নামায ত্যাগের কারণে অথবা অন্য কারণে মুরতাদ (ইসলাম বিমুখ) হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রযোজ্য বিধানাবলীঃ
মুরতাদ (ইসলাম বিমুখ)হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কতিপয় ইহলৌকিক ও পারলৌকিক বিধান প্রযোজ্য হয়ে থাকে ।
প্রথমতঃ পার্থিব বিধান সমূহঃ
১/তার বেলায়াত(অভিভাবকত্ব)শেষ হয়ে যাওয়াঃ তাই তাকে এমন কোন কাজে ওলী -অভিভাবক বানানো বৈধ নয় যাতে ইসলাম বেলায়ত (অভিভাবকতার) শর্তারোপ করেছে । অতএব এর উপর ভিত্তি করে তাকে নিজ অযোগ্য সন্তান ও অন্যান্যদের উপর ওলী-অভিভাবক নিযুক্ত করা বৈধ হবেনা ।এবং তার তত্ত্বাবধানে তার যেসব মেয়েরা বা অন্য কেউ রয়েছে তাদের বিয়ে দিতে পারবেনা
আর আমাদের ফোকাহা(ইসলামী শিক্ষা বিশারদগণ)তাঁদের সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত কিতাবে পরিস্কার ভাষায় বলেছেনঃ "ওলী"(অভিভাবকের)শর্ত হচ্ছে মুসলমান হওয়া যখন সে কোন মুসলিম মেয়ের বিয়ে দিবে । তাঁরা আরো বলেন যে,মুসলিম মেয়ের জন্য কাফের ব্যক্তির বেলায়েত(অভিভাবকত্ব)চলবেনা ।
আর ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ যোগ্য ওলী ব্যতীত বিয়ে বৈধ নয় । আর সব চাইতে বড় যোগ্যতা হচ্ছে ইসলাম ধর্মালম্বন । আর নিকৃষ্টতম মুর্খতা ও অযোগ্যতা হচ্ছে কুফরী ও ইসলাম হতে বিমূখ হওয়া । আল্লাহ বলেনঃ وَمَن يَرْغَبُ عَن مِّلَّةِ إِبْرَاهِيمَ إِلَّا مَن سَفِهَ نَفْسَهُ এবং কে ইবরাহীমের পদ্ধতিকে ঘৃণা করবে ?হ্যাঁ, যে নিজেকে মূর্খতা ও নির্বুদ্ধিতায় আচ্ছন্ন করেছে সে ছাড়া আর কে এ কাজ করতে পারে ?(আল বাকারাহ ১৩০)
২/ তার আত্নীয়দের মীরাস(পরিত্যাক্ত ধণ)হতে বঞ্চিত হয়ে যাবেঃ কারণ কাফের মুসলমানের ওয়ারিস হতে পারেনা,আর মুসলিম কাফেরের মালের ওয়ারিস হয়না । ওসামা বিন যায়েদ হতে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে নবী (সাঃ)বলেনঃ "মুসলিম কাফেরের ওয়ারিস হবেনা আর কাফেরও মুসলিমের ওয়ারিস হবেনা"(বুখারী-মুসলিম ও অন্যান্য)
৪/ গৃহপালিত জন্তু উক্ত ব্যক্তি দ্বারা যবেহ করা হলে তা হারামঃ গৃহপালিত জন্তু,উষ্ট,গাভী-গরূ ও ছাগল,ইত্যাদি যা হালাল করার জন্য যবেহ করার শর্তাবলীর একটি এই যে,যবেহ কারীকে মুসলিম অথবা কিতাবী(ইহুদী বা নাসারা)হতে হবে ।
কিন্তু মুরতাদ (ইসলাম বিমূখ ব্যক্তি)পৌত্তলিক,অগ্নিপূজক ও এই ধরনের অন্য কেউ,তারা যা যবেহ করবে তা হালাল হবেনা ।
/- তাফসীর কারক খাযিন স্বীয় তাফসীরে বলেনঃ ওলামারা এ ব্যাপারে একমত যে মজুসের(অগ্নি পূজকের)এবং সমস্ত বহুত্ব বাদীদের সে আরবের মুশরিকরা হোক কিংবা মূর্তিপূজকেরা হোক এবং যাদের কোন কিতাব দেয়া হয়নি তাদের জবেহকৃত সমস্ত জন্তু হারাম ।
ইমাম আহম্মদ(রাহেমাহুল্লাহ)বলেনঃ আমি জানিনা যে এর বিপক্ষে কেউ কোন মত পোষন করেছেন, তবে হ্যাঁ যদি সে বেদাতী হয় তবে বলতে পারেন ।
