেয়াল রেখো তার বেহায়াপনার জন্য তোমাকেও জবাব দিতে হবে  .........
বোন হে আমার ! আলস্নাহ্‌ আমাদের সবাইকে সকল প্রকার অসিলতা থেকে দূর থাকতে বলেছেন  
 পর্দা আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর আনুগত্য। কেননা তাঁদের আনুগত্য প্রতিটি নর-নারীর উপর ফরয করা হয়েছে। আল্লাহ্‌ বলেনআল্লাহ্‌ এবং তাঁর রাসূল কোন আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করার কোন অধিকার নেই। যে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের আদেশ অমান্য করবেসে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হবে। (সূরা আহযাব- ৩৬) 

আল্লাহ্‌ তাআলা নারীদেরকে পর্দার নির্দেশ দিয়ে এরশাদ করেন: ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন সাধারণত: প্রকাশমান স্থান ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। (সূরা নূর- ৩১)তিনি আরো বলেন: “তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে- মূর্খতা যুগের অনুরূপ (বেপর্দা হয়ে) নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। (সূরা আহযাব- ৩৩)আল্লাহ্‌ আরো বলেন, তোমরা তাঁর পত্নীগণের নিকট থেকে কোন কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। (সূরা আহযাব- ৫৩)আল্লাহ্‌ আরো বলেন, হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। (সূরা আহযাব- ৫৯)রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন: নারী গোপন বস্তু(তিরমিযী) অর্থাৎ তাকে ঢেকে রাখতে হবে।

বোন হে আমার অভিসাপ থেকে বাঁচ ...
রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,“শেষ যুগে অচিরেই আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু নারী হবেযারা কাপড় পরেও উলঙ্গ থাকবে। তাদের মাথা হবে উটের চুঁড়ার ন্যায়। তোমরা তাদেরকে অভিশাপ কর। কেননা তারা অভিশপ্ত।” ..... রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেন“জাহান্নামবাসী দুটি দল রয়েছে। যাদেরকে আমি এখনও দেখিনি। একদল এমন লোক যাদের হাতে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দিয়ে তারা লোকদেরকে প্রহার করবে। আর অন্য দল এমন নারী যারা পোষাক পরেও উলঙ্গ থাকে।” (মুসলিম) 

হে বোন আমার .... বেপর্দা ইবলীসের সুন্নাত:
আদমের সাথে ইবলীসের ঘটনাই আমাদের সামনে ইবলিসের ষড়যন্ত্র উম্মোচন করে দেয়সে কিরূপ আগ্রহী ছিল লজ্জাসস্থান প্রকাশ হওয়া ও পর্দা উম্মোচন করার জন্য। বেপর্দা হচ্ছে শয়তানের মূল লক্ষ্য। আল্লাহ্‌ বলেনহে আদম সন্তান! শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে না পারেযেমন সে তোমাদের পিতা-মাতাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে এমতাবসস্থায় যে তাদের থেকে তাদের পোষাক খুলিয়ে দিয়েছে। যাতে করে তাদের লজ্জাসস্থান প্রকাশ হয়ে পড়ে। (সূরা আরাফ- ২৭) হে বোন আমার তুমি তো রাসুলের সুন্নত পালন করবে , শয়তানের দিকে কেন যাচ্ছ ?
হে বোন আমার ..বেপর্দা ঘৃণিত জাহেলী রীতি: আল্লাহ্‌ বলেনতোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবসস্থান করবে- মূর্খতা যুগের অনুরূপ (বেপর্দা হয়ে) নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।(সূরা আহযাব- ৩৩) ..আর রাসূল সাঃ বলেন .. মূর্খ যুগের সব বিষয় আমার দুপায়ের নীচে। (বুখারী) 
সাবধান হোন! সতর্ক হোন! শ্লীলতা প্রসার ঘটে এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন  ....রাসূল (সাঃ) বলেন ..‘আমার পরে আমি পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে ক্ষতিকর আর কিছু রেখে যাই নি।’ [বুখারী : ৫০৯৬; মুসলিম : ৭১২২]  তিনি আরো বলেন .....‘যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, রমযানের সিয়াম পালন করে, আপন সতীত্ব রক্ষা করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, তাকে বলা হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে জান্নাতে প্রবেশ কর।’ [মুসনাদ আহমাদ : ১৬৬১]  
তাই হে বোন আসুন এইসব  শরীর দেখিয়ে , সুপার স্টার হওযার কোনো লাভ নেই ক্ষতি ছাড়া  আসুন আল্লাহ হর ইবাদত করি  আখেরাতের  সুপার স্টার হই ..... 
মহান আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন। আমীন!!