৫ / বেনামাযীরজন্য মৃত্যুর পরে তার উপরে জানাযা পড়া হারাম ও তার জন্য মাগফিরাত(গুনাহ মাফের)ও রহমতের(আল্লাহর দয়া ও করুনার )দু'আ করা হারাম । কারন আল্লাহ বলেনঃ وَلَا تُصَلِّ عَلَىٰ أَحَدٍ مِّنْهُم مَّاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَىٰ قَبْرِهِ ۖ إِنَّهُمْ كَفَرُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَمَاتُوا وَهُمْ فَاسِقُونَ আর তাদের মধ্য থেকে কেউ মারা গেলে তার জানাযার নামাযও তুমি কখ্খনো পড়বে না৷ এবং কখনো তার কবরের পাশে দাঁড়াবে না৷ কারণ তারা আল্লাহ ও তার রসূলকে অস্বীকার করেছে এবং তাদের মৃত্যু হয়েছে ফাসেক অবস্থায়৷(আত তাওবা ৮৪)
যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ও পরকালের উপর বিশ্বাস রাখে সে কিভাবে সেই ব্যক্তির জন্য মাগফিরাত ও রহমতের দু'আ করবে যার মৃত্য কুফরী অবস্থায় ঘটেছে,আর সে হচ্ছে আল্লাহর দুশমন-এটা কি সম্ভব? তাই মহান আল্লাহ বলেনঃ <b>যে ব্যক্তি আল্লাহ তাঁর ফেরেশতা ও রসূলগণ এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের শত্রু হয়, নিশ্চিতই আল্লাহ সেসব কাফেরের শত্রু।</b> "এ আয়াতে আল্লাহ এ কথা পরিস্কার করে দেন যে , তিনি হচ্ছেন সমস্ত কাফেরের শত্রু"
তাই সমস্ত মু'মিনদের জন্য প্রতিটি কাফের হতে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করা অপরিহার্য্য আল্লাহ বলেনঃ وَأَذَانٌ مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ أَنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ ۙ وَرَسُولُهُ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে বড় হজ্জের দিনে সমস্ত মানুষের প্রতি সাধারন ঘোষণা করা হচ্ছেঃ “আল্লাহর মুশরিকদের সাথে সম্পর্কহীন এবং তাঁর রসূলও৷(আত তাওবা ৩)
আর ইমানের সবচাইতে দৃঢ় রজ্জু হল আল্লাহর জন্য ভালবাসা,আল্লাহর জন্য ঘৃনা করা, আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব স্থাপন করা এবং আল্লাহর স্বার্থে শত্রুতা করা ।
৬/ মুসলিমা মেয়ের সঙ্গে বেনামাযীর বিয়ে হারাম ........... চলবে.............।
মুরতাদ (ইসলাম বিমুখ)হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কতিপয় ইহলৌকিক ও পারলৌকিক বিধান প্রযোজ্য হয়ে থাকে ।
প্রথমতঃ পার্থিব বিধান সমূহঃ
১/তার বেলায়াত(অভিভাবকত্ব)শেষ হয়ে যাওয়াঃ তাই তাকে এমন কোন কাজে ওলী -অভিভাবক বানানো বৈধ নয় যাতে ইসলাম বেলায়ত (অভিভাবকতার) শর্তারোপ করেছে । অতএব এর উপর ভিত্তি করে তাকে নিজ অযোগ্য সন্তান ও অন্যান্যদের উপর ওলী-অভিভাবক নিযুক্ত করা বৈধ হবেনা ।এবং তার তত্ত্বাবধানে তার যেসব মেয়েরা বা অন্য কেউ রয়েছে তাদের বিয়ে দিতে পারবেনা
আর আমাদের ফোকাহা(ইসলামী শিক্ষা বিশারদগণ)তাঁদের সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত কিতাবে পরিস্কার ভাষায় বলেছেনঃ "ওলী"(অভিভাবকের)শর্ত হচ্ছে মুসলমান হওয়া যখন সে কোন মুসলিম মেয়ের বিয়ে দিবে । তাঁরা আরো বলেন যে,মুসলিম মেয়ের জন্য কাফের ব্যক্তির বেলায়েত(অভিভাবকত্ব)চলবেনা ।
আর ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ যোগ্য ওলী ব্যতীত বিয়ে বৈধ নয় । আর সব চাইতে বড় যোগ্যতা হচ্ছে ইসলাম ধর্মালম্বন । আর নিকৃষ্টতম মুর্খতা ও অযোগ্যতা হচ্ছে কুফরী ও ইসলাম হতে বিমূখ হওয়া । আল্লাহ বলেনঃ وَمَن يَرْغَبُ عَن مِّلَّةِ إِبْرَاهِيمَ إِلَّا مَن سَفِهَ نَفْسَهُ এবং কে ইবরাহীমের পদ্ধতিকে ঘৃণা করবে ?হ্যাঁ, যে নিজেকে মূর্খতা ও নির্বুদ্ধিতায় আচ্ছন্ন করেছে সে ছাড়া আর কে এ কাজ করতে পারে ?(আল বাকারাহ ১৩০)
২/ তার আত্নীয়দের মীরাস(পরিত্যাক্ত ধণ)হতে বঞ্চিত হয়ে যাবেঃ কারণ কাফের মুসলমানের ওয়ারিস হতে পারেনা,আর মুসলিম কাফেরের মালের ওয়ারিস হয়না । ওসামা বিন যায়েদ হতে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে নবী (সাঃ)বলেনঃ "মুসলিম কাফেরের ওয়ারিস হবেনা আর কাফেরও মুসলিমের ওয়ারিস হবেনা"(বুখারী-মুসলিম ও অন্যান্য)
৩/ মক্কা ও তার হারামের এলাকায় প্রবেশ হারাম(নিষিদ্ধ): কারন আল্লাহ বলেনঃ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَٰذَا হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র, কাজেই এ বছরের পর তারা যেন আর মসজিদে হারামের কাছে না আসে৷ (আত তাওবা ২৮)
৪/ গৃহপালিত জন্তু উক্ত ব্যক্তি দ্বারা যবেহ করা হলে তা হারামঃ গৃহপালিত জন্তু,উষ্ট,গাভী-গরূ ও ছাগল,ইত্যাদি যা হালাল করার জন্য যবেহ করার শর্তাবলীর একটি এই যে,যবেহ কারীকে মুসলিম অথবা কিতাবী(ইহুদী বা নাসারা)হতে হবে ।
কিন্তু মুরতাদ (ইসলাম বিমূখ ব্যক্তি)পৌত্তলিক,অগ্নিপূজক ও এই ধরনের অন্য কেউ,তারা যা যবেহ করবে তা হালাল হবেনা ।
/- তাফসীর কারক খাযিন স্বীয় তাফসীরে বলেনঃ ওলামারা এ ব্যাপারে একমত যে মজুসের(অগ্নি পূজকের)এবং সমস্ত বহুত্ব বাদীদের সে আরবের মুশরিকরা হোক কিংবা মূর্তিপূজকেরা হোক এবং যাদের কোন কিতাব দেয়া হয়নি তাদের জবেহকৃত সমস্ত জন্তু হারাম ।
ইমাম আহম্মদ(রাহেমাহুল্লাহ)বলেনঃ আমি জানিনা যে এর বিপক্ষে কেউ কোন মত পোষন করেছেন, তবে হ্যাঁ যদি সে বেদাতী হয় তবে বলতে পারেন ।
৫ / বেনামাযীরজন্য মৃত্যুর পরে তার উপরে জানাযা পড়া হারাম ও তার জন্য মাগফিরাত(গুনাহ মাফের)ও রহমতের(আল্লাহর দয়া ও করুনার )দু'আ করা হারাম । কারন আল্লাহ বলেনঃ وَلَا تُصَلِّ عَلَىٰ أَحَدٍ مِّنْهُم مَّاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَىٰ قَبْرِهِ ۖ إِنَّهُمْ كَفَرُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَمَاتُوا وَهُمْ فَاسِقُونَ আর তাদের মধ্য থেকে কেউ মারা গেলে তার জানাযার নামাযও তুমি কখ্খনো পড়বে না৷ এবং কখনো তার কবরের পাশে দাঁড়াবে না৷ কারণ তারা আল্লাহ ও তার রসূলকে অস্বীকার করেছে এবং তাদের মৃত্যু হয়েছে ফাসেক অবস্থায়৷(আত তাওবা ৮৪)
مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَن يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَىٰ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ নবী ও যারা ঈমান এনেছে তাদের পক্ষে মুশরিকদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা, সংগত নয়, তারা তাদের আত্মীয়-স্বজন হলেই বা কি এসে যায়, যখন একথা সুষ্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা জাহান্নামেরই উপযুক্ত৷ وَمَا كَانَ اسْتِغْفَارُ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ إِلَّا عَن مَّوْعِدَةٍ وَعَدَهَا إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِّلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ ۚ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَأَوَّاهٌ حَلِيمٌ ইবরাহীম তার বাপের জন্য যে মাগফিরাতের দোয়া করেছিল তা তো সেই ওয়াদার কারণে ছিল যা সে তার বাপের সাথে করেছিল্ কিন্তু যখন তার কাছে একথা পরিস্কার হয়ে গেছে যে, তার বাপ আল্লাহর দুশমন তখন সে তার প্রতি বিমুখ হয়ে গেছে৷ যথার্থই ইবরাহীম কোমল হৃদয়, আল্লাহভীরু ও ধৈর্যশীল ছিল৷ (আত তাওবা ১১৩-১১৪)
আর যে ব্যক্তি কুফরীর উপর মৃত্যু বরণ করল তার সেই কুফরী যে কোন কারনেই হোক না কেন তার জন্য কোন মানুষের মাগফেরাত ও রহমতের দু'আ করা দু'আতে বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘনের অন্তর্গত ও এক ধরনের আল্লাহর সাথে ঠাট্রা-তামাশা করা এবং নবী-(সাঃ)এর ও মুমিন ব্যক্তিদের পথ হতে বহিস্কার হওয়ার অন্তর্গত ।যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ও পরকালের উপর বিশ্বাস রাখে সে কিভাবে সেই ব্যক্তির জন্য মাগফিরাত ও রহমতের দু'আ করবে যার মৃত্য কুফরী অবস্থায় ঘটেছে,আর সে হচ্ছে আল্লাহর দুশমন-এটা কি সম্ভব? তাই মহান আল্লাহ বলেনঃ <b>যে ব্যক্তি আল্লাহ তাঁর ফেরেশতা ও রসূলগণ এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের শত্রু হয়, নিশ্চিতই আল্লাহ সেসব কাফেরের শত্রু।</b> "এ আয়াতে আল্লাহ এ কথা পরিস্কার করে দেন যে , তিনি হচ্ছেন সমস্ত কাফেরের শত্রু"
তাই সমস্ত মু'মিনদের জন্য প্রতিটি কাফের হতে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করা অপরিহার্য্য আল্লাহ বলেনঃ وَأَذَانٌ مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ أَنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ ۙ وَرَسُولُهُ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে বড় হজ্জের দিনে সমস্ত মানুষের প্রতি সাধারন ঘোষণা করা হচ্ছেঃ “আল্লাহর মুশরিকদের সাথে সম্পর্কহীন এবং তাঁর রসূলও৷(আত তাওবা ৩)
আর ইমানের সবচাইতে দৃঢ় রজ্জু হল আল্লাহর জন্য ভালবাসা,আল্লাহর জন্য ঘৃনা করা, আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব স্থাপন করা এবং আল্লাহর স্বার্থে শত্রুতা করা ।
৬/ মুসলিমা মেয়ের সঙ্গে বেনামাযীর বিয়ে হারাম ........... চলবে.............।